Friday 06 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

দক্ষতা উন্নয়নে ক্রিয়েটিভ মিডিয়া কাউন্সিলের যাত্রা শুরু

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
১০ মার্চ ২০২১ ২২:২০

ঢাকা: সাংবাদিকতা, অভিনয় ও চলচ্চিত্র শিল্পসহ কয়েকটি খাতের কর্মীদের দক্ষতা উন্নয়নে দেশে যাত্রা শুরু করেছে ক্রিয়েটিভ মিডিয়া ইন্ডাস্ট্রি স্কিলস কাউন্সিল (সিএমআইএসসি)। সৃজনশীল দক্ষতা বিষয়ক প্রশিক্ষণ ও বিকাশের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (এনএসডিএ) এই কাউন্সিলের পৃষ্ঠপোষকতা করছে।

বুধবার (১০ মার্চ) বিকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই কাউন্সিলের যাত্রা শুরু হয়।

সাংবাদিকতা (সব ধরনের গণমাধ্যম), সংগীত, পারফর্মিং আর্টস (অভিনয়, নৃত্য, আবৃত্তি ইত্যাদি), চলচ্চিত্র ও টিভি শিল্প (বিনোদন), থিয়েটার, গ্রাফিকস ডিজাইন ও অ্যানিমেশন, কনটেম্পোরারি আর্ট, সাহিত্য ও কবিতা এবং বিজ্ঞাপনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সৃজনশীল দক্ষতা বৃদ্ধি, মেধাবীদের তৈরি ও কর্মসংস্থান তৈরি করাই এই কাউন্সিলের লক্ষ্য।

কাউন্সিলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। এনএসডিএ’র নির্বাহী চেয়ারম্যান (সচিব) দুলাল কৃষ্ণ সাহার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, সিএমআইএসসি’র সভাপতি শমী কায়সার, সাধারণ সম্পাদক সাব্বির রহমান তানিমসহ আরও অনেকে।

প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেন, মিডিয়া সবসময় প্রযুক্তির সঙ্গে এগিয়েছে। করোনার কারণে আমরা এখন নতুন টেকনোলজির যুগে প্রবেশ করেছি। দেশকে এগিয়ে নিতে প্রতিটি ক্ষেত্রে স্কিল খুবই প্রয়োজন। আর ক্রিয়েটিভিটির সঙ্গে টেকনোলজির মিশ্রণ ঘটালেই ক্রিয়েটিভ মিডিয়া  ইন্ডাস্ট্রি স্কিল কাউন্সিল তার লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারবে।

তিনি বলেন, প্রযুক্তি যেমন এগিয়েছে, তেমনি দেশে অনুকূল পরিবেশও তৈরি আছে। এখন ক্রিয়েটিভিটির সঙ্গে প্রযুক্তির মিশ্রণ ঘটিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। দেশে বিশ্বমানের মিডিয়া ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এজন্য সরকারি বেসরকারি পর্যায়ে যা যা করা দরকার, তার একটি পরিকল্পনা তৈরি করতে হবে।

আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, এমন একটি সময়ে আমরা ক্রিয়েটিভ মিডিয়া ইন্ডাস্ট্রি স্কিল কাউন্সিলের উদ্বোধন করছি যখন আমরা বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ পালন করছি। সরকারি, বেসরকারি ও একাডেমিক খাত একত্রে কাজ করে যাচ্ছে বলেই আজ আমরা উন্নয়নশীল দেশ।

তিনি বলেন, এখন আমরা আছি ডিজিটাল ইকোনোমিতে। কিন্তু চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে অংশ নিতে আমাদের ক্রিয়েটিভ ইকোনোমিতে পা রাখতে হবে। প্রযুক্তিতে আমরা আত্মনির্ভর হতে চাই। দক্ষতার সঙ্গে সঙ্গে মেধাস্বত্ব সংরক্ষণেও উদ্যোগ নিতে হবে। ভবিষ্যতে আমরা নিজেদেরই একটি ওটিটি প্ল্যাটফর্ম করতে চাই।

প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস বলেন, ক্রিয়েটিভ মিডিয়া ইন্ডাস্ট্রি স্কিল কাউন্সিলের যে যাত্রা শুরু হয়েছে, তা ফলপ্রসূ হবে বলে আমি মনে করি। ফোর্থ ইন্ডাস্ট্রিয়াল রেভুলেশনে অংশ নিতে দক্ষতা অর্জনের কোনো বিকল্প নেই। আমাদের সরকার নতুন উদ্ভাবনকে সবসময় স্বাগত জানিয়েছে। আশা করি, ক্রিয়েটিভ মিডিয়া  ইন্ডাস্ট্রি স্কিল কাউন্সিলের সহযোগিতায় ২০৪১-এর আগেই জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের এই উদ্যোগটি তার লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সফল হবে।

শমী কায়সার বলেন, করোনার সময়ে আমাদের দেশে ই-কমার্স যেভাবে প্রসারিত হয়েছে, ই-ইন্টারটেইনমেন্টেও এই প্রসার ঘটবে। আমরা মিডিয়া ইন্ডাস্ট্রিতে দক্ষ জনবল তৈরির মাধ্যমে নেটফ্লিক্সের বিকল্প প্ল্যাটফর্মের সূচনা করতেই চাই।

এর আগে, ২০১৮ সালে জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (এনএসডিএ) প্রতিষ্ঠিত হয়। এর লক্ষ্য ভবিষ্যতে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারের দক্ষ জনগোষ্ঠীর চাহিদার পূর্বাভাস  প্রকাশ, আইএসসি পরিচালনা এবং শিল্প সংযোগ জোরদার করা। এছাড়া শিক্ষানবিশ ব্যবস্থা জোরদার করা, দক্ষতা প্রদানকারী সব প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন, এসটিপির প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন, দক্ষতা সংক্রান্ত সব প্রকল্প পর্যবেক্ষণ ও সমন্বয়, সক্ষমতাভিত্তিক পেশাগত দক্ষতামান প্রণয়ন, একক উৎস থেকে অভিন্ন সনদ প্রদান, এমআরএ ও আরপিএলের ব্যবস্থা করা এবং এসব লক্ষ্য অর্জনে যেখানে প্রয়োজন সেখানে আর্থিক সহায়তা দেওয়া-ও এনএসডিএ’র লক্ষ্য। নতুন আত্মপ্রকাশ করা ক্রিয়েটিভ মিডিয়া কাউন্সিল সিএমআইএসসি’র লক্ষ্য, দেশের সৃষ্টিশীল ক্ষেত্রে দক্ষ মানবসম্পদের বিকাশ নিশ্চিত করা।

নতুন এই কাউন্সিলের সভাপতি ধানসিঁড়ি কমিউনিকেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শমী কায়সার, সহসভাপতি ডিজিটাল এক্সপ্রেশনের এমডি সৈয়দ আপন আহসান, সাধারণ সম্পাদক উইন্ডমিল অ্যাডভার্টাইজিংয়ের এমডি সাব্বির রহমান তানিম ও কোষাধ্যক্ষ কনটেন্ট ম্যাটারস-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) এ এস এম রফিক উল্লাহ।

এছাড়াও কাউন্সিলটিতে ১৪ জন স্বনামধন্য শিল্প ব্যক্তিত্বের একটি পরিচালক প্যানেল রয়েছে। তাদের মধ্যে রয়েছেন— দুরন্ত টিভির পরিচালক অভিজিৎ চৌধুরী, রংধনু মিডিয়ার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সানাউল্লাহ লাভলু, ইএমএমএ’র সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান তারেক, গ্রে অ্যাডভার্টাইজিংয়ের এমডি সৈয়দ গাউসুল আলম শাওন, এশিয়াটিক থ্রিসিক্সটির উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ইরেশ যাকের, চ্যানেল আইয়ের মহাব্যবস্থাপক শহিদুল আলম সাচ্চু, জিটিভি’র সাবেক এমডি আমান আশরাফ ফয়েজ, ইমএমএ’র সভাপতি আখতার হোসাইন, সংগীত ব্যক্তিত্ব শেখ মুনিরুল আলম টিপু, জিটিভি’র এডিটর ইন চিফ সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, জি সিরিজের নাজমুল হক, রেডিও ফূর্তির রেজাউল হক ও চ্যানেল আইয়ের ইবনে হাসান খান।

সারাবাংলা/ইএইচটি/টিআর

ইরেশ যাকের এ এস এম রফিক উল্লাহ এনএসডিএ ক্রিয়েটিভ মিডিয়া কাউন্সিল গাউসুল আলম শাওন জুনাইদ আহমেদ পলক টপ নিউজ ড. আহমদ কায়কাউস দক্ষতা উন্নয়ন শমী কায়সার সালমান এফ রহমান সিএমআইএসসি সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

এখনো সালমানকে মিস করেন মৌসুমী
৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৭:৩৩

সম্পর্কিত খবর