মামুনুলের সমর্থকদের বিরুদ্ধে মন্দিরসহ বাড়িঘর ভাঙচুরের অভিযোগ
১৭ মার্চ ২০২১ ১৭:৫৭
সুনামগঞ্জ: মামুনুল হককে ফেসবুকে কটাক্ষ করার অভিযোগে তার সমর্থকদের বিরুদ্ধে শাল্লা উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামে মন্দিরসহ শতাধিক ঘরবাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। এসময় গ্রামের ৫টি মন্দিরসহ শতাধিক বাড়ি লুটপাট করা হয়েছে বলে জানান এলাকাবাসী। বুধবার (১৭ মার্চ) সকালে এই ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, নোয়াগাঁও গ্রামের ঝুমন দাস আপন নামে এক যুবক তার ফেসবুক আইডি থেকে মামনুল হককে কটাক্ষ করে স্ট্যাটাস দিয়েছে এমন অভিযোগে গতকাল রাতে এলাকাবাসী থাকে আটক করে পুলিশের কাছে দেয়। এরপর বুধবার সকাল থেকে মামুনুল হকের সর্মথকরা রামদা, লাঠি নিয়ে নোয়াগাও গ্রামকে ঘেরাও দিয়ে রাখে।
গ্রামের বাসিন্দারা জানান, হঠাৎ করে হাজারো মানুষ রামদা, লাঠিসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এসময় গ্রামের বিভিন্ন বাড়িতে থাকা হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন এবং গ্রামের চন্ডিপুর মন্দির, দূর্গামন্দির, কালী মন্দির, শিব মন্দির, বিষ্ণু মন্দিরের পুরোহিতরা গ্রাম ছেড়ে হাওরের দিকে চলে যান। এসময় তারা মন্দির ও ঘরবাড়ি ভাঙচুর করে এবং লুটপাট চালায়।
গ্রামের রমেশচন্দ্র জানান, কে ফেসবুকে কি লিখল আমরা জানি না। হঠাৎ করে আমার বাড়ির বিষ্ণুমন্দির ভাংচুর করে শত বছর আগের কষ্টি পথরের বিষ্ণু মূর্তি নিয়ে গেছে হামলাকারীরা। তিনি জানান, ঘটনার সময় হাজারো মানুষ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়।
স্থানীয় হবিবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিবেকানন্দ দাস বকুল জানান, মামুনুল হকের সর্মথকরা কমপক্ষে দুই থেকে আড়াই’শ ঘরবাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে।
শাল্লা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আল আমিন চৌধুরী জানান, মামুনুল হককে নিয়ে কটাক্ষ করার অভিযোগে এক যুবককে গতকাল রাতে পুলিশ আটক করেছে। গ্রামের মানুষ অভিযোগ করছেন যে তাদের শতাধিক ঘরবাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাট হয়েছে। জেলা প্রশাসক মো.জাহাঙ্গীর হোসেন ও পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান দুপুরে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন।
পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বললেন, যারা হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা আছে। পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত পুলিশ মোতায়েন করা থাকবে।
সারাবাংলা/এসএসএ