আরও সাড়ে ৩ লাখ টন চাল আমদানি করবে সরকার
৯ মার্চ ২০২১ ২২:৪৩
ঢাকা: দেশে চালের মজুত বাড়াতে আরও সাড়ে তিন লাখ মেট্রিক টন চাল আমদানি করবে সরকারের খাদ্য বিভাগ। এর মধ্যে ভারত ও থাইল্যান্ড থেকে দেড় লাখ মেট্রিক টন করে মোট তিন লাখ মেট্রিক টন চাল আমদানি করা হচ্ছে। অবশিষ্ট ৫০ হাজার মেট্রিক টন চাল আনা হচ্ছে ভিয়েতনাম থেকে।
অর্থ ও কৃষি মন্ত্রণালয় সূত্র সারাবাংলাকে জানিয়েছে, আগামীকাল বুধবার (১০ মার্চ) সরকারের অর্থনৈতিক বিষয়ক সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় এ সংক্রান্ত তিনটি প্রস্তাব উপস্থাপন করা হচ্ছে। প্রস্তাব তিনটি উপস্থাপিত হলে তা পর্যালোচনা শেষে চূড়ান্ত অনুমোদনের কথা রয়েছে।
এর আগে, গত কয়েক মাস ধরেই চালের দাম উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। প্রতি কেজি চাল গড়ে ৫ থেকে ৮ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, চালের সরবরাহ কম থাকায় দাম বেড়েছে। এ ব্যাপারে মিল মালিক ও চাল ব্যবসায়ীরা একে অন্যকে দায়ী করেছেন। এ পরিস্থিতিতে আগামী রমজানে যেন চাল নিয়ে সিন্ডিকেট করে কেউ দাম বাড়াতে না পারেন, সেজন্যই সরকার চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সূত্র জানায়, এ উদ্দেশ্যেই রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজনে সরকার তিনটি দেশ থেকে জি-টু-জি’র (সরকারের কাছ থেকে কেনা) আওতায় সাড়ে তিন লাখ মেট্রিক টন নন বাসমতি সিদ্ধ চাল আমদানি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর মধ্যে ভারত ও থাইল্যান্ড উভয় থেকে আসবে দেড় লাখ মেট্রিক টন করে মোট তিন লাখ মেট্রিক টন চাল। বাকি ৫০ হাজার মেট্রিক টন চাল আনা হবে ভিয়েতনাম থাকে। এরই মধ্যে খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাবনা তৈরি করে সরকারের অর্থনৈতিক বিষয়ক সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে।
সূত্র জানায়, দেশে খাদ্য মজুত বাড়াতে সরকার জরুরিভিত্তিতে গত ৩ মার্চ সাড়ে ৫ লাখ মেট্রিক টন চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নেয়। ওই দিন অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি খাদ্য মন্ত্রণালয়ের আনা এ সংক্রান্ত আরেকটি প্রস্তাব নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ফলে মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যে আগামীকাল বুধবার (১০ মার্চ) আরও সাড়ে তিন লাখ মেট্রিক টন চাল আমদানির সিদ্ধান্তে নীতিগগত অনুমোদন দেওয়া হতে পারে। এটি অনুমোদন হলে চলতি মার্চ মাসে মোট ৯ লাখ মেট্রিক টন চাল আমদানির সিদ্ধান্তে চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হবে।
এর মধ্যে গত ৩ মার্চের অর্থনৈতিক বিষয়ক সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে নিত্যপণ্য আমদানির ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক দরপত্রের সময় কমানোর বিষয়ে নতুন একটি সিদ্ধান্ত হয়। এর আগে এ ধরনের দরপত্রের ক্ষেত্রে ৪২ দিন সময় দেওয়া হলেও এবার কমিয়ে ১০ দিনে নামিয়ে আনা হয়েছে।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, আমাদের এ বছর খাদ্যশস্য উৎপাদন কম হয়েছে এবং চাল উৎপাদনও কম হয়েছে। এছাড়াও গত বছর বন্যা ও অতিবৃষ্টির কারণে আমরা আমাদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারিনি। এসব কারণে আমরা চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
সারাবাংলা/জিএস/টিআর