Sunday 18 May 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বিশুদ্ধ পানির জন্য ট্যাপ-টিউবওয়েলের ব্যবহার বাড়ছে


২২ মার্চ ২০১৮ ০৮:৩৮ | আপডেট: ৫ নভেম্বর ২০১৮ ২০:১৮

জোসনা জামান ।।স্টাফ করেসপন্ডেন্ট।।

ঢাকা : দেশে বিশুদ্ধ পানির ব্যবহার বাড়ছে। এক্ষেত্রে পরিবারে পানির উৎস হিসেবে ট্যাপ ও টিউবওয়েলের ব্যবহার দিন দিন বেড়েই চলছে। ২০১৩ সালে এ দুটি উৎসের ব্যবহার ছিল ৯৭ দশমিক ৫ শতাংশ পরিবারে। ২০১৬ সালে এ হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৮ শতাংশে। মাঝের বছরগুলোতেও ক্রমাগত বেড়েছে। ২০১৪ সালে ট্যাপ ও টিউবওয়েল ব্যবহার হতো ৯৭ দশমিক ৮ শতাংশ পরিবারে, ২০১৫ সালে সেটি বেড়ে হয় ৯৭ দশমিক ৯ শতাংশ। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) এর জরিপ থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। ‘বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্টাটিসটিকস-২০১৬’ শীর্ষক প্রতিবেদনটি গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে প্রকাশ করে সংস্থাটি।

বিজ্ঞাপন

এ প্রসঙ্গে জরিপটি পরিচালনার জন্য বাস্তবায়িত মনিটরিং দ্য সিচুয়েশন অব ভাইটাল স্টাটিসটিকস অব বাংলাদেশ (এমএসভিএসবি) প্রকল্পের পরিচালক একেএম আশরাফুল হক বুধবার (২১ মার্চ) সারাবাংলাকে বলেন, সারাদেশের ২ হাজার ১২টি নমুনা এলাকা থেকে তথ্য সংগ্রহ করে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে। এক্ষেত্রে দ্বৈত পদ্ধতিতে দুটি পৃথক তথ্য সংগ্রহ পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়েছে। একটি হচ্ছে, স্থানীয়ভাবে নির্বাচিত ও এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা, একজন স্থানীয় রেজিস্টারের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ। অন্যটি হচ্ছে, পরিসংখ্যান ব্যুরোর মাঠ পর্যায়ের কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের মাধ্যমে প্রতি তিন মাস অন্তর একই তথ্য গণনা ও তদারকির ভিত্তিতে এলাকার নমুনা তথ্য সংগ্রহ করা হয়। তাই বলা হয় এর জরিপের ফলাফল ভুল হওয়ার সম্ভাবনা কম। তিনি বলেন, মানুষের মধ্যে সচেতনতা ও সক্ষমতা বাড়ায় বর্তমানে বিশুদ্ধ পানির ব্যবহার বাড়ছে।

বিজ্ঞাপন

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আলাদাভাবে সারাদেশে ১৪ দশমিক ৪ শতাংশ পরিবারে ট্যাপের পানি ব্যবহার করা হয়। এর মধ্যে গ্রামে ব্যবহার করে মাত্র ৩ দশমিক ৯ শতাংশ পরিবার এবং শহরে ২৭ দশমিক ১ শতাংশ পরিবার ট্যাপের পানি ব্যবহার করে। অন্যদিকে, বিভাগীয় পর্যায়ে সবচেয়ে বেশি ট্যাপের পানি ব্যবহার করে ঢাকার ২৬ দশমিক ৩ শতাংশ পরিবার। এছাড়া দ্বিতীয় অবস্থানে চট্টগ্রামে বিভাগে ১৭ দশমিক ৫ শতাংশ, তৃতীয় অবস্থানে সিলেটে ২০ দশমিক ৫ শতাংশ পরিবারে ট্যাপ ব্যবহার করে। অন্যান্য বিভাগের মধ্যে রাজশহী বিভাগে ১২ দশমিক ১ শতাংশ, বরিশাল বিভাগে ৭ শতাংশ, খুলনা বিভাগে ৬ দশমিক ৪ শতাংশ এবং রংপুর বিভাগে সবচেয়ে কম ৩ শতাংশ পরিবারে ট্যাপের পানি ব্যবহার করা হয়।

সারাদেশে মোট ৮৩ দশমিক ৬ শতাংশ পরিবার টিউবওয়েল ব্যবহার করে। এর মধ্যে শহরের ৭২ শতাংশ পরিবার এবং গ্রামের ৯৩ শতাংশ পরিবার টিউবওয়েল ব্যবহার করে। এছাড়া টিউবওয়েল ব্যবহার সবচেয়ে বেশি রংপুর বিভাগে ৯৬ দশমিক ৭ শতাংশ। দ্বিতীয় অবস্থানে খুলনা বিভাগে ৯০ দশমিক ৭ শতাংশ, তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে খুলনা ও রাজশাহী বিভাগ ৮৭ দশমিক ৫ শতাংশ পরিবার টিউবওয়েল ব্যবহার করে। এছাড়া সব চেয়ে কম টিউবওয়েল ব্যবহার কওে ৭৩ দশমিক ৪ শতাংশ পরিবার টিউবওয়েল ব্যবহার করে।

এখনও কুয়ার পানি ব্যবহার করে শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ পরিবার। এর মধ্যে শহরে শূন্য দশমিক ৩ শতাংশ এবং গ্রামে শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ পরিবারের পানির উৎস কুয়া। সবচেয়ে বেশি কুয়ার পানি ব্যবহার হয় সিলেট বিভাগে ২ শতাংশ এবং সবচেয়ে কম কুয়া ব্যবহার হচ্ছে ঢাকা ও খুলনা বিভাগে শূন্য দশমিক ১ শতাংশ।
সারাদেশে পুকুরের পানি ব্যবহার করে মোট শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ পরিবার। এর মধ্যে গ্রামে ১ দশমিক ৩ শতাংশ পরিবারের পানির উৎস হচ্ছে পুকুর। সবচেয়ে বেশি পুকুরের পানি ব্যবহার হয় খুলনা বিভাগে ৩ দশমিক ২ শতাংশ পরিবারে।

দেশে মোট শূন্য দশমিক ২ শতাংশ পরিবারে এখনো নদী বা নালার পানি ব্যবহার করছে। এর মধ্যে গ্রামের শূন্য দশমিক ২ শতাংশ এবং শহরের শূন্য দশমিক ১ শতাংশ পরিবার নদী বা নালার পানি ব্যবহার পানি ব্যবহার করে। সিলেট বিভাগে সবচেয়ে বেশি শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ পরিবারে নদী ও নালার পানি ব্যবহার করে।
দেশে মোট বৃষ্টির পানি ব্যবহার করে শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ পরিবার। এর মধ্যে শূন্য দশমিক ৬ শতাংশ পরিবার গ্রামের আর শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ পরিবার শহরের। খুলনা বিভাগের সবচেয়ে বেশি ২ দশমিক ৬ শতাংশ পরিবার বৃষ্টির পানির ব্যবহার করে।

সারাবাংলা/জেজে/এসআই

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর