একনেকে ‘বীর নিবাস’সহ সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকার ৬ প্রকল্প অনুমোদন
১৬ মার্চ ২০২১ ১৪:৫০
ঢাকা: অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য আবাসনসহ ৬ প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক)। এগুলো বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৫ হাজার ৬১৯ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ৫ হাজার ১৯ কোটি ৮৭ লাখ টাকা, বাস্তবায়নকারী সংস্থা থেকে ৪২ কোটি এবং প্রকল্প ঋণ থেকে ৫৭ কোটি ৫২ লাখ টাকা ব্যয় করা হবে।
মঙ্গলবার (১৬ মার্চ) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা। এ সময় পরিকল্পনা সচিব জয়নুল বারীসহ একনেকের বাকি সদস্যরা ছিলেন রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে।
বৈঠক শেষে ব্রিফ করেন পরিকল্পনা বিভাগের সচিব জয়নুল বাড়ী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য মামুন-আল-রশীদ, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব মোহাম্মদ ইয়ামিন চৌধরী এবং পরিকল্পা কমিশনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
জয়নুল বারী বলেন, “বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য আবাসন ভবন নির্মাণ প্রকল্পটি একটি উল্লেখযোগ্য প্রকল্প। এটি অস্বচ্ছল বীরদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে সহায়ক হবে। প্রকল্পের আওতায় ৩০ হাজার বীর নিবাস তৈরি করা হবে। মুজিব শতবর্ষ এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে এসব বাড়ি উপহার দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ‘অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য আবাসন নির্মাণ’ শীর্ষক প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ হাজার ১২২ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে চলতি বছর থেকে ২০২৩ সালের অক্টোবরের মধ্যে এটি বাস্তবায়ন করবে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়।”
একনেকে অনুমোদিত প্রকল্পগুলো হচ্ছে- রাজশাহী কল্পনা সিনেমা হল থেকে তালাইমারী মোড় পর্যন্ত সড়ক প্রশস্তকরণ ও উন্নয়ন প্রকল্প, এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৬ কোটি ৭০ লাখ টাকাড়; বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য ক্রীড়া কমপ্লেক্স নির্মাণ প্রকল্প, এতে ব্যয় হবে ৪৪৭ কোটি ৫৪ লাখ টাকা; পিরোজপুর জেলার পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প, এই প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে ৬০০ কোটি টাকা; শরীয়তপুর জেলার জাজিরা ও নড়িয়া উপজেলায় পদ্মা নদীর ডান তীর রক্ষা প্রকল্প, এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৩১৯ কোটি ৯৮ লাখ টাকা এবং কন্সট্রাকশন অব নিউ ১৩২/৩৩ কেভি অ্যান্ড ৩৩/১১ কেভি সাবস্টেশন আন্ডার ডিপিডিসি প্রকল্প, যাতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৯২ কোটি ২৫ লাখ টাকা।
সারাবাংলা/জেজে/পিটিএম