মোদির ঢাকা সফরে থাকছে না তিস্তা ইস্যু
১৭ মার্চ ২০২১ ২০:৫৪
ঢাকা: গত কয়েক বছরে ভারতের সঙ্গে ছিটমহল সমস্যা সমাধানের পাশাপাশি সীমান্তে হত্যাকাণ্ড কমিয়ে আনা, মাদক চোরাচালান বন্ধের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো মীমাংসা হলেও তিস্তা নদীর পানি বণ্টনের সুরাহা আজও হয়নি। দেশটির একাধিক সরকার ও রাষ্ট্র প্রধান, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রিসচিব বাংলাদেশ সফর করলেও বিষয়টি ঝুলেই আছে। এবারও আশা করা হচ্ছিল, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরে তিস্তা ইস্যু সামনে আসবে। কিন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই সফরে তিস্তা ইস্যু থাকছে না।
এ প্রসঙ্গে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব বলেন, ‘ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনে অতিথি হিসেবে আসবেন। তাছাড়া তাদের পশ্চিমবঙ্গ ও আসামে সামনে নির্বাচন। তাই এই মুহূর্তে এমন আবহে চুক্তি নিয়ে কিছু হবে বলে মনে করছি না।’
তিনি আরও বলেন, ‘তিস্তা নদীর পানি চুক্তির বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গের সরকারও জড়িত। সেখানে বিধানসভা নির্বাচন চলছে। ভারতের পানি সচিব বলেছেন, নির্বাচন শেষ হলে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে নিয়ে আলোচনা করে বিষয়টি সমাধান করা হবে। তিস্তা চুক্তির ফ্রেমওয়ার্ক হয়েছে। নদীর যে প্রাকৃতিক প্রবাহ সেটা এখন জয়েন্ট সার্ভে করে ঠিক করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এরপর পানি ভাগের সিদ্ধান্ত আসবে।’
এদিকে গত ১৬ মার্চ ভারতের নয়া দিল্লিতে পানি সচিব পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গ ও আসামের নির্বাচনের পর তিস্তা চুক্তি বাস্তবায়নসহ একাধিক বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছে ভারত।
এ ছাড়াও সেচের জন্য কুশিয়ারা নদী থেকে রহিমপুরের পাম্প হাউজে পানির বিষয়টি অগ্রগতি হয়েছে। মহানন্দা নদীর পানি কমে যাওয়ায় যৌথভাবে সার্ভে করার বিষয়টি আলোচনা হয়েছে।খুব পজিটিভ ও ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব।
নদী বাঁচাতে দু দেশ একমত উল্লেখ করে কবির বিন আনোয়ারের বলেন, ‘আগে নদীর প্রাকৃতিক প্রবাহ নিশ্চিত রাখতে হবে, তারপর পানি বণ্টন। দুদেশের বোঝাপড়ার ঘাটতি ঘোচাতে সার্ভে, পরিদর্শন, তথ্য সংগ্রহ ইত্যাদি কাজগুলো যৌথভাবে হবে। অভিন্ন ৬টি নদীর তথ্যবিনিময় চূড়ান্ত পর্যায় আছে। শ্রীঘ্রই তা ফ্রেমওয়ার্ক এগ্রিমেন্ট হবে। পর্যায়ক্রমে অভিন্ন ৫৪ নদীকে নিয়ে আলোচনা হবে।’
সারাবাংলা/জেআর/একে