‘সোনার বাংলা গড়ে তোলা হোক বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকীর প্রত্যয়’
১৮ মার্চ ২০২১ ১৯:০৩
ঢাকা: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিল ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত এবং শোষণ ও বঞ্চনামুক্ত একটি সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা। তার জন্মবার্ষিকীতে তরুণরা যেন বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সেই সোনার বাংলা গড়ে তোলার প্রত্যয় নেন— এমনটিই প্রত্যাশা করছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
তিনি বলেন, জাতির পিতার রাজনীতির মূল লক্ষ্য ছিল মানুষের প্রতি ভালোবাসা। তিনি কখনো অন্যায়ের কাছে মাথানত করেননি। সাধারণ মানুষের অধিকার আদায়ে আমৃত্যু সংগ্রাম করেছেন তিনি। তার দর্শন ছিল শোষণ ও বৈষম্যমুক্ত সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করা। বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে তরুণ নেতৃত্ব ভবিষ্যৎ সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে কাজ করবে— এই হোক জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকীর প্রত্যয়।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১৮ মার্চ) বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয় আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে যুক্ত হয়েছিলেন স্পিকার।
মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী বাংলাদেশকে গড়ে তুলতে বঙ্গবন্ধুর ভূমিকার কথা তুলে ধরে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, স্বল্প সময়ের মধ্যে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনে বঙ্গবন্ধু দূরদৃষ্টি ও গভীর প্রজ্ঞাসম্পন্ন সার্বিক পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিলেন। শোষণ-বৈষম্য-নির্যাতন-নিপীড়ন থেকে বাংলার মানুষকে মুক্তি দেওয়াই ছিল তার একমাত্র লক্ষ্য। ১৯৭৪ সালে বেতবুনিয়া ভূ-উপগ্রহ স্থাপন তার উন্নত স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তোলার অন্যতম পদক্ষেপ।
স্পিকার বলেন, আজ জাতির পিতার অসমাপ্ত কাজ তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাস্তবায়ন করে চলেছেন। প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী নেতৃত্বে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকীর মাহেন্দ্রক্ষণে সব সূচক পূরণ করে স্বল্পোন্নত দেশের কাতার থেকে বেরিয়ে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে দেশ উন্নীত হয়েছে। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু হচ্ছে। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ আজ রোল মডেল। রেমিট্যান্স থেকে শুরু করে প্রতিটি ক্ষেত্রে অনেক সফলতা অর্জন করা সম্ভব হয়েছে।
জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া অনুষ্ঠানে বলেন, বঙ্গবন্ধু যা বিশ্বাস করতেন তাই ৭ মার্চের ভাষণে ঘোষণা দিয়েছিলেন। তারই নেতৃত্বে যুদ্ধ জয় করে আমরা পেয়েছি স্বাধীন বাংলাদেশ এবং অনন্য সংবিধান।
জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধু তার বিশালত্ব দিয়ে সব নেতাকর্মীকে ভালবাসতেন এবং সঠিক সময়ে সঠিক দিকনির্দেশনা দিতেন। এ কারণেই তিনি একজন মহান নেতা হয়ে উঠেছিলেন।
সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম বলেন, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ অবিচ্ছেদ্য অংশ। বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে স্বাধীন বাংলাদেশ হতো না। এই বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি, সেনাপ্রধান, সচিবসহ উচ্চপর্যায়ের কোনো পদেই বাঙালিরা অধিষ্ঠিত হতে পারতেন না।
জাতীয় সংসদের আরেক হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বলেন, বাহাত্তরের ১০ জানুয়ারি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে আমাদের স্বাধীনতা, আমাদের মুক্তি পূর্ণতা পায়। পরে বঙ্গবন্ধুর চৌকষ নেতৃত্বে ভারতীয় মিত্রবাহিনী বাংলাদেশ থেকে ফেরত গেলে স্বাধীনতা আরও অর্থবহ হয়ে ওঠে।
জাতীয় সংসদের সিনিয়র সচিব ড. জাফর আহমেদ খানের সভাপতিত্বে সভায় সংসদ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ফোরামের সিনিয়র সহসভাপতি উপসচিব এস এম মঞ্জুর কবিতা আবৃত্তি এবং সহসভাপতি পরিচালক তারিক মাহমুদ ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ ও উপপরিচালক সামিয়া রুবাইয়াত হোসাইন ‘কারাগারের রোজনামচা’ থেকে পাঠ করেন।
অনুষ্ঠানে ফোরামের সভাপতি উপসচিব এ কে এম জি কিবরিয়া মজুমদার, সাধারণ সম্পাদক সহকারী সচিব আসিফ হাসান, সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল খায়ের উজ্জ্বলসহ অন্যরা বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
সারাবাংলা/এএইচএইচ/টিআর
জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ জাতীয় সংসদের স্পিকার জাতীয় সংসদের হুইপ ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ডেপুটি স্পিকার