কৃত্রিম ফুলের ব্যবহার বন্ধের আহ্বান কৃষিমন্ত্রীর
১১ মার্চ ২০২১ ১৯:৫৯
ঢাকা: কৃত্রিম ফুলের ব্যবহার বন্ধের আহ্বান জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. রাজ্জাক বলেছেন, সব ক্ষেত্রে আমাদের কৃত্রিম ফুলের ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। সরকারি, বেসরকারি, সামাজিক ও ব্যক্তিগত পর্যায়ে কৃত্রিম ফুলের বন্ধ করা জরুরি। কৃত্রিম ফুলের ব্যবহার বন্ধ হলে ফুলের চাষ আরও বাড়বে। ফুল চাষিরা অনেক লাভবান হবে। পাশাপাশি কৃত্রিম ফুলের ব্যবহারের কারণে পরিবেশের যে ক্ষতি হয়, তা থেকেও রক্ষা পাওয়া যাবে।
বৃহস্পতিবার (১১ মার্চ) রাজধানীতে বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ (বিসিএসআইআর) চত্বরে ‘বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষ্যে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়াধীন বিসিএসআইআর এ সম্মেলনের আয়োজন করে।
গবেষক-বিজ্ঞানিদেরকে গবেষণাকর্মে আরও এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘গবেষণায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অত্যন্ত উদারভাবে পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ দিচ্ছেন। ফলে গবেষণায় এখন অর্থ নিয়ে কোন সমস্যা নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অত্যন্ত দূরদর্শী ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বের মাধ্যমে ইতোমধ্যে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হয়েছে। ২০৩০ সালের মধ্যে উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ দেশে উন্নীত হতে হলে আমাদেরকে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবে সামিল হতে হবে। সেজন্য, কৃষি, শিল্প, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিসহ সকল ক্ষেত্রে গবেষণা ও উদ্ভাবন বৃদ্ধি করতে হবে।’
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান। গেস্ট অব অনার হিসাবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, বিশেষ অতিথি হিসাবে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ডা. আফম রুহুল হক এবং পৃষ্ঠপোষক হিসাবে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আনোয়ার হোসেন উপস্থিত ছিলেন। সভাপতিত্ব করেন আয়োজক কমিটির সভাপতি ও বিসিএসআইআর’র চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. আফতাব আলী শেখ।
উল্লেখ্য, তিন দিনব্যাপী এ আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বাংলাদেশ, আমেরিকা, কানাডা, জার্মানি, চীন ও ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সাতশ’র বেশি বিজ্ঞানি, গবেষক ও প্রকৌশলী সশরীরে ও ভার্চুয়ালি অংশ নেন। ‘ভবিষ্যতের প্রযুক্তি’ প্রতিপাদ্যে সম্মেলনে একইসঙ্গে ১২টি ভেন্যুতে ১ হাজারের বেশি গবেষণাকর্ম উপস্থাপিত হবে।
সারাবাংলা/ইএইচটি/এমও