নড়াইলে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে
২৩ মার্চ ২০২১ ১৮:৩৮
নড়াইল: সদর উপজেলার সীমাখালী গ্রামে পারিবারিক কলহের জেরে মোসা. মৌসুমী খাতুন (২৪) নামে এক অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামী খায়রুল মোল্লা ওরফে মানোর বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) সকালে পুলিশ গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে। নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইলিয়াস হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
নিহত মৌসুমী যশোর সদর উপজেলার উত্তর নলিতাদহ গ্রামের মোতালেব মিয়ার মেয়ে।
পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা জানান, নড়াইল সদর উপজেলার সীমাখালী গ্রামের শাহাদাত মোল্লার ছেলে খায়রুল মোল্লা ওরফে মানোর সঙ্গে যশোর সদর উপজেলার উত্তর নলিতাদহ গ্রামের মোতালেব মিয়ার মেয়ে মোসা. মৌসুমী খাতুনের বিয়ে হয় প্রায় ৮ বছর আগে। বিয়ের পর থেকেই বিভিন্ন কারণে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝসড়া কলহ লেগে ছিল। তাদের মারিয়া (৭) ও চাঁদনী (৮মাস) নামে দুটি মেয়ে রয়েছে।
মৌসুমী খাতুনের পিতা মোতালেব মিয়া বলেন, আমার গর্ভবতী মেয়ে মৌসুমী সোমবার রাত প্রায় ১১টার দিকে আমাকে মোবাইলে জানায়-আব্বা আমাকে বাঁচাও,আমি খুব বিপদে আছি। তখন আমি তাকে বিভিন্ন ধরনের কথা বলে সান্ত্বনা দেই। পরে মঙ্গলবার সকালে খবর পাই মেয়ে মারা গেছে। খবর পেয়ে দ্রুত এসে দেখতে পাই মেয়ের গলাসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন। কান দিয়ে রক্ত পড়ছে। স্থানীয় কয়েকজন আমাকে জানায় মানো সোমবার রাতে সীমাখালী ঘাটে জুয়া খেলছিল। মৌসুমী এসে মানোর জুয়া খেলার প্রতিবাদ করায় ঘটনাস্থলে সে আমার মেয়েকে মারপিট করে। পরবর্তীতে বাড়ি ফিরে ওই রাতে আমার মেয়েকে হত্যা করে গলায় রশি ঝুলিয়ে পালিয়ে যায়। আমি আমার মেয়ে হত্যাকারীর দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।
গৃহবধূর ফুফাতো ভাই জাহাঙ্গীর আলম জানান, খায়রুল মোল্লা ওরফে মানো নেশাগ্রস্ত ও জুয়াখেলায় আসক্ত ছিল। আমার বোন এসবের প্রতিবাদ করলে তাকে প্রায়ই মারপিট করত।
ওসি মো. ইলিয়াস হোসেন জানান, পুলিশ খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। ময়নতদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
সারাবাংলা/এসএসএ