Monday 25 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

শেকৃবিতে অনিশ্চয়তায় চলমান স্নাতকোত্তর গবেষণা

শেকৃবি করেসপন্ডেন্ট
১৮ মার্চ ২০২১ ২০:৩০

শেকৃবি: স্নাতকোত্তর গবেষণা নিয়ে অনিশ্চয়তায় পড়েছেন শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। আবাসিক হল বন্ধ করায় আবাসন সংকটে বাড়িতে অবস্থান করতে হচ্ছে অধিকাংশ শিক্ষার্থীদের। ক্যাম্পাসের বাইরে থেকে যথাযথ তদারকি না করায় চলমান গবেষণা ব্যহত হচ্ছে বলে জানা গেছে।

খামার বিভাগ সূত্রে জানা যায়, গত বছরের খরিপ-১ মৌসুমে মাঠে ১৩৩টি গবেষণা শুরু হলেও করোনার প্রকোপে অধিকাংশ আলোর মুখ দেখেনি। খরিপ-২’তে মাঠে নতুন কোন গবেষণা হয়নি। চলতি বছরে খরিপ-১ মৌসুমে বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা মাঠে প্লটের জন্য ইতোমধ্যে অর্ধশতাধিক আবেদন জমা পড়েছে।

বিজ্ঞাপন

স্নাতকোত্তরের একাধিক শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রবি মৌসুমে গবেষণা সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীদের শর্তসাপেক্ষে হলে থাকার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। গবেষণা শুরু হলেও গত ২২ ফেব্রুয়ারি হঠাৎ হল ত্যাগের নোটিশে রবি মৌসুমের শেষ সময়ে এসে বিপাকে পড়েন তারা। গবেষণা শেষ করতে কেউ কেউ বাধ্য হয়ে বাসা ভাড়া নিলেও বাড়িতে ফিরে গেছেন অস্বচ্ছল শিক্ষার্থীরা।

এদিকে খরিপ-১ এ মাঠে গবেষণা প্লটের জন্য আবেদন করেছিলেন অনেকে। হল বন্ধ হওয়ায় অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে তাদের গবেষণাও। এ অবস্থায় যথাযথভাবে গবেষণা করতে হলে ঢাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতে হবে, যা সবার পক্ষে সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে শিক্ষার্থীরা।

গবেষণারত স্নাতকোত্তরের এক শিক্ষার্থী বলেন, অ‘নেক আশা নিয়ে গবেষণা শুরু করেছিলাম। হল বন্ধ হওয়ায় বাইরে থেকে ঠিকমতো যত্ন নিতে পারিনি। আমার ফসল ভাইরাস আক্রান্ত হয়ে গেছে। খুব দুঃশ্চিন্তায় আছি।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নারী শিক্ষার্থী বলেন, ‘প্রতিদিন সকাল ৬টায় প্লটে যেতে হয়। ক্যাম্পাসের বাইরে থেকে একজন মেয়ের জন্য এত সকালে যাওয়া রিস্ক। সঠিক সময়ে যত্ন না নিলে গবেষণার ফলাফল ভিন্ন আসবে। এ মৌসুমে গবেষণা করতে না পারলে আরও ছয় মাস পিছিয়ে পড়তে হবে।’

বিজ্ঞাপন

পোস্ট গ্রাজুয়েট স্টাডিজের ডিন ড. অলক কুমার পাল বলেন, ‘আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করছি ছাত্রদের সাহায্য করার জন্য। যাতে তাদের কাজ শেষ করতে পারে। যারা বাড়িতে আছে, তারা আমাকে ফোনে বলুক, গাইড স্যারকে বলুক, আমি ব্যবস্থা করে দেব।’

সারাবাংলা/এমও

শেকৃবি স্নাতকোত্তর গবেষণা

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর