Saturday 28 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

এখনো ভিড় বাড়েনি মেলায়, কমেছে নতুন বইও

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
২১ মার্চ ২০২১ ২১:৪৬

ঢাকা: বাংলাদেশি লেখক-পাঠকদের কাছে অমর একুশে বইমেলা ভিন্ন এক আবেগের নাম। তবে এ বছর সেই উৎসাহে অনেকটাই ভাটা পড়ে গেছে। মহামারি করোনার শঙ্কায় বইমেলা শুরু হতে প্রায় দেড় মাস দেরি হয়েছে। সেজন্য মেলার শুরুতে পাঠকদের ভিড় অনেক কম। এমনকি মেলার চতুর্থ দিনেও কমেছে নতুন বইয়ের সংখ্যা।

রোববার (২১ মার্চ) মেলার চতুর্থ দিনে নতুন বই এসেছে ৮১টি। এর মধ্যে সবেচেয়ে বেশি এসেছে কবিতার বই। ২৩ কাব্যগ্রন্থের পাশে উপন্যাস এসেছে ১১টি। এছাড়াও গল্পগ্রন্থ এসেছে আটটি। এদিন প্রকাশিত বইয়ের মধ্যে আনোয়ারা সৈয়দ হক ও মহাদেব সাহার দুটি বইও রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

এদিকে বইমেলার মূলমঞ্চে বিকেলে অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী: স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্র’ নামের একটি আলোচনা অনুষ্ঠান। যেখানে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অধ্যাপক নিরঞ্জন অধিকারী। আলোচনায় ছিলেন কল্যাণী ঘোষ, বুলবুল মহলানবীশ এবং আশরাফুল আলম।

নিরঞ্জন অধিকারী বলেন, ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন ও মুক্তি-সংগ্রামের ক্ষেত্রে স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্র গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। এর মাধ্যমে বিশ্ববাসী জানতে ও বুঝতে পেরেছে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের যৌক্তিকতা, কর্মকাণ্ড ও মুক্তিযুদ্ধের বার্তা। দেশবাসীরা আশ্বস্ত হয়েছেন এই ভেবে যে, স্বাধীনতা সংগ্রাম চলছে। তরুণরা উদ্বুদ্ধ হয়ে দলে দলে যুদ্ধে অংশ নিচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘দেশের স্বাধীনতাকামী জনগণ ও বিশ্ববাসীর জন্য ইতিবাচক বিশ্ব জনমতের জন্য স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্রের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। বস্তুত স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্র বাংলাদেশের ইতিহাসের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ।’

বিজ্ঞাপন

আলোচকরা বলেন, বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের গৌরবময় ইতিহাসের সঙ্গে স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্রের নাম ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে। পাকিস্তানি হানাদারদের বর্বরতার চিত্র বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরার ক্ষেত্রে স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্র গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধের জরুরি তথ্য পরিবেশন ও বঙ্গবন্ধুর বাণীসহ দেশাত্মবোধক গান, গণসংগীত, কবিতা, নাটক ও নানা উদ্দীপনামূলক অনুষ্ঠান প্রচারের মাধ্যমে মুক্তিকামী জনগণ ও অকুতোভয় মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্বুদ্ধ করেছে। দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পীরা তাদের শাণিত শব্দকে হাতিয়ার করে হয়ে উঠেছিলেন মুক্তিযুদ্ধের এক একজন শব্দসৈনিক।

সভাপতির বক্তব্যে রামেন্দু মজুমদার বলেন, ‘স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্র বাংলাদেশের গৌরবময় মুক্তিযুদ্ধের অনন্য সাক্ষী। মুক্তিযোদ্ধাদের অনুপ্রাণিত করা ও অবরুদ্ধ বাঙালিদের সাহস জোগানোর ক্ষেত্রে এই বেতার কেন্দ্রের অসামান্য ভূমিকার কথা আমাদের স্মরণ রাখতে হবে এবং নতুন প্রজন্মের কাছে তা তুলে ধরতে হবে।’

এদিন লেখক বলছি মঞ্চে নিজেদের বই নিয়ে আলোচনা করেন মুম রহমান, মন্দিরা এষ এবং বিধান রিবেরু।

সারাবাংলা/টিএস/পিটিএম

টপ নিউজ বইমেলা ২০২১

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

দু’দিনে ভারতে ৯৯ টন ইলিশ রফতানি
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৭:৩৪

সম্পর্কিত খবর