ধর্ষণের শিকার নারীর ছবি-পরিচয় প্রকাশ বন্ধে ব্যবস্থার নির্দেশ
৮ মার্চ ২০২১ ২৩:৩৯
ঢাকা: যৌন নির্যাতন ও ধর্ষণের শিকার কোনো জীবিত বা মৃত নারীর সব ধরনের ছবি ও পরিচয় গণমাধ্যমে প্রচার ও প্রকাশ বন্ধে পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ধর্ষণের শিকার নারীর ছবি ও পরিচয় প্রকাশ বন্ধে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না— এই মর্মে রুলও জারি করেছেন আদালত। আইন সচিব, তথ্য সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
সোমবার (৮ মার্চ) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। পাশাপাশি এই নির্দেশনা বাস্তবায়নে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে— আগামী ৩০ দিনের মধ্যে তা তথ্য সচিব, বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান, স্বরাষ্ট্র সচিব, ও বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের চেয়ারম্যানকে জানাতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মাহফুজুর রহমান মিলন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস।
গত ১৯ জানুয়ারি ধর্ষণের শিকার জীবিত বা মৃত নারীর ছবি ও পরিচয় গণমাধ্যমে প্রকাশে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। জাস্টিস ওয়াচ ফাউন্ডেশনের পক্ষে মাহফুজুর রহমান মিলন এ রিট দায়ের করেন। আইন সচিব, তথ্য সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের রিটে বিবাদী করা হয়।
আদেশের পর মাহফুজুর রহমান মিলন সাংবাদিকদের বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১৪ ধারা অনুযায়ী ধর্ষণের শিকার কোনো নারীর ছবি প্রকাশে আইনি বাধা রয়েছে। তা সত্ত্বেও হরহামেশাই বিভিন্ন গণমাধ্যমে ধর্ষণের শিকার নারী বা শিশুর ছবি প্রকাশ করা হচ্ছে। এতে তাদের পরিবারের সদস্যরা সামাজিকভাবে হেয় হচ্ছেন। বিশেষ করে সম্প্রতি ধর্ষণের শিকার হয়ে মারা যাওয়া ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের এক শিক্ষার্থীর ছবি দেশের অধিকাংশ গণমাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে। এ ছবি প্রকাশের ঘটনা আমাদের ব্যথিত করেছে। তাই সংক্ষুব্ধ হয়ে এ রিট দায়ের করেছিলাম।
এর আগে একটি ইংরেজি দৈনিকে ধর্ষণের শিকার এক শিশুর ছবি প্রকাশ করা হয়। ওই ছবি প্রকাশে বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন এক আইনজীবী। রিটের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট আইনের সংস্পর্শে আসা কোনো শিশুর ছবি বা পরিচয় প্রকাশের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেন।
সারাবাংলা/কেআইএফ/টিআর