ঢাকা: নকল এন-৯৫ মাস্ক সরবরাহের অভিযোগ মামলায় জেএমআইয়ের চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাকের স্থায়ী জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। মঙ্গলবার (১৬ মার্চ) বিকেলে শুনানি শেষে ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক রবিউল আলম এ আদেশ দেন।
এর আগে গত বছরের ১৫ অক্টোবর ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কেএম ইমরুল কায়েশের আদালত তার অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের আদেশ দেন।
২০২০ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর দুপুরে দুদকের একটি টিম রাজধানীর সেগুনবাগিচা এলাকা থেকে আব্দুর রাজ্জাককে গ্রেফতার করে। ওইদিনই আদালত তার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১-এর উপপরিচালক মো. নূরুল হুদা বাদী হয়ে কেন্দ্রীয় ওষুধাগারের (সিএমএসডি) ৬ কর্মকর্তা ও আব্দুর রাজ্জাকের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন, কেন্দ্রীয় ঔষাধাগারের উপ-পরিচালক ডা. জাকির হোসেন, সহকারী পরিচালক (স্টোরেজ অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন) ডা. শাহজাহান সরকার, চিফ কো-অর্ডিনেটর ও ডেস্ক অফিসার জিয়াউল হক, ডেস্ক অফিসার (বর্তমানে মেডিক্যাল অফিসার, জামালপুর) সাব্বির আহমেদ, স্টোর অফিসার (পিআরএল ভোগরত) কবির আহমেদ, সিনিয়র স্টোরকিপার ইউসুফ ফকির।
গত বছরের ৮ জুলাই নিম্নমানের মাস্ক, পিপিই ও অন্যান্য স্বাস্থ্য সরঞ্জাম কেনায় দুর্নীতির অভিযোগে মেসার্স জেএমআই হসপিটাল রিক্যুইজিট ম্যানুফ্যাকচারিং লিমিটেডের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাককে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক। দুদক পরিচালক ও অনুসন্ধান দলের প্রধান মীর জয়নুল আবেদীন শিবলীর নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি দল তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। আর গত ১ জুলাই দুদক থেকে তাদের বিরুদ্ধে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য চিঠি দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসের কারণে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে মাস্ক সরবরাহ করে জেএমআই। সেখানে আসল মাস্কের পরিবর্তে নকল মাস্ক সরবরাহ করা হয়। আর এই অভিযোগ ওঠার পরে অনুসন্ধানে নামে দুদক।