লক্ষ্মীপুর-২ উপনির্বাচনে অংশ নেবে না বিএনপি
১৪ মার্চ ২০২১ ১৮:৪৮
ঢাকা: লক্ষ্মীপুর-২ উপনির্বাচনে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। শনিবার (১৩ মার্চ) অনুষ্ঠিত দলটির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়।
রোববার (১৪ মার্চ) গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে এ তথ্য জানান বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
বিবৃতিতে জানানো হয়, বিএনপির স্থায়ী কমিটি লক্ষ্মীপুরের-২ আসনে জাতীয় সংসদের উপ-নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী না দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। যেহেতু নির্বাচন কমিশন সবধরনের নির্বাচন পরিচালনায় অযোগ্যতার পরিচয় দিয়েছে এবং সরকার ‘নির্লজ্জ্বভাবে’ সব নির্বাচনে বেআইনি হস্তক্ষেপ করছে সেহেতু বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল আপাতত এইসব নির্বাচনে অংশ নেওয়া থেকে বিরত থাকবে।
ভার্চুয়াল সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সভায় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যরিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।
বিবৃতিতে রিজভী বলেন, ‘জিয়াউর রহমান এবং ৭১’এর ২৫ ও ২৬ মার্চ-এর ঘটনা প্রবাহ সম্পর্কে সরকার প্রধানের বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতির নির্লজ্জ ও ষড়যন্ত্রমূলক অপপ্রয়াসের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়। আওয়ামী লীগ পরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে বিকৃত করে পরবর্তী প্রজন্মকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। জিয়াউর রহমান বীর উত্তমের বিরুদ্ধে ক্রমাগতভাবে মিথ্যাচার ও তার চরিত্র হননের অপ্রচেষ্টা চালাচ্ছে। এছাড়াও স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে সম্পৃক্ত সব জাতীয় নেতার অবদানকে অস্বীকার করছে। ইতোমধ্যে স্বাধীনতার ঘোষক ও মুক্তিযোদ্ধা শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ‘বীর উত্তম’ খেতাব বাতিলের প্রস্তাব করেছে। এসকল পদক্ষেপে নেওয়া হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাসকে বিকৃত করে নতুন প্রজন্মকে বিভান্ত করার জন্য। সভা এই ধরনের অপপ্রচারের বিরুদ্ধে প্রকৃত ইতিহাস জনগণ এবং ভবিষ্যত প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার জন্য প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
তিনি বলেন, “সম্প্রতি প্রধান বিচারপতি বাংলাদেশের ইমেজ ক্ষুণের বিষয়ে মতামত প্রদান করেছেন। বাংলাদেশের বর্তমান ভোটাধিকার লুণ্ঠন, মানবাধিকার হরণ ও অগণতান্ত্রিক পরিবেশের পরিপ্রেক্ষিতে ‘বাংলাদেশের ইমেজ’ সম্পর্কে প্রধান বিচারপতির বক্তব্যের বিষয়ে আরও বিস্তারিত আলোচনার জন্যে আইনজীবী ফোরামের নেতাদের প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সাক্ষাত করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় এবং সভা মনে করে সংবিধানের ব্যাখ্যা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের নৈতিক দায়িত্ব এ বিষয়ে সঠিক অবস্থান নেওয়া।”
সারাবাংলা/এজেড/পিটিএম