Tuesday 26 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ-ভারত যুক্ত হলো সেতুতে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
৯ মার্চ ২০২১ ১৭:২০

ঢাকা: খাগড়াছড়ির রামগড়ে বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্তবর্তী ফেনী নদীর ওপর নির্মিত সেতুটি উদ্বোধন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে প্রথমবারের মতো কোনো নৌসেতুর মাধ্যমে যুক্ত হলো বাংলাদেশ ও ভারত। বাংলাদেশ-ভারতকে বিভক্ত করা ফেনী নদীর ওপর নির্মিত এই মৈত্রী সেতুটি ত্রিপুরার সাবরুম ও খাগড়াছড়ির রামগড়ের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করবে।

মঙ্গলবার (৯ মার্চ) দুপুরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে ‘বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সেতু-১’ উদ্বোধন করেছেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবও বক্তৃতা দেন।

বিজ্ঞাপন

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, সেতুটির মাধ্যমে বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে। অন্যদিকে এক ভিডিও বার্তায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, রাজনৈতিক সীমারেখা উন্নয়ন ও বাণিজ্যে বাধা হতে পারে না।

২০১৫ সালের ৬ জুন ভারত ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী যৌথভাবে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন দুই দেশের মধ্যকার প্রথম এই মৈত্রী সেতুর। করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতিতে কাজ বাধাগ্রস্ত হলেও এ মাসের শুরুতেই সেতুর সব কাজ শেষ হয়ে যায়। এ মাসেই মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ঢাকা সফরে আসার কথা রয়েছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। এর দুই সপ্তাহ আগেই ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে যুক্ত হয়ে সেতুটি উদ্বোধন করলেন দুই প্রধানমন্ত্রী।

সেতু উদ্বোধনের সময় দিল্লি থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত নরেন্দ্র মোদি আরও বলেন, এই সেতুটি বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের পাশাপাশি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় যোগাযোগের নতুন ধারা উন্মোচন করবে।

বিজ্ঞাপন

ভারতের ন্যাশনাল হাইওয়েজ অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট করপোরেশন লিমিটেড ভারতীয় অর্থায়নে এটি নির্মাণ করেছে। এই সেতুকে প্রতিবেশী দেশ ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের অব্যাহত সহযোগিতার স্মারক হিসেবে বর্ণনা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, আমি মনে করি এই সেতু আমাদের দুই দেশের মাঝে শুধু সেতুবন্ধনই রচনা করবে না, বরং ব্যবসা-বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে বিরাট অবদান রাখবে।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই সেতুকে দুই দেশের মধ্যে নতুন ‘বাণিজ্য করিডোর’ হিসেবে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, এই সেতু উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে দুই দেশের বাণিজ্য, মানুষে মানুষে সংযোগের ক্ষেত্রে নতুন এক অধ্যায়ের সূচনা হলো। আর এই মৈত্রী সেতুর কারণে ত্রিপুরা হয়ে উঠল চট্টগ্রাম বন্দর থেকে নর্থ-ইস্টে পৌঁছানোর গেটওয়ে।

১ দশমিক ৯ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সেতু রামগড়ের সঙ্গে ভারতের ত্রিপুরার সাবরুমকে যুক্ত করেছে। সেতুটি ভারতের ত্রিপুরা, মিজোরামসহ পূর্বাঞ্চলীয় সাত রাজ্যের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন করবে। এই সেতু থেকে চট্টগ্রাম বন্দরের দূরত্ব মাত্র ৮০ কিলোমিটার। ফলে বন্দর থেকে ত্রিপুরাসহ ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে পণ্য পরিবহন অনেক সহজ হয়ে যাবে।

সারাবাংলা/এনআর/টিআর

ফেনী নদী বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সেতু

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর