স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ১০ দিনের কর্মসূচি
১৩ মার্চ ২০২১ ২০:১৮
ঢাকা: স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের রজতজয়ন্তী উপলক্ষে ১০ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর। তরুণ প্রজন্মকে সঙ্গে নিয়ে এসব কর্মসূচি পালন করবে তারা। শনিবার (১৩ মার্চ) রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য তুলে ধরেন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি ও সদস্য সচিব সারা যাকের।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, নতুন প্রজন্মের সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের নিবিড় যোগাযোগ গড়ে তোলার মাধ্যমে গৌরবময় মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সম্পর্কে তাদের অবগত করানোর লক্ষে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর দ্বিতীয়বারের মতো তিন দিনব্যাপী মুক্তির জয়গান (ফ্রিডম মিউজিক ফেস্ট) শীর্ষক ব্যান্ড সংগীত উৎসবের আয়োজন করেছে। ১৫টি ব্যান্ড এই আয়োজনে অংশ নেবে।
উৎসবে সংগীত পরিবেশন করবেন- মাকসুদ ও ঢাকা, ওয়ারফেজ, অবসকিউর, নোভা, জলের গান, নেমেসিস, আর্ক, এ্যাশেশ, বেঙ্গল বয়েজ, স্পন্দন, বাংলা ফাইভ, সহজিয়া, শহরতলী, সিন ও মেঘদল। আগামী ১৪, ১৫ ও ১৬ মার্চ প্রতিদিন রাত ৯টায় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ফেসবুক পাতায় এই উৎসব লাইভ সম্প্রচারিত হবে।
আয়োজকরা জানান, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের ১০১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর আগামী ১৭ মার্চ সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত শিশুকিশোর আনন্দানুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীরা অংশ নেবে।
২১ মার্চ রাতে জাদুঘরের আশেপাশের রাস্তা অলংকরণ ও আলপনা করে রঙিন করে তোলা হবে। ইউনিভার্সিটি অব ডেভেলপমেন্ট অল্টার্নেটিভ (ইউডিএ) এর চারুকলা বিভাগের শিক্ষ ও শিক্ষার্থীরা এতে অংশ নেবে।
আগামী ২২ মার্চ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর ২৫ বছর পূর্ণ করছে। ওইদিন সন্ধ্যা ৭টায় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মিলনায়তনে ও ভার্চুয়াল মিডিয়ায় এক আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। ২৫ মার্চ সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় জাদুঘরের শিখা চির অম্লানকে ঘিরে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের কর্মী ও শহীদ পরিবারের সদস্যরা মোমবাতি প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে শহীদদের শ্রদ্ধা জানাবে। মিরপুর ১০ নম্বরের জুটপল্লিতে অবস্থিত মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর পরিচালিত একাত্তরের গণহত্যার জলন্ত সাক্ষী জল্লাদখানে স্মৃতিপীঠে ২৫ ও ২৬ মার্চ দুইদিনব্যাপী গণহত্যা দিবস ও স্বাধীনতা উৎসব অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
এছাড়া শোক থেকে শক্তি শীর্ষক অদম্য পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে। ২৬ মার্চ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে পদযাত্রা শুরু হয়ে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত বিভিন্ন স্থান ঘুরে সাভার জাতিয় স্মৃতিসৌধে গিয়ে শেষ হবে। এছাড়া আরও বেশ কিছু অনুষ্ঠানের আয়োজন রয়েছে।
সারাবাংলা/ইএইচটি/এমও