বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী উদযাপনে দেশজুড়ে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা
১১ মার্চ ২০২১ ১০:০৯
ঢাকা: জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে দেশজুড়ে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা জোরদার করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি জানান, রাজধানীসহ বিভিন্ন জেলায় যেসব অনুষ্ঠান হবে, সেসকল স্থানে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। দশ দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান, সরকার প্রধান ও বিশিষ্ট ব্যক্তিসহ বিদেশি অতিথিদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেওয়া হবে।
বুধবার (১০ মার্চ) সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে গঠিত নিরাপত্তা বিষয়ক উপকমিটির বৈঠক শেষে তিনি এসব তথ্য জানান।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকীর অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশে আসাকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা সংক্রান্ত সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার সৃষ্টি হবে না। আমাদের কাছে কোনো গোপন সংবাদও নেই। আমরা মনে করি সবাই বাংলাদেশকে ভালবাসে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে ভালবাসে। জাতির পিতার উৎসবে কেউ সমস্যা সৃষ্টি করবে বলে আমরা মনে করছি না।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান, সরকার প্রধান এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিদের জন্য নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তারা ঢাকার বাইরে যেসব স্থানে যোগ দেবেন বা পরিদর্শনে যাবেন সেসব স্থানে গোয়েন্দা নজরদারিসহ সব নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেজন্য ১৫ মার্চ থেকে ২৬ মার্চ পর্যন্ত সব অনুষ্ঠান পালনের জন্য সকল রাজনৈতিক দলসহ সকলের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছি।
তিনি বলেন, অতিথিদের যাতায়াতের, অবস্থানের জায়গা সবর্ত্র নিরাপত্তা বেষ্টিত থাকবে। জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে নিরাপত্তা ব্যবস্থা সমন্বয়ের জন্য একটি কন্ট্রোল রুম থাকবে। যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা রোধে ৯৯৯ এর মাধ্যমে জরুরী সেবা দেওয়া হবে।
সংবাদ ব্রিফিং এ পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম জানান, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে যোগ দিতে এখন পর্যন্ত ভারত, শ্রীলংকা, নেপাল ও মালদ্বীপের রাষ্ট্র প্রধানদের আসার কথা রয়েছে।
এ প্রসঙ্গে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী অনুষ্ঠানের মূখ্য সমন্বয়ক কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী জানান, পুরো অনুষ্ঠান সারা পৃথিবী দেখবে। এটি একটি বড় আকারের প্রোগ্রাম। সবাই যেন দেখতে পারে সে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। অনুষ্ঠানের দিনগুলোতে বিভিন্ন সেক্টরের সর্বোচ্চ ৫০০ অতিথিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। যারা আমন্ত্রিত অতিথি তাদের সবার কোভিড-১৯ নেগেটিভ সনদ নিয়ে আসতে হবে। এই টেস্টের মেয়াদ থাকবে ৪৮ ঘণ্টা। ১০ দিনের অনুষ্ঠানে চারদিন অতিথিরা স্বশরীরে উপস্থিত থাকবেন। বাকি ছয়দিন ভার্চুয়ালি হবে।
সারাবাংলা/জেআর/এসএসএ