সাতক্ষীরা: জেলায় ষষ্ঠ শ্রেণীর এক মাদরাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত রোববার রাতে এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশ ধর্ষক একরামুল হক (২৩) নামে এক যুবককে আটক করে সোমবার (১৫ মার্চ) দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে।
ধর্ষক একরামুল হক (২৩) সদর উপজেলার বালিয়াডাঙা গ্রামের নির্মাণ শ্রমিক কামরুল ইসলামের ছেলে।
সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নির্যাতনের শিকার ওই মাদ্রাসা ছাত্রী জানান, সে তার গ্রামের পার্শ্ববর্তী একটি দাখিল মাদ্রসার ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী। তারা বাবা ইট ভাটায় কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। তিি প্রতিদিন বাড়িতে দেরীতে ফিরে আসেনে দেরীতে। তা মা রাত কানা। এই সুযোগে লম্পট একরামুল রবিবারে রাত সাড়ে ৯টার দিকে তাদের বাড়িতে আসে। এ সময় তাকে তাদের বাড়ির ছাদে ডেকে নিয়ে যায়। পরে তার মুখ চেপে ধরে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। তার চিৎকার শুনে তার ভাবী ও অন্যরা ছুটে এসে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. শাহীনুর হাসান জানান, ওই মাদরাসা শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। বর্তমানে সে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
সাতক্ষীরা সদর থানার উপ-পরিদর্শক মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ধর্ষণের অভিযোগে পুলিশ একরামুলকে সোমবার ভোরে গ্রেফতার করেছে। এ ঘটনায় নির্যাতিতার ভাই বাদি হয়ে ধর্ষক একরামুলের নাম উল্লেখ করে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(ক) ধারায় একটি মামলা (৪২নং) দায়ের করেছেন।
তিনি আরও জানান, গ্রেফতারকৃত একরামুলকে দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। নির্যাতিতার ডাক্তারি পরীক্ষা ও ২২ ধারায় জবানবন্দি মঙ্গলবার শেষ করা হবে।
