পুরো ফেব্রুয়ারির আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়ে গেল মার্চের ১৪ দিনে
১৪ মার্চ ২০২১ ২২:৪০
ঢাকা: দেশে ফেব্রুয়ারি মাসে নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে ১১ হাজার ৭৭ জনের মাঝে। তবে মার্চের প্রথম ১৪ দিনে ১১ হাজার ১৭৯ জনের মাঝে কোভিড-১৯ সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। অর্থাৎ ফেব্রুয়ারির চেয়ে ১০২ জন বেশি সংক্রমিত শনাক্ত হয়েছে মার্চের প্রথম ১৪ দিনেই। স্বাস্থ্য অধিদফতরের দেওয়া স্বাস্থ্য বুলেটিনের তথ্যানুযায়ী, দেশে মার্চের প্রথম ১৪ দিনের সংক্রমণ হারও ছাড়িয়ে গেছে পুরো ফেব্রুয়ারি মাসের সংক্রমণ হারের সংখ্যা।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ১৪ মার্চ এক হাজার ১৫৯ জনের মাঝে কোভিড-১৯ সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। চলতি বছরের এটি সর্বোচ্চ সংক্রমণ। ২৩ ফেব্রুয়ারির পরে এ দিনই ১৮ জন মৃত্যুবরণ করেছেন কোভিড-১৯ সংক্রমিত হয়ে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভ্যাকসিন নিয়ে নিজেকে নিরাপদ ভেবে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করায় দেশে সংক্রমণের হার বাড়ছে। একইসঙ্গে যারা ভ্যাকসিন নেননি তাদের মাঝেও স্বাস্থ্যবিধি মানা নিয়ে তৈরি হয়েছে উদাসীনতা। এমন পরিস্থিতিতে দেশে সংক্রমণের হার বাড়বেই।
রোববার (১৪ মার্চ) স্বাস্থ্য অধিদফতরের স্বাস্থ্য বুলেটিন অনুযায়ী দেশে ১৬ হাজার ২০৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করে এক হাজার ১৫৯ জনের মাঝে কোভিড-১৯ সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এ দিন মারা গেছেন ১৮ জন। দেশে এখন পর্যন্ত ৪২ লাখ ৬৪ হাজার ৫৫১ জনের নমুনা পরীক্ষা করে পাঁচ লাখ ৫৭ হাজার ৩৯৫ জনের মাঝে কোভিড-১৯ সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এ সময়ে দেশে মৃত্যুবরণ করেছেন আট হাজার ৫৪৫ জন। একই সময়ে দেশে কোভিড-১৯ সংক্রমণ থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন পাঁচ লাখ ১১ হাজার ৬৯৫ জন।
ফেব্রুয়ারির তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায়, এ মাসে তিন লাখ ৯২ হাজার ৩০৫টি নমুনা পরীক্ষা করে ১১ হাজার ৭৭ জনের মাঝে কোভিড-১৯ সংক্রমণ শনাক্ত হয়। এ মাসে সংক্রমণের হার ছিল দুই দশমিক ৮২ শতাংশ। এ মাসে কোভিড-১৯ সংক্রমিত হয়ে ২৮১ জন মারা গেছেন। ফেব্রুয়ারিতে মৃত্যু হার ছিল দুই দশমিক ৫৪ শতাংশ।
মার্চের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, এ মাসে প্রথম ১৪ দিনে দুই লাখ ২০ হাজার ৫২৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১১ হাজার ১৭৯ জনের মাঝে কোভিড-১৯ সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। অর্থাৎ মার্চের ১৪ দিনে পুরো ফেব্রুয়ারির চেয়ে ১০২ জন বেশি মানুষের মাঝে কোভিড-১৯ সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে।
ফেব্রুয়ারিতে দেশে কোভিড-১৯ সংক্রমণের হার ছিল দুই দশমিক ৮২ শতাংশ। কিন্তু মার্চের প্রথম ১৪ দিনে দেশে কোভিড-১৯ সংক্রমণের হার পাঁচ দশমিক ০৬৯ শতাংশ। ফেব্রুয়ারি মাসে দেশে কোভিড-১৯ সংক্রমিত হয়ে মৃত্যুর হার ছিল দুই দশমিক ৮২ শতাংশ। অন্যদিকে মার্চের প্রথম ১৪ দিনে মৃত্যুর হার পাঁচ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ।
দেশে প্রথম কোভিড-১৯ সংক্রমণ শনাক্ত হয় ২০২০ সালের ৮ মার্চ। এর পর চলতি বছরের ১৩ মার্চ পর্যন্ত পার হয়ে গেছে ৫৩ সপ্তাহ। সাপ্তাহিক সংক্রমণের হার পর্যালোচনা করলে এখানেও ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা যায়।
দেশে ৪৫তম সপ্তাহে (১০ জানুয়ারি থেকে ১৬ জানুয়ারি) সংক্রমণের হার ছিল পাঁচ দশমিক ৭০ শতাংশ। এই হার সংক্রমণের পঞ্চম সপ্তাহের (২০২০ সালের ৫ এপ্রিল থেকে ১১ এপ্রিল) ৭ দশমিক ৪৪ শতাংশের পর ছিল সর্বনিম্ন। তবে ৪৫তম সপ্তাহের পরে দেশে সাপ্তাহিক হিসেবে সংক্রমণের কমে আসে পাঁচ শতাংশের নিচে। কিন্তু সংক্রমণের ৫৩তম সপ্তাহে সংক্রমণের হার পাঁচ দশমিক ৬০ শতাংশ হয়। অর্থাৎ টানা সাত সপ্তাহ সংক্রমণের হার পাঁচ শতাংশের নিচে থাকলেও ৫৩তম সপ্তাহে এটি পাঁচ শতাংশ ছাড়িয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা যা বলছেন
দেশে কোভিড-১৯ মোকাবিলায় গঠিত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ সারাবাংলাকে বলেন, দেশে ভ্যাকসিন প্রয়োগ কার্যক্রম সফলভাবেই চলছে। এ ক্ষেত্রে একটা বিষয় উল্লেখ করতে হবে- যারা ভ্যাকসিন নিচ্ছে তারা যদি নিজেদের প্রথম ডোজ নেওয়ার পরেই সুরক্ষিত ভাবা শুরু করেন তবে ভুল হবে। ভ্যাকসিন নিলেই কখনো কোভিড-১৯ সংক্রমণ হবে না এমনটা কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো গবেষণায় বলা হয় নাই। ভ্যাকসিন নেওয়ার পরে একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত মানুষের মাঝে অ্যান্টিবডি তৈরি হয় না। এরপর যখন তৈরি হওয়া শুরু হয় তখন সেটা একটা নির্দিষ্ট মাত্রায়। এরপরে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার পরে পূর্ণ মাত্রার সুরক্ষা পাওয়ার কথা বলা হয়েছে, যা থাকবে একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত। এক্ষেত্রে পুরো সময় সবাইকে মাস্ক পরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতেই হবে। এর কোনো বিকল্প নেই। সাম্প্রতিক সময়ে মাস্ক পরার ক্ষেত্রে অনেকটা উদাসীনতা তৈরি হয়েছে। এ কারণে সংক্রমণের হারও বাড়ছে।
মাস্ক পরা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়ে উদাসীনতার কারণে সংক্রমণের হার বাড়ছে বলে মনে করেন কোভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণে গঠিত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সদস্য এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সাবেক উপাচার্য ও ভাইরোলজি বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম।
সারাবাংলাকে তিনি বলেন, ‘ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরু হলেও মাস্ক পরার প্রবণতা ধরে রাখতে হবে। পাশাপাশি মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি। অসুস্থ বোধ করলেই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়াটাও জরুরি, যেন প্রাথমিক পর্যায়েই চিকিৎসা শুরু করা যায়। কিন্তু আমরা লক্ষ্য করে দেখলাম, মাস্ক পরা বিষয়ে এক ধরণের উদাসীনতা তৈরি হয়েছে। মানুষ এখন রিল্যাক্স হয়ে যাচ্ছে। কক্সবাজারসহ দেশের বিভিন্ন পিকনিক স্পটে প্রচুর ভিড়। এমনকি সেখানে নাকি মানুষ থাকার জন্য হোটেলও পাচ্ছে না বলে গণমাধ্যমে সংবাদ এসেছে। এক্ষেত্রে সংক্রমণ তো বাড়বেই। কারণ জনসমাগম এড়িয়ে চলাটাও তো একটা স্বাস্থ্যবিধি।’
