করোনায় এমপি সামাদ চৌধুরীর মৃত্যু যে বার্তা দিয়ে গেল
২২ মার্চ ২০২১ ১৪:২৩
ঢাকা: ১০ মার্চ নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমিত হয়ে রাজধানীর একটি হাসপাতালে মারা যান সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী। বাংলাদেশে কোভিড-১৯ সংক্রমণ শুরুর পর প্রথম থেকেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিজ নির্বাচনি এলাকার মানুষের পাশেই ছিলেন প্রয়াত এই সংসদ সদস্য। গত ১০ ফেব্রুয়ারি তিনি ভ্যাকসিন নেন রাজধানীর একটি কেন্দ্র থেকে। ভ্যাকসিন নেওয়ার পরও তিনি এলাকায় বিভিন্ন কর্মসূচিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অংশ নেন। এরপর ৭ মার্চ তিনি শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে রাজধানীর একটি হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানে নমুনা পরীক্ষা করা হলে কোভিড-১৯ সংক্রমণ নিশ্চিত হওয়া যায়। ১১ মার্চ তার মৃত্যু হয়।
ভ্যাকসিন নেওয়ার পরও করোনায় আক্রান্ত অবস্থায় এমন মৃত্যুর ঘটনায় জনমনে বিভিন্ন প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। অধিকাংশ সময়েই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা একজন সংসদ সদস্য কীভাবে আক্রান্ত হলেন— এ প্রশ্ন অনেকেরই। তবে এমপি সামাদ কীভাবে কোভিড-১৯ সংক্রমিত হয়েছিলেন— সে বিষয়েও এখন পর্যন্ত স্বাস্থ্য অধিদফতর বা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে কোনো সুনির্দিষ্ট বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভ্যাকসিন নেওয়ার পরও যে কারও মাঝেই কোভিড-১৯ সংক্রমণ দেখা দিতে পারে। তাই দেশে বর্তমান কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে নিজেকে নিরাপদ রাখতে হলে অবশ্যই পূর্ণ সময় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। এক্ষেত্রে যদি এক থেকে দুই মিনিটের জন্যেও কেউ রিল্যাক্স হয়ে মাস্ক ছাড়া জনসমাগমে যান, সেই সামান্য সময়ই তার জন্য বিপদ ডেকে আনতে পারে। কারণ বাংলাদেশে অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে, সংক্রমিত ব্যক্তিরা উপসর্গহীন হয়ে থাকছে। আর তাই স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণের কোনো বিকল্প নেই।
আরও পড়ুন- করোনায় মারা গেলেন সিলেটের এমপি মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী
মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীর গত এক মাসের বেশি সময়ের কর্মকাণ্ডে দেখা যায়, ১০ ফেব্রুয়ারি তিনি ভ্যাকসিন নেওয়ার পর ১২ ফেব্রুয়ারি মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে ফেঞ্চুগঞ্জের শাহজালাল ফার্টিলাইজার ফ্যাকটরি মাঠে এমএসসি স্পোর্টিং ক্লাব আয়োজিত ক্রিকেট টুর্নামেন্ট উদ্বোধন করেন। এদিন টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণকারীদের উদ্দেশে বক্তব্য দেন তিনি। এ সময় তিনি মাস্ক পরা অবস্থাতেই ছিলেন। ১৩ ফেব্রুয়ারি মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে সারাদেশে গৃহহীনদের ঘর প্রদানের অংশ হিসেবে হোসাফ গ্রুপের পক্ষ থেকে ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলায় ২০টি ঘর ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম হস্তান্তরের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। এদিনও অধিকাংশ সময়ে মাস্ক পরা অবস্থায় থাকলেও কিছু সময় মাস্ক ছাড়া দেখা যায় তাকে। একইভাবে ১৪ ফেব্রুয়ারি, ১৫ ফেব্রুয়ারি ও ১৬ ফেব্রুয়ারি বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠানে অংশ নেন তিনি। ১৯, ২০, ২১, ২৩ ও ২৪ ফেব্রুয়ারিও তিনি এলাকার বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নেন।
২৬ ফেব্রুয়ারি শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতাদের সঙ্গে গোপালগঞ্জ যান এমপি সামাদ। বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের পাশাপাশি এদিন তিনি গোপালগঞ্জ জেলা শেখ রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ, খেলাধুলা সামগ্রী বিতরণ ও আলোচনা সভায় অংশ নেন। ১ মার্চ তিনি সিলেট রেঞ্জ সদর আয়োজিত কর্তব্যরত অবস্থায় নিহত সকল পুলিশ সদস্যদের স্মরণে ‘পুলিশ মেমোরিয়াল ডে ২০২১‘ অনুষ্ঠানে যোগ দেন। একই দিন আরও দুই থেকে তিনটি কর্মসূচিতে যোগ দেন তিনি। ৫ মার্চ তিনি দক্ষিণ সুরমা উপজেলার জালালপুর রায়খাইল সমাজ কল্যাণ যুবসংঘ কর্তৃক আয়োজিত হেলাল চৌধুরী ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০২০ ফাইনাল খেলার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেন। এটিই ছিল সংসদ সদস্যের জীবনের শেষ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ।
এসব অনুষ্ঠানেই দেখা গেছে, এমপি সামাদ অধিকাংশ সময়েই ছিলেন মাস্ক পরা অবস্থায়। কিন্তু কিছু সময় তার মুখে মাস্ক দেখা যায়নি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোভিড-১৯ সংক্রমণ ছড়ানোর জন্য এক সেকেন্ড সময়ও যথেষ্ট। কারণ বাংলাদেশে প্রচুর পরিমাণে উপসর্গহীন রোগী দেখা যাচ্ছে। যে কারণে আসলে কেউ বুঝতে পারছেন না, তিনি যার সঙ্গে দেখা করছেন বা পাশে বসছেন তার মধ্যে কোভিড-১৯ সংক্রমণ আছে কি না।
জানা যায়, ৭ মার্চ সংসদ সদস্য হিসেবে মাহমুদ উস সামাদ কোনো অনুষ্ঠানে যোগ দেননি। এদিন ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিতে বিমানে ওঠার সময়-তিনি হাঁপিয়ে পড়েন। বিমানে অসুস্থতা অনুভব করায় সেখান থেকে সরাসরি গিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। ৮ মার্চ সকালে তার নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ দিনই তার মাঝে সংক্রমণ শনাক্ত হয়। এরপর তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় ভেন্টিলেশনে নেওয়া হয়। পরে ১০ মার্চ তিনি মারা যান।
মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীর ব্যক্তিগত সহকারী জুলহাস আহমদ সারাবাংলাকে বলেন, ‘স্যার সবসময়ই স্বাস্থ্য সচেতন ছিলেন। তার ডায়াবেটিস ছিল। তবে সুগার লেভেল অধিকাংশ সময়েই নিয়ন্ত্রণে থাকত। ৭ মার্চ হঠাৎ করেই তার শরীর খারাপ লাগে। পরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।’
