ভয়ভীতি দেখানোর মামলায় সাজা গাছ রোপণ ভালো ব্যবহার
২২ মার্চ ২০২১ ১৮:২২
ঢাকা: ব্যবসায়িক লেনদেন সংক্রান্ত আলোচনার জেরে দেওয়ান প্রোপার্টিজ লি. এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাকসুদ দেওয়ান ছিদ্দিককে ভয়ভীতি দেখানো মামলায় ৩ আসামিকে শাস্তি হিসেবে ভালো ব্যবহার করতে হবে, লাগাতে হবে গাছ।
সোমবার (২২ মার্চ) ব্যতিক্রম সাজা দেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম মাহমুদা আক্তার।
সাজাপ্রাপ্তরা হলেন দেওয়ান প্রোপার্টিজ লি. এর আরেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক জুয়েল হোসেন দেওয়ান, মানিক হোসেন দেওয়ান এবং মুজাহিদুল ইসলাম। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিতিত ছিলেন।
সংশ্লিষ্ট আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর আজাদ রহমান রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আসামিদের অপরাধের শাস্তির পরিবর্তে প্রবেশন অফিসারের তত্ত্বাবধানে ৬ মাসের সময়কালের জন্য নিম্নলিখিত সাজা দেন আদালত। তা হলো এ সময় আসামিরা কোনোরূপ অপরাধের সঙ্গে জড়িত হবেন না বা একই ধরনের অপরাধ আর করবেন না। পক্ষদ্বয় শান্তি বজায় রাখবেন ও ভালো ব্যবহার করবেন। তাদের মধ্যে বিদ্যমান বিরোধ আপস-মীমাংসার মাধ্যমে নিষ্পত্তি করবেন। আদালত এবং আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা তলব করলে যথাসময়ে উপস্থিত হবেন। প্রবেশনকালীন সময় আসামিরা পরিবেশের প্রতি দায়িত্বশীল হিসেবে ১০ টি গাছ ( ৫টি বনজ ও ৫ টি ফলজ) রোপণ করবেন। প্রবেশনের সময় আসামিরা এসব শর্ত ভঙ্গ করলে বা তাদের আচরণ সন্তোষজনক না হলে প্রবেশন আদেশ বাতিল হবে বলে বিচারক আদেশে উল্লেখ করেন। অপরাধের শাস্তি হিসেবে ৬ মাসের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, বাদী ও আসামিরা পরস্পর ঘনিষ্ট এবং ঘটনাটি ঘটেছিল তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে। পারিবারিক বিরোধের এক পর্যায়ে রাগকে নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে আসামিরা এমন কাজ করেছে মর্মে প্রতীয়মান হয়। যেহেতু মামলাটি আপসযোগ্য অপরাধ এবং দুই পক্ষ পরস্পর আত্মীয়। সাজা প্রদানের অন্যতম উদ্দেশ্যে সংশোধনমূলক, প্রতিহিংসামূলক নয়।
২০১৭ সালের দিকে ব্যবসায়িক লেনদেন সংক্রান্ত আলোচনার জেরে ভয়ভীতি দেখানো ও মোবাইল ভাঙার ঘটনায় দেওয়ান প্রোপার্টিজ লি. এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাকসুদ দেওয়ান ছিদ্দিক কাফরুল থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
সারাবাংলা/এআই/একে