Wednesday 11 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘ভ্যাকসিন তৈরির প্রস্তুতি শুরু করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
১৮ মার্চ ২০২১ ২৩:২৯

ঢাকা: দেশে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন তৈরির প্রস্তুতি শুরু হতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ করোনার ভ্যাকসিন তৈরির প্রস্তুতি শুরু করতে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী ব্যক্তিগতভাবে সহযোগিতা করবেন। করোনার ভ্যাকসিন তৈরি করতে স্বয়ংসম্পূর্ণ প্রতিষ্ঠানকে আমরা পর্যাপ্ত সহযোগিতা করব।

বৃহস্পতিবার (১৮ মার্চ) বিকেলে সাভারের জিরাবোতে ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ইনসেপ্টার কারখানা পরিদর্শন শেষে এসব কথা বলেন তিনি। অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রেজেনেকার ভ্যাকসিন নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠলেও এসময় মন্ত্রী জানান, এই ভ্যাকসিন নিরাপদ। বাংলাদেশে এই ভ্যাকসিনের প্রয়োগই হবে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, আমাদের দেশ বিভিন্ন খাতে স্বয়ংসম্পূর্ণ। ওষুধ খাতে আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে বিদেশেও রফতানি করছি। আমাদের দেশের বিভিন্ন ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ভ্যাকসিন তৈরি করছে। বড় আকারে আমরা ভ্যাকসিন তৈরি করতে পারি। তবে এসব আমাদের বাইরে থেকে সংগ্রহ করতে হবে। এসব ভ্যাকসিন তৈরির পর সেটি কতটা কার্যকর, তাও পরীক্ষা করা হবে।

ভ্যাকসিন তৈরিতে প্রয়োজনীয় অনুমোদন নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, করোনার ভ্যাকসিন তৈরিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদিত ল্যাব (পরীক্ষাগার) প্রয়োজন। এরই মধ্যে এমন ল্যাব তৈরির কাজ চলছে দেশে। এই ল্যাবের একটি অংশের (কেমিক্যাল) আমাদের অনুমোদন দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। বাকি অংশ অনুমোদন নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে। এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠানোর প্রক্রিয়াও চলছে।

তিনি বলেন, আমরা দেশেই ভ্যাকসিন তৈরি করতে পারলে দেশবাসীকে খুব সহজেই এই ভ্যাকসিন দিতে পারব। আমাদের ওষুধ কোম্পানিগুলো কোভিডের সব ওষুধ তৈরি করছে। দেশেই আমরা এসব ওষুধ পাচ্ছি। আমাদের কোম্পানিগুলো যদি ভ্যাকসিন তৈরি করে সেগুলোও আমরা নেব।

কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন প্রসঙ্গে জাহিদ মালেক বলেন, রক্ত জমাট বাঁধার সঙ্গে সিরামের ভ্যাকসিনের কোনো সম্পর্ক নেই। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও এটাকে নিরাপদ বলেছে। তাই এটারই ব্যবহার চালাব আমরা দেশে।
তিনি আরও বলেন, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন বহু দেশে ব্যবহার হচ্ছে। আমাদের দেশে ব্যবহার হচ্ছে, ইংল্যান্ড ও পার্শ্ববর্তী ভারতেও ব্যবহার হচ্ছে, কোথাও স্থগিত হয়নি। দুয়েকটি দেশে এটা স্থগিতের কথা আমরা শুনেছি। তারা কিছুদিন দেখবে এবং পরে আবার শুরু করে দেবে।

মন্ত্রী বলেন, সিরাম ইনস্টিটিউট থেকে অক্সফোর্ডের আমরা যে ভ্যাকসিন আনছি, সেটি অত্যন্ত ভালো। সেটা প্রায় আমাদের ৫০ লাখ জনগণকে দিয়েছি। সেটা আমরা বেক্সিমকোর মাধ্যমে এনেছি। তারা হলো এখানকার লোকাল এজেন্ট। সামনে যদি আরও লাগে, সেটাও আমরা অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন নেব।

দেশের নাগরিকদের জন্য ভ্যাকসিনপ্রাপ্তির বিষয়টি তুলে ধরে জাহিদ মালেক বলেন, প্রাথমিকভাবে আমরা ভারত থেকে তিন কোটি ভ্যাকসিন নিয়েছি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকেও আমাদের ভ্যাকসিন দেওয়ার কথা রয়েছে। এই ভ্যাকসিন পেলে ২২ থেকে ৪০ বছর পর্যন্ত বয়সের মানুষের জন্য আমরা ভ্যাকসিন সরবরাহ করতে পারব।

কারখানা পরিদর্শনের সময় মন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন, ধামরাই আসনের সংসদ সদস্য বেনজীর আহমেদ, ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমানসহ ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালসের কর্মকর্তারা।

সারাবাংলা/এসবি/টিআর

জাহিদ মালেক টপ নিউজ ভ্যাকসিন তৈরি স্বাস্থ্যমন্ত্রী


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর