Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

আকাশে উড়ছে মুরগি, সোনায় মুড়ছে পেঁয়াজ

শেখ জাহিদুজ্জামান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
১২ মার্চ ২০২১ ১৩:০৪

ঢাকা: মাত্র ১৫ দিন পরে বাজারে আসা কোনো ক্রেতা মুরগির দাম শুনলে ভাবতেই পারেন, হয়তবা এই মুরগি আকাশে উড়বে; নয়তবা ময়ূরের পেখম গজিয়েছে তার। অন্যদিকে যথারীতি আবারও বাজার গরম শুরু করেছে পেঁয়াজ। যেন তার খোসায় লেগে আছে সোনার প্রলেপ। মোটামুটি স্থিতিশীল থাকা চিনির দামও বাড়ছে। সবজিতে স্বস্তির শান্তনা ছাড়া কিছুই নেই ক্রেতাদের জন্য।

শুক্রবার (১২ মার্চ) সকালে কারওয়ানবাজার ঘুরে দেখে গেছে, সোনালী মুরগি কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৩৬০ টাকায়। গত কালও যা ছিল ৩২০ টাকা। একদিনের ব্যবধানে সোনালী মুরগির দাম বেড়েছে কেজিতে ৪০ টাকা। লেয়ার মুরগি কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ২১০ টাকা, যা দুইদিন আগেও ছিল ১৮০ টাকা। ব্রয়লার মুরগি কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ১৫৫-১৬০ টাকা। যা দুইদিন ছিল ১৪০-১৪৫ টাকা। পাকিস্তানি ডিম মুরগি বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ৩২০ টাকা। সাদা কক কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৩৪০ টাকা। যা গত সপ্তাহেও ছিল ২৮০ টাকা। তবে দেশি মুরগির দাম মোটামুটি অপরিবর্তিত। বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ৪৫০ টাকা।

বিজ্ঞাপন

কাওরান বাজারের মুরগি বিক্রেতা আশিকুর রহমান সারাবাংলাকে বলেন, বাজারে মুরগি নেই। ফার্মগুলোতে মুরগির ঘাটতি রয়েছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে যা আসছে তা চাহিদার তুলনায় অনেক কম। স্বাভাবিকভাবেই দাম বাড়ছে।

বাজার করতে আসা হান্নান শেখ সারাবাংলাকে বলেন, গত সপ্তাহের ব্যবধানে মুরগির দাম অনেক বেড়েছে। সবকিছুরই দাম বাড়তি। এভাবে বাজার চলতে পারে না।

দুই-তিনদিনের ব্যবধানে বেড়েছে পেঁয়াজের দামও বেড়েছে কেজিতে প্রায় ১০ টাকা। ৩৫ টাকার দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকা। অপরদিকে চিনির দামও বেড়েছে বাজারে। গত সপ্তাহে খোলা চিনি কেজি প্রতি বিক্রি হয়েছে ৬৫ টাকা। যা এখন বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা। আর প্যাকেট চিনি বিক্রি হচ্ছে ৭৫ টাকা। যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছিল ৭০ টাকা।

বিজ্ঞাপন

চিনির দাম বেশি হওয়া প্রসঙ্গে কাওরান বাজারের মুদি দোকানদার সারাবাংলাকে বলেন, কোম্পানি থেকে চিনি আসে, সেটা আমরা বিক্রি করি। তাই দাম বাড়লেও আমাদের কিছুই করার থাকে না।

চালের বাজারে দেখা গেছে, মিনিকেট চাল বিক্রি হচ্ছে ৬২ থেকে ৬৫ টাকার ভেতরে। ২৮ চাল বিক্রি হচ্ছে কেজি ৫০ টাকায়। পাইজাম চাল কেজি ৪৮-৫০ টাকা। নাজিরশাল চাল কেজি ৬৮ টাকা। ভারতীয় ২৮ চাল কেজি ৫০-৫২ টাকা। রশিদ মিনিকেট কেজি ৬৪ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজার ঘুরে আরও দেখা গেছে, বাজারে চায়না আদা বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা। দেশি আদা ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পেঁপে কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা, শশা ৪০ টাকা, কাকরোল ৬০ টাকা, ফুলকপি পিস ২৫ টাকা, গাজর ২৫ টাকা, টমেটো ২০ টাকা, আলু ২০ টাকা, বেগুন ৪০ টাকা, পটল ৭০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া পিস ৫০ টাকা, কাঁচামরিচ ৪০ টাকা। ঢেঁড়স কেজি ৪০ টাকা। ডিমের দামও অপরিবর্তিত। ডজন বিক্রি হচ্ছে ৮০-৮৫ টাকায়।

তেলের বাজার আগের মতোই রয়েছে। ৫ লিটার তীর সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ৬৩০ টাকা। যা মাস খানেক আগেও ছিল ৫৯০ টাকা। ৫ লিটার বসুন্ধরা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ৬২০ টাকা। যা মাস খানেক আগে ছিল ৫৯০ টাকা। আর রূপচাঁদা সয়াবিন তেল ৫ লিটার বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৬৩০ টাকায়। যা মাস খানেক আগেও ছিল ৫৮০ টাকা।

সারাবাংলা/এসজে/এএম

কাওরান বাজার ঢাকা বাজার দর

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর