ঢাকা: ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফারের (ইএফটি) মাধ্যমে দেওয়া বেতন এখনো সরকারি প্রাথমিকের অনেক শিক্ষকই পাচ্ছেন না। ফলে এই বেতন নিয়ে তৈরি হয়েছে জটিলতা। আর এই জটিলতা নিরসন করে বেতন-ভাতা কার্যক্রমের সার্বিক বাস্তবায়নে শিক্ষকদের তথ্য চেয়েছে সরকার।
মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) বিভাগীয় উপপরিচালক ও জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের আগামী ৩১ মার্চের মধ্যে তথ্য পাঠাতে নির্দেশ দেয় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর (ডিপিই)।
এই আদেশে বলা হয়, যেসব শিক্ষকের বেতন নির্দিষ্ট বিদ্যালয়ে না হয়ে বিদ্যালয়গুলো গ্রুপে তোলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট হিসাবরক্ষণ অফিসের সহায়তায় তাদের তথ্য সংশোধন করে নির্দিষ্ট বিদ্যালয়ভিত্তিক এন্ট্রি করতে হবে। এজন্য শিক্ষকদের কিছু তথ্য দিতে হবে।
এসব তথ্যের এর মধ্যে প্রথমে এমপ্লয়ি ডাটাবেজে এন্ট্রি করা তথ্য সংশোধনের অপেক্ষমাণ শিক্ষক তথ্য দ্রুত অনুমোদনের ব্যবস্থা করতে হবে। এরপর যেসব তথ্য আজ পর্যন্ত ডাটাবেজে এন্ট্রি হয়নি, তা সংশ্লিষ্ট উপজেলা বা থানা শিক্ষা অফিস দ্রুত এন্ট্রির ব্যবস্থা করবে।
সরকারের চাওয়া অন্যান্য তথ্যগুলো হলো— এন্ট্রি ও অনুমোদন সম্পন্ন হয়েছে কিন্তু ইএফটি ট্রান্সমিটের জন্য অপেক্ষমাণ রয়েছে, তাদের ইএফটি ট্রান্সমিটের ব্যবস্থা করতে হবে। যেসব বিদ্যালয়ের নাম আইবাস প্লাস প্লাস সফটওয়ারে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি, সেসব বিদ্যালয়ের নামের তালিকা গেজেট বা প্রজ্ঞাপন বা বিজ্ঞপ্তিসহ পাঠাতে হবে।
ডিপিই’র নির্দেশনায় আরও বলা হয়, এসব নির্দেশনা অব্যর্থভাবে আগামী ৩১ মার্চের মধ্যে সম্পন্ন এবং যেসব বিদ্যালয়ের নাম আইবাস প্লাস প্লাস সফটওয়ারে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি, সেসব বিদ্যালয়ের নামের তালিকা গেজেট বা প্রজ্ঞাপন বা বিজ্ঞপ্তিসহ জেলা শিক্ষা অফিসারের মাধ্যমে পাঠানো নিশ্চিত করতে হবে।
এদিকে, খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বর্তমানে ৪ লাখ ৪৪ হাজার ৩৬৫ জন শিক্ষক রয়েছেন। এর মধ্যে ৮১ হাজার ৯৪৬ জন শিক্ষক নির্দিষ্ট বিদ্যালয়ের বিপরীতে বেতন নির্ধারণ করা হয়নি। এটি সংশোধনের জন্য সংশ্লিষ্ট হিসাবরক্ষণ অফিসকে এরই মধ্যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বাকি ৩ লাখ ৬২ হাজার ৪১৯ জন শিক্ষকের মধ্যে আইবাসের এমপ্লয়ি ডাটাবেজে ৩ লাখ ৫৩ হাজার ৯৯৭ জন শিক্ষকের তথ্য এন্ট্রি হয়েছে। এদের মধ্যে আবার ৬৭ হাজার ৮৫৩ জন শিক্ষকের তথ্য অনুমোদনের জন্য অপেক্ষমাণ রয়েছে। বাকি ৮ হাজার ৪২২ জন শিক্ষকের তথ্য এখন পর্যন্ত ডাটাবেজে এন্ট্রি হয়নি। বাদ বাকি শিক্ষকদের তথ্য অনুমোদন হয়েছে।