করোনার আগের অবস্থায় ফেরেনি ৩৪ শতাংশ বেসরকারি চাকরিজীবীর আয়
১১ মার্চ ২০২১ ০৯:৫২
ঢাকা: করোনা মহামারির সময় আয় কমে যাওয়া বেসরকারি চাকরিজীবীর ৩৪ দশমিক ২ শতাংশের আয় আগের অবস্থায় ফেরেনি। এছাড়া আত্মকর্মসংস্থানের মাধ্যমে উপার্জনকারীদের ৩৭ দশমিক ৩ শতাংশের উপার্জনও করোনার আগের অবস্থায় ফেরেনি।
সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিং (সানেম) পরিচালিত এক জরিপ প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে আসে।
বুধবার (১০ মার্চ) এক ভার্চুয়াল প্রেস কনফারেন্সে ‘কোভিড-১৯ ইমপ্যাক্ট অন লেবার মার্কেট অ্যান্ড মাইগ্রেশন: রেজাল্টস ফ্রম সানেমস সার্ভে’ শীর্ষক এক গবেষণা প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়। চলতি বছরের জানুয়ারি এবং ফেব্রুয়ারিতে গবেষণাটি পরিচালিত হয়। গবেষণা জরিপে অংশগ্রহণকারী ২ হাজার ৮৪৫টি পরিবার ছিল অ-অভিবাসী এবং ২৩০টি পরিবার দেশের এক অঞ্চল থেকে অন্যত্র স্থানান্তর করে, ২৭৩টি পরিবার ছিল অভিবাসী।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বেতনভুক্ত ৭ দশমিক ৮৮ শতাংশ কর্মচারি এখনও বেকার। জরিপে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, বরিশাল বিভাগে বেকারত্বের হার সর্বোচ্চ ১২ দশমিক ৯৪ শতাংশ এবং খুলনায় বেকারত্বের হার সর্বনিম্ন ৩ দশমিক ২৩ শতাংশ। এছাড়াও প্রতিবেদনে মহামারির সময় আন্তর্জাতিক অভিবাসীদের ২০ শতাংশ চাকরি হারায় বলেও উল্লেখ করা হয়।
প্রতিবেদনে অ-অভিবাসী অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে, ৫১ দশমিক ৬ শতাংশ ছিলেন বেতনভুক্ত কর্মচারি, ৪১ দশমিক ৫ শতাংশ ছিলেন স্বনির্ভর এবং ৬ দশমিক ৯ শতাংশ ছিলেন সম্পূর্ণ কর্মহীন। এতে বলা হয়, পরিবহন খাত ৫৫ দশমিক ৩ শতাংশ, নির্মাণ বাণিজ্য ৪০ দশমিক ৫ শতাংশ, কৃষি, বন এবং মৎস্য খাত ৩৮ দশমিক ৪ শতাংশ, তৈরি পোশাক উৎপাদনকারী ৩৭ দশমিক ৮ শতাংশ, নন-আরএমজি প্রস্তুতকারক ৩২ দশমিক ৭ শতাংশ এবং পাইকারি ও খুচরা ব্যবসা ১৮ দশমিক ৭ শতাংশের আয় এখনো স্বাভাবিক হয়নি। ঢাকায় ৩১ দশমিক ১ শতাংশ চাকুরিজীবী এবং ৪১ দশমিক ৮ শতাংশ স্বনির্ভর মানুষের উপার্জনই এখন পর্যন্ত স্বাভাবিক হয়নি বলেও উল্লেখ করা হয়।
সানেমের গবেষণা পরিচালক ডক্টর সায়েমা হক বিদিশা প্রতিবেদনে প্রাপ্ত তথ্যগুলো উপস্থাপন করেন। সানেমের নির্বাহী পরিচালক ডক্টর সেলিম রায়হান আয়োজনটি পরিচালনা করেন।
সারাবাংলা/জিএস/এসএসএ