ঢাকা: স্বাস্থ্য অধিদফতরের গাড়িচালক আব্দুল মালেককের (৬৩) বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনের মামলায় চার্জগঠন করেছেন আদালত। এর মধ্য দিয়ে আসামির বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হলো।
বৃহস্পতিবার (১১ মার্চ) সকালে ঢাকা মহানগর বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক কেএম ইমরুল কায়েশ এ আদেশ দেন। আগামী ৫, ৬, ৭ ও ৮ এপ্রিল আসামির বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ ধার্য করেন।
এসময় আসামিপক্ষের আইনজীবী আব্দুল মান্নান অব্যাহতি চেয়ে শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে সংশ্লিষ্ট আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল এর বিরোধিতা করে চার্জগঠনের প্রার্থনা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত আসামির কাছে জানতে চান, তিনি দোষী না নির্দোষ। এসময় মালেক নিজেকে নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার প্রার্থনা করেন।
এর আগে, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র্যাব-১ এর এসআই মেহেদী হাসান চৌধুরী গত ১১ জানুয়ারি চার্জশিট দাখিল করেন।
চার্জশিটে শিবলু নামে আরেক আসামির প্রকৃত নাম-ঠিকানা উদঘাটনসহ গ্রেফতার করতে না পারায় অব্যাহতির আবেদন করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা। পরবর্তীতে নাম-ঠিকানা পেলে তার বিরুদ্ধে সম্পূরক চার্জশিট দাখিলের কথা জানানো হয়েছে চার্জশিটে।
গত বছরের ২০ সেপ্টেম্বর ভোরে রাজধানীর তুরাগ এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তার কাছ থেকে ১টি বিদেশি পিস্তল, ১টি ম্যাগাজিন, ৫ রাউন্ড গুলি, দেড় লাখ টাকার বাংলাদেশি জাল নোট, ১টি ল্যাপটপ ও মোবাইল জব্দ করা হয় বলে জানিয়েছে র্যাব।
র্যাব জানায়, রাজধানীর তুরাগ এলাকায় আব্দুল মালেক ওরফে ড্রাইভার মালেক অবৈধ অস্ত্র ব্যবসা, জাল টাকার ব্যবসা, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত। ওই এলাকায় তিনি সাধারণ মানুষকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে শক্তির মহড়া ও দাপট দেখিয়ে ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করেছেন। এমন অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার পর অভিযান চালিয়ে তুরাগে কামারপাড়ার বামনের টেক এলাকার ৪২ নাম্বার হাজি কমপ্লেক্স নামের ৭ম তলা ভবনের তৃতীয় তলা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
র্যাব আরও জানায়, মালেক পেশায় স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিবহন পুলের একজন চালক এবং তৃতীয় শ্রেণির কর্মকর্তা। তিনি ১৯৮২ সালে সাভার স্বাস্থ্য প্রকল্পে চালক হিসেবে যোগদান করেন। পরবর্তীতে ১৯৮৬ সালে স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিবহন পুলে চালক হিসেবে চাকরি শুরু করেন। বর্তমানে তিনি প্রেষণে স্বাস্থ্য ও শিক্ষা অধিদফতরে কাজ করেন।