বসুরহাটে আলাউদ্দিন হত্যা, মামলা হয়েছে কিনা জানতে চান আদালত
১৪ মার্চ ২০২১ ২১:৫৪
নেয়াখালী: জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাটে গোলাগুলির ঘটনায় সিএনজি চালক আলাউদ্দিন হত্যার ঘটনায় কোনো মামলা হয়েছে কিনা জানতে চেয়েছেন আদালত। ১৫ দিনের মধ্যে আদালতকে এ বিষয়ে অবিহিত করার জন্য কোম্পানিগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জকে আদেশ দেওয়া হয়।
রোববার (১৪ মার্চ) নিহত আলাউদ্দিনের ছোট ভাই নোয়াখালী চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বিচারিক এস এম মোসলেহ উদ্দিন মিজানের ২/৪ আমলি আদালতে এই হত্যা মামলা দায়ের করেন। শুনানি শেষে মামলাটি আমলে নিয়ে বিজ্ঞ আদালত এই আদেশ দিয়েছেন।
মামলার প্রধান আসামি হলেন এমদাদ আবদুল কাদের মির্জা। এছাড়াও শাহাদাত হোসেন (মির্জার ছোট ভাই), মাশরুর কাদের ওরপে তাশিক মির্জাসহ ১৬৪ জনকে এই মামলায় আসামি করা হয়।
উল্লেখ্য, নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের সঙ্গে চলমান বিবাদের জের হিসেবে আলাউদ্দিন নিহত হয়। ৯ মার্চ রাত পৌনে ১০টায় মিজানুর রহমান বাদলের নেতৃত্বে তার অনুসারীরা বসুরহাট পৌরসভা ভবনকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি করে। এ সময় ১৩ জন গুলিবিদ্ধ হয়। এর মধ্যে আলাউদ্দিন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়। আর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হৃদয়কে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। বাকীরা সবাই নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।
একইসঙ্গে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খিজির হায়াত খানকে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় তার স্ত্রী আনজুমান আরা পারভিন কোর্টে বিলম্বে উপস্থিত হওয়ার কারণে মামলাটি আগামীকাল দায়ের করবেন বলে জানান ।
এ দিকে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা গতকাল শনিবার তার পৌর ভবনে সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেন, তাকে হত্যা করার চেষ্টা হচ্ছে। নিহত সাংবাদিক বোরহান উদ্দিন মুজাক্কির ও সিএনজি চালক আলাউদ্দিন হত্যার ঘটনা বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি করেন তিনি।
সারাবাংলা/এনএস