অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন নেবেন বরিস জনসন
১৮ মার্চ ২০২১ ১৫:৪৫
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন, তিনি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার উদ্ভাবিত করোনার ভ্যাকসিন নেবেন। ওই ভ্যাকসিনের নিরাপত্তা নিয়ে ইউরোপে তৈরি হওয়া শঙ্কার মধ্যেই বুধবার (১৭ মার্চ) তিনি এ ঘোষণা দিয়েছেন। খবর এএফপি।
এদিকে, নিরাপত্তা শঙ্কায় ইউরোপের বেশকিছু দেশ সাময়িকভাবে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনা ভ্যাকসিন ব্যবহার স্থগিত করেছে। তবে এ ভ্যাকসিনের নিরাপত্তা নিয়ে ওঠা প্রশ্ন পার্লামেন্টে নাকচ করে দিয়েছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী।
বরিস জনসন পার্লামেন্টে বলেন, অবশেষে ভ্যাকসিন পাচ্ছেন তিনি। শিগগিরই ভ্যাকসিন নেবেন। এটি অবশ্যই অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার হবে।
যুক্তরাজ্যে পরবর্তী ধাপে ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য যাদেরকে ডাকা হবে তাদের মধ্যে ৫৬ বছর বয়সী বরিস জনসন রয়েছেন বলে বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে। জুলাই মাস নাগাদ যুক্তরাজ্যের কর্তৃপক্ষ দেশটির প্রাপ্তবয়স্ক সব মানুষকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনতে চায়।
অন্যদিকে, সংবাদ সম্মেলনে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিনের নিরাপত্তার বিষয়ে আশ্বস্ত করেছেন যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক ও ইংল্যান্ডের ডেপুটি চিফ মেডিকেল অফিসার জনাথন ভ্যান টাম।
প্রসঙ্গত, যুক্তরাজ্যে ২০২০ সালের ডিসেম্বর থেকে সবার জন্য ভ্যাকসিন কর্মসূচি শুরু হয়। দেশটিতে এখন পর্যন্ত আড়াই কোটির বেশি মানুষ করোনা ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ পেয়েছেন। তার মধ্যে এক কোটি দশ লাখ মানুষ পেয়েছেন অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন।
সম্প্রতি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিনের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ থেকে বিভিন্ন দেশ ব্যবহার স্থগিতের ঘোষণা দেয়। সোমবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) বৃহত্তম তিন দেশ জার্মানি, ইতালি ও ফ্রান্স অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকাদান স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেয়। পরে স্পেন, পর্তুগাল, স্লোভেনিয়া, লাটভিয়াও একই সিদ্ধান্তের কথা জানায়। তারও আগে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন ব্যবহার সাময়িকভাবে স্থগিত রাখার ঘোষণা দেয় নেদারল্যান্ডস, ডেনমার্ক, নরওয়ে, বুলগেরিয়া, আইসল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড। ইন্দোনেশিয়াও এই ভ্যাকসিনের ব্যবহার বিলম্বিত করছে। এই ভ্যাকসিনে রক্ত জমাট বাধার আশঙ্কা থেকে দেশগুলো এমন সিদ্ধান্ত নেয় বলে জানানো হয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, ইউরোপীয় ওষুধ পর্যবেক্ষক সংস্থা, যুক্তরাজ্যের ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বলছে, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন নিরাপদ। এই টিকার সঙ্গে ব্যক্তির শরীরে রক্ত জমাট বাধার যোগসূত্র থাকার কোনো প্রমাণ নেই। তাই এই টিকার ব্যবহার বন্ধ না করে তা চালিয়ে যাওয়া উচিত।
যুক্তরাজ্যের নামকরা অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি ও ব্রিটিশ-সুইডিশ ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান অ্যাস্ট্রাজেনেকা পিএলসি যৌথভাবে এই ভ্যাকসিন উদ্ভাবন করেছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই ভ্যাকসিন প্রয়োগ চলছে।
সারাবাংলা/একেএম