Friday 06 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

রাত ৮টার মধ্যে দোকানপাট বন্ধের আহ্বান তাপসের

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
২৪ মার্চ ২০২১ ১৭:০২

ঢাকা: করোনা সংক্রমণ বিবেচনায় রাত আটটার মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) আওতাধীন সকল ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও দোকানপাট বন্ধের আহবান জানিয়েছেন ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

বুধবার (২৪ মার্চ) দুপুরে সাপ্তাহিক নিয়মিত পরিদর্শন কার্যক্রমের অংশ হিসেবে নগরীর গোপীবাগে বাংলাদেশ বয়েজ ক্লাব মাঠ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস এ আহ্বান জানান।

ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, ‘আমি আপনাদের মাধ্যমে ঢাকাবাসীকে দুটো নিবেদন করব। যেহেতু করোনা মহামারীতে আবার সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে, সুতরাং, রাত আটটার মধ্যে অবশ্যই সকল দোকানপাট, সকল ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেবেন।’

তিনি বলেন, ‘আমরা গণবিজ্ঞপ্তি দিয়েছি। আমরা চাই, আটটার মধ্যে সব বন্ধ হলে সংক্রমণও কমে আসবে এবং আমরা ঢাকা শহরকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নসহ স্বাস্থ্যবিধি পরিপালনপূর্বক শহর হিসেবে গড়ে তুলতে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারব।’

খাল ও বক্স কালভার্টগুলোর সীমানা নির্ধারণ এবং সেগুলো থেকে বর্জ্য অপসারণ ও চ্যানেল পরিষ্কারকরণ কার্যক্রম পুরোদমে চলমান রয়েছে জানিয়ে ডিএসসিসি মেয়র শেখ তাপস বলেন, ‘মার্চ পর্যন্ত আমাদের প্রাথমিক কার্যক্রম নির্ধারিত ছিল। সেই কার্যক্রম চলছে। আমরা মনে করি, মার্চের শেষ নাগাদ ৭৫ ভাগ সফল হব। এরপরেও এই কার্যক্রম বর্ধিত করছি। আমরা এপ্রিল পর্যন্ত এ কার্যক্রম চালিয়ে যাব।’

পানি উন্নয়ন বোর্ডের স্লুইসগেটগুলো দ্রুত করপোরেশনের কাছে হস্তান্তরের দাবি জানিয়ে শেখ তাপস বলেন, ‘বেড়িবাঁধ সংলগ্ন যে ৫১টি স্লুইসগেট আছে সেগুলো যদি এখনই আমাদের কাছে হস্তান্তর করা না হয়, তাহলে পানি নিষ্কাশনের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হবে। আমাদের কাছে হস্তান্তর করলে আমরা সেগুলো মেরামত করব, রক্ষণাবেক্ষণ করব ও কার্যকর করব। আমরা প্রত্যেকটা স্লুইস গেটের দুই প্রান্তে বর্জ্য এবং পলি অপসারণ করে চলেছি যাতে করে পানি নিষ্কাশন প্রবাহটা ঠিক থাকে।’

এ সময় ওয়াসার মতো পানি উন্নয়ন বোর্ডের স্লুইসগেটগুলোও ডিএসসিসির কাছে হস্তান্তরের আশাবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি তাদের কাছে নিবেদন করব, যদি তারা হস্তান্তর না করে তাহলে অনতিবিলম্বে সেই ৫১টি স্লুইসগেট মেরামত এবং রক্ষণাবেক্ষণের কার্যক্রম এখনই নিতে হবে। যদি না নেয় তাহলে আমাদের পানি নিষ্কাশনের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হবে। আর প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হলে দেখা যাবে যে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হবে। সুতরাং আমাদের প্রস্তুতি আমরা নিয়ে চলেছি। আমরা আশাবাদী যে, সকল কার্যক্রম সমন্বিতভাবে করা গেলে আমরা ঢাকাবাসীকে সুফল দিতে পারব।’

এ সময় খাল-জলাশয়-নর্দমায় বর্জ্য না ফেলতে ঢাকাবাসীকে অনুরোধ জানিয়ে ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, ‘এই খালগুলো আমরা পরিষ্কার করছি, জলাশয়গুলো পরিষ্কার করছি, নর্দমাগুলো আমরা পরিষ্কার করছি। দয়া করে আপনারা খাল, নালা, নর্দমা, জলাশয়ে বর্জ্য ফেলবেন না।’

এর আগে, ডিএসসিসি মেয়র সায়েদাবাদে অবস্থিত ডিএসসিসির কেন্দ্রীয় মোটর গ্যারেজ, সিটি কর্পোরেশন কারখানা, ধলপুর সিটি পল্লী বস্তি পরিদর্শন করেন।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর মোঃ বদরুল আমিন প্রধান প্রকৌশলী রেজাউর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামান, সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডগুলোর সাধারণ আসন ও সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলরবৃন্দ, অঞ্চল-৫ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিনুর আলম, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হক, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. জাফর আহমেদ, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আনিসুর রহমান ও মো. খায়রুল বাকের প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সারাবাংলা/এসএইচ/একে

করোনা টপ নিউজ নভেল করোনাভাইরাস


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

৯০০তম গোলে ইতিহাস গড়লেন রোনালদো
৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৯:০৪

সম্পর্কিত খবর