তিনি বলেন, ‘দেশে বিভিন্ন স্থানে দেখা যাচ্ছে রাজনৈতিক কর্মসূচি। এসব স্থানেও প্রচুর মানুষ কিন্তু ভিড় করছে এবং একে অপরের সংস্পর্শে আসছে। এগুলো কিন্তু ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। দেশে যুক্তরাজ্য ও দক্ষিণ আফ্রিকার নতুন ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গেছে বলে জানানো হয়েছে। কিন্তু সংক্রমণ বাড়ার জন্য অবশ্য এখনই নতুন ভ্যারিয়েন্টকে দায়ী করা যাবে না। এ জন্য প্রয়োজন গবেষণা। তবে স্বাস্থ্যবিধি না মানার যে প্রবণতা আমরা দেখছি তাতে নতুন ভ্যারিয়েন্টের প্রয়োজন নেই— এমনিতেই সংক্রমণের হার বেড়ে যাবে।’
যুক্তরাজ্যের শেফিল্ড ইউনিভার্সিটির সিনিয়র রিসার্চ অ্যাসোসিয়েট ড. খোন্দকার মেহেদী আকরাম সারাবাংলাকে বলেন, ‘ভ্যাকসিন নেওয়ার পর যদি কেউ মনে করে তিনি আর কখনো কোভিড-১৯ আক্রান্ত হবেন না, সেটি ভুল ধারণা। ব্যক্তি সচেতনতা ও জরুরি কারণ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে ভ্যাকসিন নেওয়ার পরও। এক্ষেত্রে হয়তোবা স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে কিছুটা উদাসীন হওয়ার কারণে সংক্রমণ বাড়ছে। তবে এর সঙ্গে যুক্তরাজ্য ও দক্ষিণ আফ্রিকার ভ্যারিয়েন্টের কোনো প্রভাব আছে কি না তা গবেষণা করা প্রয়োজন। এক্ষেত্রে দেশে সার্ভিল্যান্সের মাত্রা বাড়াতে হবে। একই সঙ্গে সিকোয়েন্সিংও বাড়াতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘সংক্রমণের হার বৃদ্ধি পাওয়া অবশ্যই উদ্বেগজনক। ভ্যাকসিন নেওয়ার পরে যদি মাস্ক না পরা হয়, তবে সেক্ষেত্রে সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। আর তাই বিশ্বে এখন পর্যন্ত কোনো বৈজ্ঞানিক জার্নালে এমনটা বলা হয়নি যে, ভ্যাকসিন নিলে আর কেউ করোনা আক্রান্ত হবেন না। তাছাড়া ভ্যাকসিন নেওয়ার কারণেই কেউ আক্রান্ত হচ্ছে এমন কোনো বৈজ্ঞানিক তথ্যও এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। তাই সবাইকে ভ্যাকসিন নেওয়ার আহ্বান জানাই। একইসঙ্গে সবাইকে অবশ্যই স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে হবে।’
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ফার্মাকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান খসরু সারাবাংলাকে বলেন, ‘বাংলাদেশে এখন যে ভ্যাকসিনটি প্রয়োগ করা হচ্ছে সেটি গড়ে মোটামুটি ১০০ জনের মাঝে ৭০ থেকে ৮০ জনকে সংক্রমণ থেকে নিরাপত্তা দেবে। ২০ শতাংশের মাছে কোভিড আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকবে। এই শঙ্কা এড়ানোর জন্য ও নিজেকে নিরাপদ রাখার জন্য সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতেই হবে। কিন্তু আমরা দেখছি, ভ্যাকসিন নেওয়ার পরে অনেকে রিল্যাক্স হয়ে ঘুরছেন, পিকনিকে যাচ্ছেন যেখানে স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না। এছাড়াও রাজধানীতে যদি দেখা হয় তবে দেখা যাবে এখানেও কিন্ত মাস্ক পরার হার কমেছে। সংক্রমণ তাই বাড়াটা এখানে অস্বাভাবিকভাবে দেখার কিছু নেই।’
তিনি বলেন, ‘যদি কেউ স্বাস্থ্যবিধি না মানে তবে যে কারও মাঝেই কোভিড-১৯ সংক্রমণ হতে পারে। কারণ ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ দেওয়ার ২১ দিন পরে নিরাপত্তা বলয় তৈরি হতে শুরু করে। এমনকি এর পরেও যে কেউ আক্রান্ত হতেই পারে। আমাদের সবার মনে রাখতে হবে যে, পুরো পৃথিবীতে একটি মহামারি যাচ্ছে। আর ভ্যাকসিন কিন্তু এই মহামারি থেকে সবাইকে নিরাপদ রাখার জন্যেই। কিন্তু ভ্যাকসিন নিলেই কেউ আক্রান্ত হবে এমনটা কিন্তু এখন পর্যন্ত কোথাও বলা হয়নি। তাই সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এই সময় পর্যন্ত সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। এমনকি ভ্যাকসিনের দুই ডোজ নেওয়ার পরও সবাইকে অন্তত মাস্ক পরতেই হবে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত।’
দেশে ভ্যাকসিন বিতরণ সংক্রান্ত কোর কমিটির সদস্য ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এ এস এম আলমগীর সারাবাংলাকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস থেকে মুক্ত থাকতে ভ্যাকসিনই কিন্তু একমাত্র উপায় নয়। ভ্যাকসিন হচ্ছে অনেকগুলোর মাঝে একটিমাত্র উপায়। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে ভ্যাকসিন নেওয়ার পরে অনেকেই রিল্যাক্স হয়ে যাচ্ছেন। এটি বিপদজনক। একইসঙ্গে স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়েও কিছুটা সচেতনতার অভাব দেখা যাচ্ছে। আর এক্ষেত্রে সংক্রমণ বাড়বেই।’
তিনি বলেন, ‘করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে নিরাপদে থাকতে হলে সবাইকে অবশ্যই যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। বিশেষ করে কোনো কিছু খাওয়ার আগে ন্যূনতম ২০ সেকেন্ড ধরে হাত ধুয়ে নিতে হবে। একই সঙ্গে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। তাহলেই করোনার সংক্রমণ থেকে মুক্ত থাকা সম্ভব হবে।’
সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা কেন্দ্রের (আইইডিসিআর) পরিচালক ডা. তাহমিনা শিরিন সারাবাংলাকে বলেন, ‘দেশে সংক্রমণ বাড়ছে কারণ স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে উদাসীনতা দেখা যাচ্ছে। ভ্যাকসিন দিলেই কেউ কোভিড-১৯ সংক্রমিত হবেন না এই ভাবনাটাই তো ভুল। কারণ সবে প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে অ্যান্টিবডি তৈরি হতেও তো সময় লাগে। এছাড়াও দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার আগে নিরাপত্তা নিশ্চিত হওয়াও সম্ভব না। আর তাই ভ্যাকসিন নেওয়ার পরেও আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকবেই।’
তিনি বলেন, ‘সংক্রমণ যদি নিয়ন্ত্রণে রাখতে হয় তবে অবশ্যই সবাইকে মাস্ক পরতে হবে। একই সঙ্গে সবাইকে হাত ধোয়ার অভ্যাস চালু রাখতে হবে। প্রয়োজন ছাড়া জনসমাগমে না যাওয়াই ভালো। কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি বিভিন্ন পিকনিক স্পট ভিড় বাড়ছে। এগুলো বিপদজনক হতে পারে যেকোনো সময়েই। আর তাই স্বাস্থ্য বিধি মানার কোনো বিকল্প নেই।’
সারাবাংলা/এসবি/পিটিএম