ব্যাংক কর্মকর্তাকে জিম্মি করে টাকা আদায়, গ্রেফতার ৪
১২ মার্চ ২০২১ ১৭:০২
চট্টগ্রাম ব্যুরো : চট্টগ্রাম নগরীতে বেসরকারি ব্যাংকের এক কর্মকর্তাকে ফাঁদে ফেলে টাকা আদায়ের অভিযোগ পেয়ে চার যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১১ মার্চ) নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে বাকলিয়া থানা পুলিশ তাদের গ্রেফতার করেছে বলে জানিয়েছেন নগর পুলিশের চকবাজার জোনের সহকারি কমিশনার (এসি) মোহাম্মদ রাইসুল ইসলাম।
গ্রেফতার চারজন হলেন মো. শহীদ আলম লেদু (৩০), জাহাঙ্গীর আলম (৩০), গিয়াস উদ্দিন (২৯) ও মো. রায়হান (২৮)।
ঘটনার শিকার ২৭ বছরের যুবক বেসরকারি একটি ব্যাংকের নগরীর হালিশহর শাখার সিনিয়র অফিসার।
এসি রাইসুল ইসলাম সারাবাংলাকে বলেন, ‘ব্যাংক কর্মকর্তার পরিচিত এক ব্যক্তি তার সঙ্গে মোবাইলে এক তরুণীর পরিচয় করে দেন। ওই তরুণীর সঙ্গে মোবাইলে কথাবার্তার মাধ্যমে তাদের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বাস্তবে ওই তরুণী হচ্ছেন ব্ল্যাকমেইলিং চক্রের সদস্য। তরুণীর আমন্ত্রণে ব্যাংক কর্মকর্তা তার বাসায় যাবার জন্য গত ৫ মার্চ নগরীর রাহাত্তার পুল এলাকায় যান। সেখানে যাওয়ার পর তাকে জিম্মি করা হয় এবং মুক্তিপণ আদায় করা হয়।’
বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ রুহুল আমীন সারাবাংলাকে বলেন, ‘ব্যাংক কর্মকর্তা তরুণীর কথামতো রাহাত্তাপুল এলাকায় গিয়ে তাকে ফোন করেন। তরুণী রায়হানকে তাকে নেওয়ার জন্য পাঠান। রায়হান তাকে নিয়ে বাকলিয়ার রাহাত্তার পুল থেকে চান্দাপুকুর এলাকায় বিসমিল্লাহ টাওয়ার নামে একটি ভবনের পেছনে খালি জায়গায় নিয়ে যায়। সেখানে আগে থেকেই শহীদ, জাহাঙ্গীর, গিয়াসসহ আরও কয়েকজন ছিলেন।’
‘এরপর তারা বিভিন্নভাবে ব্যাংক কর্মকর্তাকে হ্যারাস করা শুরু করেন। তরুণীর সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক গড়তে সেখানে গেছেন বলে লোক জড়ো করা এবং ছুরিকাঘাতের ভয় দেখান। একপর্যায়ে তাকে পুলিশের কাছে তুলে দেওয়ার কথা বলে দুই লাখ টাকা দাবি করেন। ব্যাংক কর্মকর্তা তার ভাইয়ের মাধ্যমে বিকাশে দুই লাখ টাকা এনে তাদের হাতে দিলে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।’
ওসি রুহুল আমীন আরও জানান, ব্যাংক কর্মকর্তা প্রথমে বিষয়টি গোপন রাখেন। বৃহস্পতিবার তিনি বাকলিয়া থানায় এ বিষয়ে অভিযোগ করেন। ঘটনাস্থল থেকে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে পুলিশ। অভিযোগের সত্যতা পেয়ে ঘটনায় জড়িতদের অবস্থান শনাক্ত করে চারজনকে গ্রেফতার করা হয়।
‘চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এরা একটি সংঘবদ্ধ চক্রের সদস্য। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আমরা অন্তঃত ১০ জনের নাম পেয়েছি। কয়েকজন নারীও আছেন। প্রতারণার মাধ্যমে বিত্তবান লোকজনকে ফাঁদে ফেলে টাকা আদায় তাদের কাজ। এই চক্রের কয়েকজনের বিরুদ্ধে নগরীর বিভিন্ন থানায় আরও মামলা আছে।’- বলেন ওসি
গ্রেফতার চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছেন ওসি রুহুল আমীন।
সারাবাংলা/আরডি/একে