আবরার হত্যা: ২২ আসামির নির্দোষ দাবি, সাফাই সাক্ষী ৩১ মার্চ
১৪ মার্চ ২০২১ ১৯:৩৭
ঢাকা: বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থনে নিজেদের নির্দোষ দাবি করেছেন। তবে তিন আসামি পলাতক থাকায় আত্মপক্ষ সমর্থন শুনানি হয়নি।
রোববার (১৪ মার্চ) দুপুরে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামানের আদালতে ২২ আসামি আত্মপক্ষ সমর্থনের শুনানিতে নিজেদের নির্দোষ দাবি করে, ন্যায়বিচার প্রার্থনা করেছেন।
এদিন মামলার এজাহারের বক্তব্য, চার্জশিট, সাক্ষীদের জবানবন্দি আসামিদের পড়ে শোনান। এরপর তাদের কাছে জানতে চাওয়া হয়, তারা দোষী না নির্দোষ। এসময় আসামিরা নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার প্রার্থনা করে।
আদালত আসামিদের কাছে জানতে চান, তারা সাফাই সাক্ষ্য দিবেন কিনা? আসামিদের মধ্যে মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন, ইশতিয়াক আহম্মেদ মুন্না ও মেহেদী হাসান রাসেল নিজেরা নিজেদের পক্ষে সাফাই সাক্ষ্য দেবেন। এরপর আদালত আগামী ৩১ মার্চ ও ১ এপ্রিল সাফাই সাক্ষ্যের জন তারিখ ধার্য করেন।
এ নিয়ে মামলায় ৬০ জন সাক্ষীর মধ্যে ৪৬ জনের সাক্ষ্য নিয়েছে ট্রাইব্যুনাল।
গত বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর একই আদালত আসামিদের অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে চার্জ গঠনের আদেশ দেন। গত ১৩ জানুয়ারি আবরার হত্যা মামলার নথিটি বিচারের জন্য প্রস্তুত হওয়ায় মহানগর দায়রা জজ আদালতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালত। এরপর মহানগর দায়রা জজ আদালত দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ পাঠানোর আদেশ দেন।
২০১৯ সালের ১৩ নভেম্বর আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ২৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্রটি আদালতে জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঢাকা মহানগর (দক্ষিণ) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পরিদর্শক ওয়াহেদুজ্জামান। অভিযুক্ত ২৫ জনের মধ্যে এজাহারভুক্ত আসামি ১৯ জন। এছাড়া তদন্তে আরও ছয় জনকে অভিযুক্ত করা হয়। এর মধ্যে ২২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিন জন পলাতক রয়েছে। তাদের মধ্যে আট জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর ভোরে বুয়েটের শেরেবাংলা হলের সিঁড়ি থেকে আবরার ফাহাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে জানা যায়, শিবির সন্দেহে তাকে ডেকে নিয়ে বন্ধ ঘরে পিটিয়ে মেরেছেন বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ ঘটনায় আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ চকবাজার থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় ১৯ জনের নাম উল্লেখ করা হয়।
সারাবাংলা/এআই/এমও