‘মিয়ানমারের বিক্ষোভে এ পর্যন্ত ৭০ প্রাণহানি’
১২ মার্চ ২০২১ ১৪:৪৪
জাতিসংঘের মানবাধিকার তদন্ত কর্মকর্তা টমাস অ্যান্ড্রু বলেছেন, মিয়ানমারে ফেব্রুয়ারির সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে চলমান বিক্ষোভে অন্তত ৭০ জনকে হত্যা করেছে জান্তা প্রশাসন। তার মতে, বিক্ষোভ দমনে সামরিক বাহিনীর এই পদক্ষেপ মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসেবে গণ্য হতে পারে। খবর রয়টার্স।
জেনেভায় জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদকে টমাস অ্যান্ড্রু বলেছেন, জান্তা বাহিনীর হাতে মারা যাওয়া অর্ধেকের বেশি গণতন্ত্রপন্থির বয়স ২৫ এর নিচে। এছাড়াও, অভ্যুত্থানের পর থেকে দুই হাজারের বেশি মানুষকে বেআইনিভাবে আটক করা হয়েছে।
মিয়ানমার এখন খুনি এবং অবৈধ শাসকগোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনী বিক্ষোভকারী, চিকিৎসাকর্মী ও পথচারীদের সঙ্গে নির্মম আচরণ করছে, এমন ঘটনার ভিডিওচিত্র প্রমাণ হিসেবে রয়েছে।
এদিকে, সহিংসতার এমন ভিডিও রয়েছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে নিরাপত্তা বাহিনীর হামলার পরের পরিস্থিতি, বিক্ষোভকারীদের মাথায় গুলি করা হয়েছে এবং সেনাসদস্যরা গণতন্ত্রপন্থিদের মৃতদেহ সরিয়ে নিচ্ছে।
মিয়ানমারের পররাষ্ট্র সচিব চ্যান আয়ে বলেছেন, কর্তৃপক্ষ ‘সহিংস’ বিক্ষোভ মোকবিলায় সর্বোচ্চ ধৈর্য্যের পরিচয় দিচ্ছে।
জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের বৈঠকে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের বিরুদ্ধে সহিংস পদক্ষেপ নেওয়া থেকে বিরত থাকতে এবং গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা বুঝিয়ে দিতে সামরিক বাহিনীর ওপর চাপ সৃষ্টি করতে সব সদস্য রাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
তবে, মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে পরিচিত রাশিয়া এবং চীন সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধানে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। পাশাপাশি কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার নীতি সমুন্নত রাখার কথাও বলেছে তারা।
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক কংগ্রেসসদস্য টমাস অ্যান্ড্রু ওয়াশিংটন থেকে ভার্চুয়ালি ওই বৈঠকে অংশ নেন। তিনি বলেন, মিয়ানমারে মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং সমাবেশ করার অধিকারের মত মৌলিক অধিকারগুলো খর্ব করা হচ্ছে।
তাই, মিয়ানমারের ক্ষমতা দখলকারী জান্তা প্রশাসন এবং তাদের মালিকানাধীন মিয়ানমার অয়েল অ্যান্ড গ্যাস এন্টারপ্রাইজের বিরুদ্ধে বহুপক্ষীয় অবরোধ আরোপের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, এই তেল ও গ্যাস কোম্পানির আয় এ বছর একশ কোটি ডলারে পৌঁছাবে বলে পূর্বাভাস রয়েছে।
সারাবাংলা/একেএম