Sunday 08 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

দেশে ভ্যাকসিন নিয়েছেন অর্ধকোটি মানুষ


২৫ মার্চ ২০২১ ০৩:৫৯

ঢাকা: নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ মোকাবিলায় দেশে জাতীয়ভাবে ভ্যাকসিন প্রয়োগের ৩৮তম দিনে ৭৮ হাজার ৮১৭ জন ভ্যাকসিন নিয়েছেন। এর মধ্যে রাজধানীতে ভ্যাকসিন নিয়েছেন ৯ হাজার ৪৬২জন। এ নিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত ৩৮ দিনে মোট ভ্যাকসিন নিলেন ৫০ লাখ ৬৯ হাজার ৪৯ জন। এর মধ্যে কেবল রাজধানী ঢাকায় ভ্যাকসিন নিয়েছেন ৮ লাখ ১ হাজার ৬৭৪ জন। আর ভ্যাকসিন নিতে আগ্রহীদের নিবন্ধন সংখ্যা পেরিয়ে গেছে ৬৪ লাখ।

বুধবার (২৪ মার্চ) স্বাস্থ্য অধিদফতরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম (এমআইএস) বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মিজানুর রহমানের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বুধবার বিকেল ৫টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত ভ্যাকসিন গ্রহণের জন্য সারাদেশে নিবন্ধিত ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৪ লাখ ৬৭ হাজার ৭৮৯ জনে।

বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, জাতীয় পর্যায়ে ভ্যাকসিন প্রয়োগের ৩৮তম দিন, অর্থাৎ ২৪ মার্চের তথ্য বলছে, এদিন রাজধানী ঢাকায় ৫ হাজার ৮৮৭ জন পুরুষ ও ৩ হাজার ৫৭৫ জন নারী ভ্যাকসিন নিয়েছেন। সব মিলিয়ে এদিন ঢাকায় ভ্যাকসিন নিয়েছেন ৯ হাজার ৪৬২ জন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত ৩৮ দিনে ঢাকায় যারা ভ্যাকসিন নিয়েছেন তাদের মধ্যে পুরুষ ৫ লাখ ১৫ হাজার ২০৪ জন, নারী ২ লাখ ৮৬ হাজার ৪৭০ জন।

এদিন রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে ৪৪ হাজার ২৬৬ জন পুরুষ ও ৩৪ হাজার ৫৫১ জন নারী ভ্যাকসিন নিয়েছেন। সব মিলিয়ে এদিন সারাদেশে ভ্যাকসিন নিয়েছেন ৭৮ হাজার ৮১৭ জন।

এই সংখ্যাসহ ২৭ জানুয়ারি থেকে ২৩ মার্চ পর্যন্ত দেশে মোট ৩১ লাখ ৬৮ হাজার ৯৯৪ জন পুরুষ ও ১৯ লাখ ৫৫ জন নারী ভ্যাকসিন নিয়েছেন। সব মিলিয়ে দেশে ভ্যাকসিন কার্যক্রম শুরু হওয়ার পরে ৩৮ কর্মদিবসে ভ্যাকসিনগ্রহীতার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫০ লাখ ৬৯ হাজার ৪৯ জনে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়েছে, ভ্যাকসিন প্রয়োগ পরবর্তী সময়ে কয়েকজনের হালকা জ্বর, গায়ে ব্যথার মতো কিছু লক্ষণ দেখা গেলেও এখন পর্যন্ত সবাই সুস্থ আছেন।

এর আগে, গত ২৭ জানুয়ারি দেশে প্রথম করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে এই ভ্যাকসিন প্রয়োগ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। ওই দিন মোট ২৬ জনকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়।
পরদিন ২৮ জানুয়ারি রাজধানীর পাঁচটি হাসপাতালে ভ্যাকসিন দেওয়া হয় ৫৪১ জনকে। এই ৫৬৭ জনকে ১০ দিন পর্যবেক্ষণের পর ৭ ফেব্রুয়ারি দেশব্যাপী ভ্যাকসিন প্রয়োগ কর্মসূচি শুরু হয়। ওই দিন ৩১ হাজার ১৬০ জন ভ্যাকসিন নেন।

স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্য অধিদফতর বলছে, সরকার ভারতের কাছ থেকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রেজেনেকার ‘কোভিশিল্ড’ ব্র্যান্ডের ৩ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন কিনেছে ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটের কাছ থেকে। ভারত একই ব্র্যান্ডের আরও ২০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন উপহার দিয়েছে বাংলাদেশকে। এর বাইরে জাতিসংঘের ভ্যাকসিন জোট কোভ্যাক্স থেকে ১ কোটি ৯ লাখ ডোজ ভ্যাকসিনের নিশ্চয়তা পেয়েছে বাংলাদেশ। জনসাধারণকে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দিতে সরকার আরও ভ্যাকসিন কেনার জন্যও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

ভ্যাকসিন গ্রহণের জন্য ‘সুরক্ষা’ ওয়েবসাইট ভিজিট করে নিবন্ধন করতে হবে আগ্রহীদের। জাতীয় পরিচয়পত্র ও একটি মোবাইল নম্বর থাকলেই ‘সুরক্ষা’ প্ল্যাটফর্মে নিবন্ধন করা যাবে। নিবন্ধনের পর ভ্যাকসিন কার্ড ডাউনলোড করে প্রিন্ট করে রাখতে হবে। পরে নির্ধারিত মোবাইল নম্বরে এসএমএস করে ভ্যাকসিন নেওয়ার তারিখ জানানো হবে। ওই তারিখে ভ্যাকসিন কার্ড নিয়ে নির্ধারিত কেন্দ্রে গেলেই দেওয়া হবে ভ্যাকসিন। একইসঙ্গে দ্বিতীয় ডোজের তারিখও জানিয়ে দেওয়া হবে।


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর