ডিআইজি মিজানসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে পৌর মেয়রের সাক্ষ্য
১০ মার্চ ২০২১ ১০:৫১
ঢাকা: দুর্নীতির মামলায় সাময়িক বরখাস্ত পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক মিজানুর রহমান মিজানসহ চারজনের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও মানি লন্ডারিং আইনের মামলায় বরিশাল জেলার মেহেদিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র কামাল উদ্দিন খানসহ ২ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন।
মঙ্গলবার (৯ মার্চ) ঢাকার বিশেষ আদালত-৬ এর বিচারক আল আসাদ মো. আসিফুজ্জামানের আদালতে এ সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।
আরেকজন সাক্ষী হলেন, ডাচ বাংলা ব্যাংক এলিফেন্ট রোড শাখার ম্যানেজার আরিফুল হক।
এদিন সাক্ষীরা আদালতে জবানবন্দি দেওয়ার পর আসামি পক্ষের অ্যাডভোকেট এহসানুল হক সমাজী তাদের জেরা করেন। তাদের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ২৩ মার্চ দিন ধার্য করা হয়।
আইনজীবী সমাজী জানান, ডিআইজি মিজানের বাড়ির মূল্য নির্ধারণে পৌর মেয়র কামাল উদ্দিন খানকে চিঠি দেয় দুদক। সে অনুযায়ী সে একটি কমিটি গঠন করেন। এরপর সেই কমিটি সম্পত্তির মূল্য ৬৫ লাখ টাকা নির্ধারণ করে দেয়। সে সম্পর্কেই তিনি এদিন সাক্ষ্য দিয়েছেন।
মামলাটিতে এ নিয়ে চার্জশিটভূক্ত ৩৩ জন সাক্ষীর মধ্যে ৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হলো। মামলার অপর আসামিরা হলেন- ডিআইজি মিজানের স্ত্রী সোহেলিয়া আনার ওরফে রত্মা রহমান, ছোট ভাই মাহবুবুর রহমান ও ভাগ্নে মাহমুদুল হাসান।
এর আগে গত ২ সেপ্টেম্বর মামলাটি বিচারের জন্য প্রস্তুত হওয়ায় ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালত ঢাকার বিশেষ জজ-৬ আদালতে বদলির আদেশ দেন।
দুদকের পরিচালক মঞ্জুর মোর্শেদ গত ৩০ জানুয়ারি চার আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। আসামি মিজান ও মাহমুদুল হাসানকে আদালতে হাজির করা হয়। অপর দুই আসামি পলাতক রয়েছে।
২০১৯ সালের ২৪ জুন দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে (ঢাকা-১) দুদকের পরিচালক মঞ্জুর মোর্শেদ বাদী হয়ে ডিআইজি মিজানসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে ৩ কোটি ২৮ লাখ ৬৮ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ৩ কোটি ৭ লাখ ৫ হাজার টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়।
সারাবাংলা/এআই/এসএসএ