ওয়ালটন হবে গবেষণার কেন্দ্র, ৪ বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে চুক্তি
১২ মার্চ ২০২১ ০০:০৬
ওয়ালটনকে দেশের প্রকৌশল গবেষণার কেন্দ্রে পরিণত করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ চলছে। দেশের প্রযুক্তি খাতের অন্যতম শীর্ষ কোম্পানিটি বলছে, এর ফলে প্রকৌশল গবেষকরা বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি নিয়ে ওয়ালটন কারখানায় গবেষণা ও কাজের সুযোগ পাবেন, যারা আগামী দিনে দেশকে নেতৃত্ব দেবেন। এতে ‘ব্রেইন ড্রেইন’ হয়ে দেশের মেধা পাচার হবে না।
এ উদ্দেশ্য সামনে রেখে দেশের চারটি প্রকৌশল, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সই করেছে ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। চুক্তির ফলে আন্ডারগ্র্যাজুয়েট ও গ্র্যাজুয়েট শিক্ষার্থীদের থিসিস, কারখানায় ইন্টার্নশিপ ও ট্রেনিং, পরামর্শক দলের কারখানা পরিদর্শন, কর্মীদের উন্নয়ন ইত্যাদি ক্ষেত্রে উভয় প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে কাজ করবে।
ওয়ালটন থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, তাদের সঙ্গে যে চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হয়েছে তারা হলো— ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি (আইইউটি), রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট), খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) ডিপার্টমেন্ট অব মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) ডিপার্টমেন্ট অব ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং।
বুধবার (১০ মার্চ) ওই চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৬ জন শিক্ষক গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন কারখানা পরিদর্শন করেন। ওই সময় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে ওয়ালটনের আলাদা আলাদা সমঝোতা চুক্তি সই হয়।
ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজিং ডিরেক্টর প্রকৌশলী গোলাম মুর্শেদ। আইইউটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, রুয়েটের ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের প্রধান অধ্যাপক ড. মো. মোশাররফ হোসেইন, কুয়েটের ম্যাকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের প্রধান অধ্যাপক ড. মো. শহিদুল ইসলাম এবং শাবিপ্রবি’র ডিপার্টমেন্ট অব ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের প্রধান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মুহসিন আজিজ খান নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন।
ওয়ালটন কারখানা পরিদর্শনকারী শিক্ষকদের মধ্যে আরও ছিলেন আইইউটির উপউপাচার্য ড. ওমর জাহ, অধ্যাপক ড. মো. আশরাফুল হক, অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রাকিবুল ইসলাম, চিফ অব এস্টাবলিশমেন্ট মো. গোলাম সালেক, রেজিস্ট্রার ড. মউবেসা উমর, অধ্যাপক ড. মো. রুহুল আমিন, অধ্যাপক ড. এনায়েত উল্লাহ পাটোয়ারি, অধ্যাপক ড. হোসেইন মো. শাহিন, অধ্যাপক ড. মো. হামিদুর রহমান এবং কম্পট্রোলার মারুফুল ইসলাম ভুঁইয়া।
রুয়েট শিক্ষকরা হলেন অধ্যাপক ড. মিয়া মো. জগলুল শাহাদাত, অধ্যাপক ড. মো. ফারুক হোসেইন, অধ্যাপক ড. মো. এমদাদুল হক এবং ড. মোহাম্মদ নুরুর রহমান। চুক্তি সই অনুষ্ঠানে অনলাইনের মাধ্যমে যুক্ত হন রুয়েটের উপউপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম শেখ।
ওয়ালটন কারখানা পরিদর্শনকারী কুয়েট শিক্ষকদের মধ্যে ছিলেন অধ্যাপক ড. মো. কুতুব উদ্দীন, অধ্যাপক ড. খন্দকার আফতাব হোসেইন, অধ্যাপক ড. এ এন এম মিজানুর রহমান, অধ্যাপক মো. গোলাম কাদের, অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাসুদ ও সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. আবদুল্লাহ আল বারি।
শাবিপ্রবি প্রতিনিধিদলে ছিলেন অধ্যাপক ড. মো. আবু হায়াত মিঠু, অধ্যাপক ড. এ বি এম আবদুল মালেক ও অধ্যাপক ড. আহমেদ সায়েম।
এর আগে বুধবার সকালে কারখানা কমপ্লেক্সে পৌঁছালে অতিথিদের ফুল দিয়ে স্বাগত জানান ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর হুমায়ূন কবীর ও আলমগীর আলম সরকার।
এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর উদয় হাকিম, কর্নেল (অব.) এস এম শাহাদাত আলম, ফিরোজ আলম, ইউসুফ আলী, মীর মুজাহেদীন ইসলাম, আনিসুর রহমান মল্লিক, তাপস কুমার মজুমদার, তোফায়েল আহমেদ ও ইয়াসির আল ইমরানসহ অন্যরা।
সারাবাংলা/টিআর