ম্যাজিক ফিগার হারাতে পারেন মমতা, হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস
২৪ মার্চ ২০২১ ১২:৫৩
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হবে সাত ধাপে। প্রথমধাপের ভোটগ্রহণ হবে ২৭ মার্চ অর্থাৎ আর মাত্র দুইদিন পর। ভোটের ক্ষণ যত ঘনিয়ে আসছে, বাংলা দখলের লড়াইয়েও ক্রমশ দূরত্ব কমছে রাজ্যে ক্ষমতাসীন দল তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপির মধ্যে। নতুন সমীক্ষা বলছে, কোনো দলই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাচ্ছে না। তৃণমূল এককভাবে সব থেকে বেশি আসন পেলেও বিজেপির সঙ্গে ব্যবধান একেবারে কম। বাম-কংগ্রেস জোটের আসন সংখ্যা ২০-র নীচে নেমে যেতে পারে।
এবিপি আনন্দ-সিএনএক্সের এক সমীক্ষার বরাত দিয়ে হিন্দুস্থান টাইমস এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে বলেছে, যদিও সমীক্ষার ফল আদতে নাও মিলতে পারে। অতীতে তেমন হয়েছে।
গত ১২ মার্চ থেকে ২১ মার্চ পর্যন্ত রাজ্যের ৪২টি লোকসভা আসনে এবিপি আনন্দ-সিএনএক্স সমীক্ষা চালানো হয়। তাতে অংশগ্রহণ করেছিলেন ১১ হাজার ৯২০ জন।
সমীক্ষা অনুযায়ী, বাংলা বিধানসভা ভোটে ১৩০-১৪৬ আসন পেতে পারে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেস। যেখানে ম্যাজিক ফিগার ১৪৮। অর্থাৎ একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাচ্ছে ঘাসফুল শিবির। তৃণমূলের ভোটব্যাঙ্কেও থাবা পড়ছে। ২০১৬ সালে ৪৪.৯ শতাংশ ভোট পেয়েছিল তৃণমূল। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে তা কমে দাঁড়ায় ৪৩.৩ শতাংশে। এবার তা আরও কমে হতে পারে ৪০ শতাংশ।
সমীক্ষা বলছে, যত ভোট এগিয়ে আসছে, তত আসন বাড়ছে বিজেপির। নয়া সমীক্ষায় বিজেপিকে ১৩০-১৪০ টি আসন দেওয়া হয়েছে। ফলে লড়াইটা একেবারে হাড্ডাহাড্ডি হতে পারে বলে ইঙ্গিত মিলছে। ২০১৬ সালের তুলনায় বিজেপির ভোট অনেকটা বাড়লেও ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের নিরিখে তা কমে যাবে। ২০১৬ সালে ১০.২ শতাংশ ভোট পেয়েছিল বিজেপি। গত লোকসভা ভোটে তা বেড়ে হয়েছিল ৪০.৭ শতাংশ। এবার তা কমে ৩৮ শতাংশ হতে পারে।
এছাড়াও বাম, কংগ্রেস এবং ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের (আইএসএফ) সংযুক্ত মোর্চা ১৪-১৮ আসন জিততে পারে। গতবারের লোকসভা ভোটের তুলনায় চার শতাংশের মতো ভোট বেড়ে দাঁড়াতে পারে ১৬ শতাংশ। অন্যান্যদের দখলে যেতে পারে ছয়টি আসন।
সারাবাংলা/এএম