করোনাভাইরাসের চেয়ে ভয়ংকর রোগ যক্ষ্মা: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
৯ মার্চ ২০২১ ১৯:৫৬
ঢাকা: স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, দেশে বছরে প্রায় ৪০ হাজার মানুষ যক্ষ্মায় আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। আর করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত এক বছরে প্রায় সাড়ে আট হাজার মানুষ মারা গেছে। তবে, দুটি রোগের লক্ষণেই যথেষ্ট মিল রয়েছে। রোগ ছড়ানোর উপায়ও প্রায় একই ধরনের। দুটি রোগের ক্ষেত্রেই ফুসফুসের সংক্রমণ ঘটে থাকে। করোনাভাইরাসের চেয়ে ভয়ংকর রোগ যক্ষ্মা
মঙ্গলবার (৯ মার্চ) রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত বছরব্যাপী যক্ষ্মা সচেতনতা কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
জাহিদ মালেক বলেন, যক্ষ্মাকে আমরা খুব বেশি গুরুত্ব দেই না। কিন্তু কোনো রোগই আসলে ছোট নয়। কোনো রোগকেই অবহেলা করা উচিৎ নয়। আমরা এক সময় মনে করতাম সংক্রামক রোগে বেশি মানুষ মারা যায়, কিন্তু সেটাই এখন নিয়ন্ত্রণে। আর এদিকে অসংক্রামক রোগ ভয়াবহ হয়ে উঠছে। সুতরাং আমাদের যেকোনো রোগের ক্ষেত্রেই সচেতন হতে হবে।
তিনি বলেন, আমরা স্বাস্থ্য খাতকে কখনোই গুরুত্ব দেইনি। শুধু আমরা নই, সারা বিশ্বই স্বাস্থ্য নিয়ে এতোটা ভাবেনি। কিন্তু করোনা আমাদের বুঝিয়ে দিয়েছে স্বাস্থ্যখাতকে গুরুত্ব দেওয়া কতোটা প্রয়োজনীয়। করোনা আমাদের শিখিয়েছে স্বাস্থ্যকে অবহেলা করলে একটা জাতির কী অবস্থা হয়।
তিনি বলেন, আমাদের স্বাস্থ্যে বিনিয়োগ কম। এটা বাড়াতে হবে। এই খাতে বিনিয়োগ করলে ১০ গুণ ভালো সেবা পাওয়া যায়। করোনায় পৃথিবীর ১২ ট্রিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয়েছে এখন পর্যন্ত। বাংলাদেশের ১২ থেকে ৩০ লাখ ডলার ক্ষতি হয়েছে। তবে বাংলাদেশের মতো বিশ্বের যেসব দেশ করোনাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছে তাদের অর্থনীতি এখনও ভালো অবস্থানে রয়েছে। যারা করোনাকে অবহেলা করেছে তাদের বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার লোকসান গুণতে হয়েছে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের জাতীয় যক্ষা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. সামিউল ইসলাম। এতে উপস্থিত ছিলেন- স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম, অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা, অধ্যাপক ডা. সেব্রিনা ফ্লোরা, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) মহাসচিব ডা. এহতেশামুল হক চৌধুরীসহ অন্যান্যরা।
সারাবাংলা/এসবি
জাহিদ মালেক যক্ষ্মা যক্ষ্মা সচেতনতা কর্মসূচি স্বাস্থ্যমন্ত্রী