বিএনপি বদলি দফতরিকে হেডমাস্টার বানাতে চায়: হাছান মাহমুদ
১৮ মার্চ ২০২১ ০২:৩১
ঢাকা: ইতিহাসের বিকৃতি না ঘটিয়ে প্রকৃত ইতিহাস মেনে নিতে বিএনপির প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার বিষয়ক মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, বিএনপি নানা কথা বলে। খলনায়ককে নায়ক, স্কুলের বদলি দফতরিকে হেডমাস্টার বানাতে চায়। কিন্তু জাতির অর্জন তাদের পছন্দ নয়। পাকিস্তান হা-হুতাশ করে যে বাংলাদেশ তাদের পেছনে ফেলে এগিয়ে গেছে। আর বিএনপি হা হুতাশ করে এই ভেবে যে বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বে দেশ এত এগিয়ে গেছে! দুই হা-হুতাশে মিল আছে।
‘ইতিহাস বিকৃতি করবেন না। ইতিহাস মেনে নিন। যারা ইতিহাসকে মানে না, ইতিহাস তাদের ক্ষমা করে না,’— বিএনপির উদ্দেশে বলেন ড. হাছান মাহমুদ।
বুধবার (১৭ মার্চ) বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে বাংলাদেশ কৃষক লীগ আয়োজিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষে সভা, দোয়া ও কৃষকদের মধ্যে সার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি হিসেবে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, তিনি বাঙালির বিশ্ব নেতা। বিএনপিকে বলব— ইতিহাস মেনে নিন।
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী আরও বলেন, হাজার হাজার বছরের ঘুমন্ত বাঙালিকে স্বাধীনতার মন্ত্রে উজ্জীবিত করে বঙ্গবন্ধু যে স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেছেন, তা আজ পৃথিবীর সব বাঙালির জন্য জাতিরাষ্ট্র। সে কারণে বঙ্গবন্ধু মুজিব শুধু বাংলাদেশের বাঙালিদের নেতা নন, তিনি সমগ্র পৃথিবীর সব বাঙালির নেতা।
আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ইতিহাসের পাতায় বহু নেতার জন্ম হয়েছে। তারা মানুষকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তাদের দেশে স্বাধীনতা এনেছেন। কিন্তু বঙ্গবন্ধু যেভাবে একটি জাতিকে উদ্বুদ্ধ করেছেন, তাতে মানুষের সবচেয়ে প্রিয় যে নিজের প্রাণ, সেই প্রাণ বিসর্জন দেওয়ার মানসে জীবনকে হাতের মুঠোয় নিয়ে যুদ্ধ করে এক সাগর রক্ত পাড়ি দিয়ে বাঙালি স্বাধীনতা এনেছে, বাংলাদেশের আকাশে স্বাধীনতার রক্তিম সূর্যোদয় করেছে। এমন অবিস্মরণীয় নেতৃত্ব ইতিহাসে বিরল।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর দ্বারপ্রান্তে এসে মুজিব শতবর্ষে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘জানি, বিএনপির অনেক লজ্জা যে বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এই অসামান্য অর্জন এসেছে। কিন্তু সরকারকে ধন্যবাদ দিতে লজ্জা লাগলেও জাতিকে অন্তত একটা ধন্যবাদ তারা দিতে পারতেন। তারা সেটি দিতেও ব্যর্থ হয়েছেন।’
বাংলাদেশ কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ্র চন্দের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট উম্মে কুলসুম স্মৃতি অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন। সহসভাপতি শেখ মোহম্মদ জাহাঙ্গীর আলম ও সংগঠনের অন্যান্য নেতারা সভায় বক্তব্য দেন।
সভা শেষে ড. হাছান মাহমুদ আয়োজক ও অতিথিদের সঙ্গে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে কেক কাটেন, দোয়ায় অংশ নেন এবং কৃষকদের মধ্যে কৃষক লীগের পক্ষ থেকে বিনামূল্যে সার বিতরণ করেন।
এর পরপরই বাদ জোহর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মুকাররামে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আয়োজিত দোয়ায় যোগ দেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান।
সারাবাংলা/জেআর/টিআর