জাতির জনকের স্মৃতি ও স্মারক সংরক্ষণের আহ্বান রাষ্ট্রপতির
১৭ মার্চ ২০২১ ১৮:০০
ঢাকা: জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠান থেকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কথা মাথায় রেখে জাতির পিতার স্মৃতি ও স্মারক সংরক্ষণের আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
তিনি বলেন, জাতির পিতার সহচর্য যারা পেয়েছেন, যারা জাতির পিতার ডাকে সাড়া দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছেন, তাদের বেশিরভাগই বেঁচে নেই। যারা বেঁচে আছেন, তারাও জীবন সায়াহ্নে রয়েছেন। তাই জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকীর এই আয়োজনের মধ্য দিয়ে তার স্মৃতি ও স্মারক সংরক্ষণ করতে হবে, যেন তার দেশপ্রেমের মহান গাঁথা ভবিষ্যৎ প্রজন্ম জানতে পারে, তারা আলোকিত হতে পারে।
বুধবার (১৭ মার্চ) জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ‘মুজিব চিরন্তন’ প্রতিপাদ্য নিয়ে ১০ দিনের বর্ণিল উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন রাষ্ট্রপতি।
জাতির জনকের স্মৃতির কথা স্মরণ করে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেন, জাতির পিতার আজীবন লক্ষ্য ছিল এই দেশের মানুষের মুক্তি। তিনি মৃত্যুর সামনে দাঁড়িয়েও কেবল দেশের নিপীড়িত জনতার কথাই ভেবেছেন। মৃত্যুর সামনে দাঁড়িয়ে এমন উচ্চারণ কেবল একজন মহানায়কই করতে পারেন। দেশকে, দেশের মানুষকে নিজের চেয়ে বেশি ভালোবাসলেই কেবল স্বাধীনতা ও মুক্তির গান এভাবে গাওয়া যায়।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ১৯৭২ সালে স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পর বঙ্গবন্ধু সব শক্তি নিয়ে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে পুনর্গঠন করতে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। একটি সমৃদ্ধি দেশ গড়ার স্বপ্ন দেখতেন তিনি। বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সেই সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়কে অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণে জাতিসংঘের চূড়ান্ত সুপারিশ তারই প্রমাণ।
রাষ্ট্রপতি তার বক্তব্যের শুরুতেই অনুষ্ঠানের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিশেষ অতিথি মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি ইব্রাহিম মোহামেদ সলিহ্ ও ফার্স্টলেডি ফাজনা আহমেদকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান। তিনি বলেন, জাতির জনকের এই জন্মবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি। দেশবাসী ও দেশের বাইরে বসবাসরত সব বাংলাদেশিকে এই মহান দিনে জানাই আন্তরিক অভিবাদন ও উষ্ণ অভিনন্দন।
অনুষ্ঠানে এর আগে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ও জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিদে সুগা’র পাঠানো ভিডিওবার্তা প্রচার করা হয়। ভিডিওবার্তার জন্য তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান রাষ্ট্রপতি। তিনি বলেন, এসব বিশ্বনেতারা তাদের বার্তায় দুই দেশের সম্পর্ক ও উন্নয়নের কথা তুলে ধরেছেন। তাদের বার্তা এই আয়োজনকে নতুন মাত্রা দিয়েছে। আমি আশা করি, এসব উন্নয়ন সহযোগী বন্ধুরে সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক আরও গভীর হবে। চীন, জাপান ও কানাডার অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।
ফার্স্ট লেডি ফাজনা আহমেদকে নিয়ে এই বিশেষ আয়োজনে উপস্থিত থাকার জন্য মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি ইব্রাহিম মোহামেদ সলিহ্’কে ধন্যবাদ জানান রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। এসময় বাংলাদেশ ও মালদ্বীপের সম্পর্ক সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নতুন উচ্চতায় উন্নীত হবে বলেও আশাবাদ জানান তিনি।
সারাবাংলা/এনআর/টিআর