জানতে চাইলে জুলহাস বলেন, ‘স্যারের আশেপাশে থাকেন— এমন কারও মাঝে গত ১০ দিনে কোভিড-১৯ সংক্রমণ পাওয়া যায়নি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলেছে, স্যারের মাঝে আরও আগে সংক্রমণ দেখা গিয়েছিল, যা শনাক্ত হয় ৮ মার্চ। তিনি সবসময়ই মাস্ক পরে থাকতেন। প্রায় সময়ই তিনি দু’টো মাস্ক পরতেন। তবে মাঝে মাঝে এলাকাবাসীর অনুরোধে ছবি তোলার সময় মাস্ক খুলতেন। এ সময় তিনি আমাকে ডেকে বলতেন, জুলহাস আমি ২০ সেকেন্ডের জন্য শ্বাস বন্ধ রাখছি। তুমি দ্রুত ছবি তুলে দাও। আমি সেভাবেই তুলে দিতাম। পরে উনি আবার মাস্ক পরে নিতেন।’
এমপি সামাদের এই ব্যক্তিগত সহকারী আরও বলেন, ‘বিভিন্ন স্থানে বক্তৃতা দেওয়ার সময় স্যার নিজের মাইক্রোফোন ব্যবহার করতেন। সেক্ষেত্রে সংক্রমণ ছড়ানোর কোনো সম্ভাবনা দেখছি না। স্টেজে বসে থাকার অবস্থায়ও তিনি মাস্ক পরেই থাকতেন। এখন আসলে কীভাবে উনার মাঝে এই ভাইরাস ঢুকল, সেটা বোঝা যাচ্ছে না।’
মাহমুদ উস সামাদের ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করছেন জুলহাস। তিনি বলেন, ‘স্যারের সঙ্গে আমি সবচেয়ে বেশি সময় কাটিয়েছি। আমার আগে কোভিড-১৯ সংক্রমণ শনাক্ত হলেও দ্রুতই আমি সুস্থ হয়ে উঠি। উনি সবসময়েই এলাকাবাসীর মাঝে থাকতে চাইতেন। আর সেজন্য কোভিড-১৯ সংক্রমণ শুরুর পর থেকে উনি এলাকার মানুষের সুখে দুঃখে পাশেই ছিলেন।’
তিনি বলেন, ‘স্যারের যেদিন সংক্রমণ শনাক্ত হয় সেদিন উনার স্ত্রীর মাঝেও সংক্রমণ শনাক্ত হয়। কিন্তু উনার পরিবারের অন্যান্য সদস্যের মাঝে নমুনা পরীক্ষা করার পরে সংক্রমণ শনাক্ত হয়নি। আমি স্যারের শেষ মুহূর্তগুলোতেও পাশে ছিলাম।’
জানতে চাইলে জুলহাস আহমদ সারাবাংলাকে বলেন, ‘এখন পর্যন্ত জেলা সিভিল সার্জন বা অন্য স্বাস্থ্য কর্মকর্তা অথবা রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও রোগ গবেষণা কেন্দ্রের (আইইডিসিআর) পক্ষ থেকে কেউ যোগাযোগ করেনি। আর স্যারের সংস্পর্শে যারা এসেছিলেন শেষের দিনগুলোতে তাদের কারও মাঝেই কোভিড-১৯ সংক্রমণ শনাক্ত হয়নি। এমনকি কারও মাঝে উপসর্গও দেখা যায়নি।’
১১ মার্চ সংসদ সদস্য মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীর জানাজা অনুষ্ঠিত হয় তার নির্বাচনি এলাকায়। এদিন সেখানে অংশগ্রহণ করেন অনেক মানুষ। এক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধির বিষয়ে তাদের কিছু জানানো হয়েছিল কি না এবং কীভাবে তিনি সংক্রমিত হলেন সে বিষয়ে কোনো ধরনের কন্টাক্ট ট্রেসিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছিল কি না— জানতে চাওয়া হয় সিলেট জেলা সিভিল সার্জন কর্মকর্তা ডা. প্রেমানন্দ মণ্ডলের কাছে। সারাবাংলাকে তিনি বলেন, ‘উনার মাঝে কোভিড-১৯ সংক্রমণ শনাক্ত হওয়ার পর তো উনি কোথাও যাননি। তাই উনার কাছ থেকে কোনোভাবেই অন্য কারও মাঝে সংক্রমণ ঘটার সম্ভাবনা নেই।’
উনি যেসব অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন সেখানে মাস্ক ছাড়া অবস্থায় দেখা যায় কিছু সময়। এক্ষেত্রে যেহেতু ১৫ দিন পর্যন্ত যে কেউ কোভিড-১৯ সংক্রমণ ছড়াতে পারে। সেসব অনুষ্ঠানে সংক্রমিত কারও কোনো তথ্য পাওয়া গেছে কি না— জানতে চাইলে এই সিভিল সার্জন বলেন, ‘না, উনি সবসময়ই মাস্ক পরে থাকতেন। আর এত মানুষের মাঝে তো আসলে কন্টাক্ট ট্রেসিং সম্ভব না।’
আইইডিসিআর’র পরিচালক অধ্যাপক ডা. তাহমিনা শিরিন সারাবাংলাকে বলেন, ‘উনার মৃত্যুর সংবাদ পেয়েছি। কিন্তু পরিবারের অন্য কারও মাঝে কোনো সংক্রমণ আছে কি না, তা এখনো জানতে পারিনি।’ কন্টাক্ট ট্রেসিংয়ের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘কমিউনিটি ট্রান্সমিশনে আসলে এভাবে কন্টাক্ট ট্রেসিং সবসময়ই সম্ভব না। কারণ এখন প্রচুর রোগী পাওয়া যাচ্ছে, যারা উপসর্গহীন।’
বেশিরভাগ সময়ই স্বাস্থ্যবিধি মানার পরেও আক্রান্ত হওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এটা খুবই স্বাভাবিক। দেখা গেল, আপনি এমন কারও সঙ্গে মিশছেন যিনি একজন উপসর্গহীন রোগী। স্বাস্থ্যবিধি সবসময়ই মেনে চললেও এক মুহূর্তের জন্য এমন কারও সংস্পর্শে এলে সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকবেই।’
আইইডিসিআর’র প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. এ এস এম আলমগীর সারাবাংলাকে বলেন, ‘কমিউনিটি ট্রান্সমিশনের সময় আমরা সবাইকে পরামর্শ দেই জনসমাগম এড়িয়ে চলার জন্য। কোভিড-১৯ সংক্রমণ থেকে মুক্ত থাকতে হলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কোনো বিকল্প নেই। এক্ষেত্রে যদি কেউ একটা মুহূর্তের জন্য স্বাস্থ্যবিধি ভেঙে উপসর্গহীন কোনো রোগীর সংস্পর্শে আসেন তবে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকেই।’
ভ্যাকসিন নেওয়ার পরেও আক্রান্ত হওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ভ্যাকসিন নেওয়ার পরে কেউ আক্রান্ত হবেন না এমনটা এখন পর্যন্ত বিশ্বের কোথাও বলা হয়নি। ভ্যাকসিন নির্দিষ্ট একটা সময় পরে অ্যান্টিবডি তৈরিতে কাজ শুরু করে। আর দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার আগে তো কোনোভাবেই পূর্ণাঙ্গ সুরক্ষা পাওয়া সম্ভব নয়। আর তাই আক্রান্ত যে কেউ হতেই পারে।’
কোভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণে গঠিত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সদস্য এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সাবেক উপাচার্য ও ভাইরোলজি বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম সারাবাংলাকে বলেন, ‘স্বাস্থ্যবিধি সবসময়ই মানতে হবে। এক্ষেত্রে ভুল করার কোনো সুযোগ নেই। কারণ বাংলাদেশে প্রচুর পরিমাণে উপসর্গহীন রোগী দেখা যাচ্ছে। তাদের সংস্পর্শে এলে যেকেউ মুহূর্তের মধ্যেই সংক্রমিত হতে পারেন।’
জনস্বাস্থ্যবিদ ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের পাবলিক হেলথ অ্যাডভাইজারি কমিটির সদস্য আবু জামিল ফয়সাল সারাবাংলাকে বলেন, ‘যদি কেউ ৯৯.৯৯ শতাংশ সময় মাস্ক পরে থাকেন তবুও সেই দশমিক শূন্য ১ শতাংশের কারণে সংক্রমিত হতে পারেন। এক্ষেত্রে আসলে সংসদ সদস্য কীভাবে সংক্রমিত হয়েছেন তা সরকারিভাবে নির্ণয় করা জরুরি ছিল। ভ্যাকসিন নিলে কেউ সংক্রমিত হবে না এমনটা এখন পর্যন্ত বিশ্বের কোনো বিজ্ঞানী বলেননি। সুতরাং আমাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতেই হবে। এক্ষেত্রে এক মুহূর্তও রিল্যাক্স হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।’
সারাবাংলা/এসবি/পিটিএম
এমপি সামাদ করোনা সংক্রমণ নিয়ে মৃত্যু করোনায় মৃত্যু মাস্ক পরিধান মাহমুদ উস সামাদ সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য স্বাস্থ্যবিধি