কারা অস্ত্র বিক্রি করে — পোপের প্রশ্ন
১০ মার্চ ২০২১ ২২:২০
পোপ ফ্রান্সিস সন্ত্রাসীদের কাছে বিক্রি করার জন্য অস্ত্র নির্মাতা এবং পাচারকারী উভয়েরই নিন্দা জানিয়েছেন। খবর রয়টার্স।
বুধবার (১০ মার্চ) ভ্যাটিকান থেকে শ্রোতাদের উদ্দেশে দেওয়া অনলাইন ভাষণে পোপের সাম্প্রতিক ইরাক সফরের অভিজ্ঞতা সামনে এসেছে। ওই সফরকে খ্রিস্টান ও মুসলিম উভয় ধর্মের অনুসারীদের জন্য বছরের পর বছর ধরে চলা যুদ্ধ, সন্ত্রাসবাদের, মহামারির মধ্যে একটি আশার ইঙ্গিত বলে বর্ণনা করেন তিনি।
পাশাপাশি, পূর্বসূরীরা যেখানে যেতে পারেননি সেই ইরাকে যেতে পেরে তিনি কৃতজ্ঞ উল্লেখ করেন পোপ ফ্রান্সিস। তিনি বলেন, ইরাকের মানুষের শান্তিতে বসবাস করার অধিকার আছে। তাদের নিজস্ব মর্যাদা নতুন করে আবিষ্কার করার অধিকার আছে।
এর আগে, ইরাক সফরকালে রোববার (৭ মার্চ) দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় শহর মসুলে যান পোপ ফ্রান্সিস, শহরটি ২০১৪ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত ইসলামিক স্টেটের (আইএস) দখলে ছিল। সেখানে তিনি যুদ্ধবিধ্বস্ত ঘরবাড়ি ও গির্জার ধ্বংসাবশেষ দেখেছেন। সেই অভিজ্ঞতার কথা বর্ণনা করতে গিয়ে পোপ বলেন, তিনি নিজেই নিজেকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন (সফরকালে), সন্ত্রাসীদের কাছে কারা অস্ত্র বিক্রি করেছে? সেই অস্ত্র দিয়ে কারা নির্বিচারে মানুষ হত্যা করছে?
এটি এমন এক প্রশ্ন, পোপ চান কেউ একজন তার উত্তর দেবে।
এর আগে ফ্রান্সিস বলেছিলেন, অস্ত্র নির্মাতা এবং পাচারকারীদের একদিন খোদার কাছে জবাব দিতে হবে।
প্রসঙ্গত, ইরাকের খ্রিস্টানরা বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন সম্প্রদায়। এক সময় দেশটিতে খ্রিস্টানদের সংখ্যা প্রায় ত্রিশ লাখের মতো ছিল, কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের আক্রমণ ও পরবর্তী জঙ্গি সহিংতার পর এ সংখ্যা কমে এখন ১৫ লাখে দাঁড়িয়েছে। ইরাক দীর্ঘস্থায়ী অব্যবস্থাপনা, দুর্নীতি ও ধারাবাহিক সহিংসতায় ভুগছে। এসব সহিংসতা প্রায়ই ওই অঞ্চলে প্রভাব বিস্তার নিয়ে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বিদ্যমান প্রতিদ্বন্দ্বিতার সঙ্গে সম্পর্কিত, যা যুক্তরাষ্ট্র ইরাকে আক্রমণ চালানোর পর থেকে ১৮ বছর ধরে অব্যাহত আছে।
সারাবাংলা/একেএম
অস্ত্র বিক্রি ইরাক পোপ ফ্রান্সিস ভ্যাটিকান মসুল সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড