আগে করতো র্যাব-পুলিশ পরিচয়ে ছিনতাই, এখন ইয়াবার কারবারে
১৪ মার্চ ২০২১ ২১:৩৮
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম নগরীতে একটি প্রাইভেটকারে তল্লাশি চালিয়ে ইয়াবা ও অস্ত্রসহ দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেফতার একজন সিএমপির তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী। র্যাব-পুলিশ-ডিবি পরিচয়ে ছিনতাই-ডাকাতির পর এখন ওই ব্যক্তি তার ভাইদের নিয়ে ইয়ারা সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছে। নিজের গাড়িতে চড়ে চট্টগ্রাম শহরজুড়ে তারা ইয়াবা সরবরাহ করে।
শনিবার (১৩ মার্চ) রাতে নগরীর কোতোয়ালি থানার পাথরঘাটা বান্ডেল রোডে প্রাইভেট কারটিতে তল্লাশি চালায় পুলিশ। এ সময় কার থামিয়ে চারজন পালানোর চেষ্টা করলে দুজনকে ধাওয়া দিয়ে গ্রেফতার করা হয় বলে জানিয়েছেন কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিন।
গ্রেফতার দু’জন হলেন- সৈয়দ মো. তুহিন (৩৪) এবং তৌসিফ আহম্মেদ (২৫)। তাদের কাছ থেকে একটি এলজি ও ৬০৫ পিস ইয়াবা জব্দ করেছে পুলিশ। এছাড়া পালিয়ে যাওয়া মোস্তফা ও জাকির নামে দু’জনকে গ্রেফতারের চেষ্টা করছে পুলিশ।
ওসি নেজাম সারাবাংলাকে জানান, প্রাইভেটকারটি তুহিনের মালিকানাধীন। এর সামনের সিটে ছিল তুহিন ও মোস্তফা। পেছনের সিটে ছিল তৌসিফ ও জাকির। তুহিন সিএমপির তালিকাভুক্ত শীর্ষ ছিনতাইকারী এবং ডাকাতি-ছিনতাইয়ের ১৮ মামলার আসামি। তার দুই ভাই জালাল এবং জলিলও পুলিশের তালিকাভুক্ত ছিনতাইকারী। তাদের বাসা কোতোয়ালি থানার বদরপতি বদর আউলিয়ার মাজার সংলগ্ন খাদেম বাড়িতে।
‘তুহিন ও তার ভাইদের প্রত্যেকের আলাদা-আলাদা ছিনতাইকারী দল আছে। তারা র্যাব, পুলিশ, ডিবি, সিআইডি- এ ধরনের বিভিন্ন পরিচয়ে ডাকাতি-ছিনতাই করত। সম্প্রতি তারা অপরাধের ধরন পাল্টে ইয়াবার সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছে। প্রাইভেটকারে চড়ে সারা শহরে ঘোরে। সিসি ক্যামেরা আছে কি না আগে থেকে রেকি করে। না থাকলে সেই স্পটে গিয়ে ইয়াবা হস্তান্তর করে ক্রেতার কাছে। আবার পুলিশের গতিবিধি লক্ষ্য রাখার জন্য নিজেদের বাসার আশপাশে লাগিয়েছে সিসি ক্যামেরা। এছাড়া তারা অস্ত্র নিয়ে বের হয়। ইয়াবা বিক্রিতে বাধা এলে অস্ত্র নিয়ে ভয় দেখায়’– বলেন ওসি নেজাম।
সারাবাংলা/আরডি/পিটিএম