বার্গারে কামড় দিতেই বেরিয়ে এলো ব্লেড
১০ মার্চ ২০২১ ১১:০০
বরিশাল: বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শফিকুল ইসলাম বিকেলের নাশতায় মজা করে খাচ্ছিলেন ভেজিটেবল বার্গার। মুখের মধ্যে শক্ত কিছু টের পেয়ে প্রথমে ভেবেছিলেন, ভেজিটেবল বার্গারে ভুল করে চিকেন বার্গারের কিছু দিয়েছে। কিন্তু পরের কামড়ে টের পেলেন আসলে চিকেন নয়, শক্ত কিছু। মুখ থেকে বার্গার বের করে দেখতেই বেরিয়ে এলো আস্ত ব্লেড।
সদরের বিবির পুকুর পাড়ের মনিরের দোকান থেকে এই বার্গার নেওয়া হয়। মঙ্গলবার (৯ মার্চ) বিকেলের এ ঘটনায় ওই শিক্ষার্থীর কাছে ক্ষমা চেয়েছেন দোকানি।
ভুক্তভোগী শফিকুল ইসলাম বলেন, আমি পার্টটাইম চাকরি করি। বিবির পুকুর পাড়ের মনিরের দোকান থেকে অফিসের জন্য ভেজিটেবল বার্গার আনা হয়। বার্গারের সঙ্গে অল্পের জন্য ব্লেড খেয়ে ফেলছিলাম। মুখ থেকে বার্গার বের করে দেখি আস্ত ব্লেড। ভাগ্য ভালো ব্লেডটি দাঁতের কামড়ে টের পেয়েছি। না হয় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতো।
তিনি বলেন, সঠিক মনিটরিং না থাকায় দিনের পর দিন নিম্নমানের অস্বাস্থ্যকর খাবার বিক্রি করছে এসব দোকানদার। এসব খাবারে শুধু ভোক্তাদের ক্ষতি হচ্ছে না, জীবনও সংকটে পড়ছে। ব্লেড পাওয়া বার্গারটি নিয়ে গেলে ভুল হয়েছে বলে ক্ষমা চান দোকানি।
বার্গার বিক্রেতা মনির হোসেন বলেন, কোনো ক্রেতাকে খারাপ কিছু খাওয়াতে চাই না। আমার ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাক, এটি চাই না। দোকানের বার্গারে ব্লেড পাওয়া গেছে, তা অস্বীকার করছি না। ঘটনাটি ভুলবশত হয়েছে। আমি জানি না কিভাবে বার্গারে ব্লেড ঢুকল। এজন্য আমি ক্ষমা চেয়েছি।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক শাহ সোয়াইব মিয়া বলেন, আমরা প্রায় বিবির পুকুর পাড়ের খাবার বিক্রেতাদের সতর্ক করে থাকি। ভোক্তাদের অভিযোগ ছাড়াই অভিযান চালাই। আমাদের মনিটরিং চলছে।
বরিশাল সিটি করপোরেশনের ভেটেরিনারি কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম বলেন, আমরা লক্ষ্য করছি সড়কের পাশে দিনদিন খাবারের দোকান বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে শিক্ষিতরা যেমন দোকান খুলছেন, তেমনি নিম্নবিত্তরাও। করোনার কারণে খাদ্যমান অক্ষুন্ন রাখার জন্য ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান বন্ধ ছিল। এখনো অভিযান শুরু হয়নি। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা করোনার ক্ষতি কাটিয়ে উঠলে অভিযান শুরু হবে।
সারাবাংলা/এনএস