ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে সর্বোচ্চ ব্যয় সাড়ে ৫ লাখ টাকা
১৭ মার্চ ২০২১ ১৫:৪০
ঢাকা: আগামী ১১ এপ্রিল থেকে অনুষ্ঠিতব্য ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদের প্রার্থীরা সর্বোচ্চ সাড়ে ৫ লাখ টাকা ব্যয় করতে পারবেন। অন্যদিকে সদস্য পদে প্রত্যেক প্রার্থী সর্বোচ্চ ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ১০ হাজার টাকা। এর মধ্যে চেয়ারম্যান প্রার্থীরা নির্বাচনী ব্যয় ৫ লাখ টাকা, ব্যক্তিগত খরচ ৫০ হাজার টাকা করতে পারবেন। সদস্যপদে প্রার্থীরা নির্বাচনী ব্যয় এক লাখ টাকা এবং ব্যক্তিগত খরচ ১০ হাজার টাকা করতে পারবেন।
সম্প্রতি নির্বাচন কমিশনের (ইসি) উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত এক পরিপত্রে বিষয়টি পুনরায় স্বরণ করে দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে সব প্রার্থীর ব্যয়সীমা সংক্রান্ত এই নির্দেশনাটি সব রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কাছে পাঠিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান। ইসির সহকারী পরিচালক আসাদুল হক সারাবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ইসি সূত্র জানায়, আগামী ১১ এপ্রিল থেকে অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে কোনো প্রার্থী কত টাকা খরচ করতে পারবেন তা স্বরণ করিয়ে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। একইসঙ্গে পরিপত্রে প্রার্থীদের ব্যয়ের উৎসের বিবরণী এবং নির্বাচনী ব্যয়ের সীমা ও রিটার্ন দাখিলের পদ্ধতির বিষয়েও বিস্তারিত বলা হয়েছে।
ইসির জারি করা পরিপত্রে বলা হয়েছে, আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন-২০২১ উপলক্ষে ইউপি চেয়ারম্যান, সংরক্ষিত ওয়ার্ডের সদস্য এবং সাধারণ ওয়ার্ডের সদস্য পদে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের সম্ভাব্য নির্বাচনী ব্যয় ও উৎসের বিবরণী এবং নির্বাচনী ব্যয়ের সীমা ও রিটার্ন ইত্যাদি জানাতে হবে। স্থানীয় সরকার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন বিধিমালা, ২০১০ এর বিধি ৪৮ অনুসারে প্রত্যেক প্রার্থীকে মনোনয়নপত্রের সাথে নির্ধারিত ফরমে সম্ভাব্য নির্বাচনী ব্যয় ও উৎসের বিবরণী সংযুক্ত করে দাখিল করতে বলা হয়েছে।
একইসঙ্গে পরিপত্রে সম্ভাব্য আয়ের উৎসের বিবরণীর সাথে প্রার্থী আয়কর দাতা হলে আয়কর রিটার্ন, কর পরিশোধ প্রমাণপত্র ও অন্যান্য কাগজাদিও দাখিল করার নির্দেশ দেওয়া হযেছে। যেখানে সম্ভাব্য নির্বাচনী ব্যয় ও উৎসের বিবরণীতে তথ্য দাখিল করতে হবে। প্রত্যেক প্রার্থীকে রিটার্নিং অফিসারের কাছে মনোনয়নপত্রের সাথে নির্বাচনী ব্যয় নির্বাহের জন্য প্রয়োজনীয় তহবিলের সম্ভাব্য উৎস সম্পর্কেও বিস্তারিত তথ্য জমা দিতে হবে।
পরিপত্রে আরও বলা হয়েছে, প্রার্থীর নিজ আয় হতে যে অর্থের সংস্থান করা হবে তার পরিমাণ এবং উক্ত আয়ের উৎস, প্রার্থীর আত্মীয়-স্বজনের কাছ থেকে কর্জ করা হবে বা দান হিসেবে পাওয়া যাবে এরূপ সম্ভাব্য অর্থের উৎসও তুলে ধরতে হবে। পাশাপাশি আত্মীয়-স্বজনের আয়ের উৎস; কোনো প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা হতে স্বেচ্ছা প্রদত্ত দান বাবদ প্রাপ্য সম্ভাব্য অর্থ এবং অন্য কোনো উৎস হতে প্রাপ্য অর্থ এবং তার আয়ের উৎসও উল্লেখ করতে বলা হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়েছে, প্রার্থীরা ব্যয়ের উৎস হিসেবে ইসি নির্দেশিত খাতের বাইরে যেতে পারবেন না। প্রার্থীর পেশা থেকে আয়, পিতা-মাতা, ছেলে-মেয়ে, স্বামী-স্ত্রী আর ভাই-বোন থেকে ধার বা ঋণ হবে ব্যয়ের উৎস। তবে কোনো সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান প্রার্থীকে স্বেচ্ছা দান করতে পারবে। প্রার্থীদের ব্যয় সংক্রান্ত নির্দেশনাটি ভোটারদের মাঝে প্রচারের ব্যবস্থা করার জন্যও রিটার্নিং কর্মকর্তাদের বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, আগামী ১১ এপ্রিল থেকে ধাপে ধাপে শুরু হচ্ছে দশম ইউপি নির্বাচন। প্রথম ধাপে আগামী ১১ এপ্রিল সারাদেশে ৩৭১টি ইউপিতে ভোটগ্রহণ করবে নির্বাচন কমিশন। এই নির্বাচনে মনোনয়পত্র দাখিলের শেষ তারিখ ১৮ মার্চ, মনোনয়নপত্র বাছাই ১৯ মার্চ এবং প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২৪ মার্চ।
সারাবাংলা/জিএস/এএম