কোভিড-১৯-এর তুলনায় ২১ দশমিক ৮৭ গুণ মৃত্যু হার্ট অ্যাটাকে
১১ মার্চ ২০২১ ১৩:৫৭
ঢাকা: গত বছর সারাদেশে কোভিড-১৯-এর তুলনায় হার্ট অ্যাটাকে ২১ দশমিক ৮৭ গুণ বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া ২০১৯ সালের তুলনায় ২০২০ সালে বিভিন্ন কারণে ৩১ হাজার ৪১২ জন বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস)।
বুধবার (১০ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়।
এমএসভিএসবি প্রকল্প থেকে জরিপের মাধ্যমে এই প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করা হয়েছে বলে জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী, বিবিএসের মহাপরিচালক মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম ও এমএসভিএসবি প্রকল্পের পরিচালক এ কে এম আশরাফুল হক।
ইয়ামিন চৌধুরী বলেন, ‘২০২০ সালে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৮ হাজার ২৪৮ জনের। একই সময়ে হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছেন ১ লাখ ৮০ হাজার ৪০৮ জন। ২০৯ সালে হার্ট অ্যাটাকে মারা যান ১ লাখ ৪৭ হাজার ২৫৯ জন। এছাড়া হার্টের অন্যন্য অসুখে ২০১৯ সালে মারা গেছেন ৬৭ হাজার ৭ জন এবং ২০২০ সালে ৪৩ হাজার ২০৪ জন।’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৯ সালে দেশে ৮ লাখ ২২ হাজার ৮৪১ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে এবং ২০২০ সালে ৮ লাখ ৫৪ হাজার ২৫৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। অর্থাৎ ২০১৯-এর তুলনায় ২০২০ সালে মৃত্যু বেড়েছে ৩১ হাজার ৪১২ জনের।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ২০১৯ সালে ডায়াবেটিসে মারা যান ২২ হাজার ৩০ জন, ২০২০ সালে ২৫ হাজার ৬ জন। ২০১৯ সালে কিডনির অসুখে মারা যান ১০ হাজার ৬২২ জন এবং ২০২০ সালে ২৮ হাজার ১৭ জন। ২০১৯ সালে ব্রেইন স্ট্রোকে মৃত্যুবরণ করেন ৪৫ হাজার ৫০২ জন এবং ২০২০ সালে ৮৫ হাজার ৩৬০ জন। ২০১৯ সালে স্তন ক্যানসারে মারা যান ১ হাজার ১৮০ জন এবং ২০২০ সালে ৩ হাজার ১১ জন। তবে বেশ কিছু রোগে মানুষের মৃত্যুহার কমেছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।
তবে ২০১৯ সালে যৌন রোগে ১৩১ জনের মৃত্যু হলেও ২০২০ সালে কারও মৃত্যু হয়নি। এছাড়া সূতিকা ও এইচআইভি (এইডস) রোগে গত বছরে কারও মৃত্যু হয়নি।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ২০১৯ সালে ডেঙ্গুতে মারা গেছেন ২ হাজার ৩৬০ জন, ২০২০ সালে সেটি কমে দাঁড়ায় ৭৮৬ জনে। এছাড়া চিকনগুনিয়ায় ২০১৯ সালে মারা যান ৪ হাজার ৪৫৮ জন। ২০২০ সালে সেটি কমে গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৫২৪ জনে। এছাড়া বেড়েছে ব্রেইন ক্যানসারের মৃত্যুর সংখ্যা। ২০১৯ সালে ছিল ৩ হাজার ৫৪১ জন, তবে ২০২০ সালে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ২৩৭ জনে।
এ কে এম আশরাফুল হক জানান, দেশের ২ হাজার ১২টি নমুনা এলাকা থেকে প্রতিনিয়ত নির্ধারিত গণনাকারীরা তথ্য সংগ্রহ করছেন। তাদের তথ্য এবং রিয়েল টাইম তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে। তবে এটির চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করা আগামী আগামী জুন মাসে।
সারাবাংলা/জেজে/এমআই