মমতার বিদায় ২ মে: মোদি
২৫ মার্চ ২০২১ ১০:৪১
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, এবার মমতার খেলা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। তার খেলা ছোট্ট শিশুরাও বুঝে ফেলেছে। দিদির সময় শেষ হয়ে এসেছে। ২ মে বিদায় নিতে হবে। তার জন্য দরজা খুলে রাখা হয়েছে। খবর পিটিআই।
বুধবার (২৪ মার্চ) পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথিতে নির্বাচনি জনসভায় অংশ নিয়ে মোদি এসব কথা বলেন।
এদিকে, নির্বাচনি প্রচারণায় ভারতীয় জনতা পার্টিকে (বিজেপি) বহিরাগত তকমা দিয়েই যাচ্ছেন মমতা। এর তীব্র সমালোচনা করে মোদি বলেন, দিদি এখন দিকভ্রান্ত হয়ে বহিরাগত প্রশ্ন তুলে নির্বাচনের ময়দান গরম করতে চাইছেন। দিদিকে বলতে চাই, এখানে সবাই ভারতবাসী। ভারতের নাগরিক। ভারত সন্তান। কেউ বহিরাগত নয়।
পশ্চিমবঙ্গে দুই মেয়াদে তৃণমূল শাসনের সমালোচনা করে মোদি বলেন, তৃণমূলের পাপের ঘড়া ভরে গেছে। এবার শেষ হয়ে যাচ্ছে দিদির খেলা। শেষ হয়ে যাচ্ছে দিদির তোলাবাজি, চাঁদাবাজি, সিন্ডিকেট রাজনীতির খেলা। এবার শুরু হবে উন্নয়ন। দিদির কুশাসনের বিরুদ্ধে বিজেপির হাত ধরে বাংলায় শান্তি ফিরিয়ে আনার কাজ।
মমতার সমালোচনা করে মোদি বলেন, এত দিন তিনি মানুষের কাছে যেতে পারেননি। এটা বুঝতে পেরে দুয়ারে সরকার প্রকল্প চালু করে মানুষের দুয়ারে দুয়ারে যাচ্ছেন। কিন্তু তাতেও কাজ হবে না। দিদির সময় শেষ। এই রাজ্যে ক্ষমতায় আসছে বিজেপি।
রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ সামনে এনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, আম্পানের কোটি কোটি টাকা কোথায় গেল? সেটা চলে গেছে ভাইপোর কোম্পানিতে। ক্ষমতায় এসে তা খুঁজে বের করবে বিজেপির নতুন সরকার। তাইতো এবার বাংলা থেকে দিদি যাচ্ছেন, আসল পরিবর্তন আসছে।
মোদি বলেন, ১০ বছরে এই রাজ্যে একটিও শিল্প কারখানা গড়ে ওঠেনি। কর্মসংস্থান হয়নি। বেকারত্ব বেড়েছে। তাই রাজ্যব্যাপী আওয়াজ উঠেছে, এবার বাংলায় দরকার বিজেপি সরকার।
যেই নন্দীগ্রাম আপনাকে ক্ষমতায় বসিয়েছিল, সেই নন্দীগ্রামকে আপনি বারবার অপমান করছেন। একটার পর একটা মিথ্যে বলছেন। ভারতবর্ষকে অপমান করছেন। এবার নন্দীগ্রামের মানুষ সেই অপমানের জবাব দেবে, বলেন মোদি।
‘খেলা হবে’ স্লোগানকে কটাক্ষ করে এই সময় মোদি আরও বলেন, ‘আপনি খেলা খেলেন। আমরা খেলা করব না। আমরা সেবা করব। আমাদের একটাই মন্ত্র, গরিবের উন্নয়ন, গরিবের বাড়ি, গরিবের সম্মান। তাইতো বলি দিদি, বাংলার মানুষ আপনার খেলা বুঝে গেছে। আর নয়। এবার বিজেপি।’
অন্যদিকে, এবারের পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে সবচেয়ে আলোচিত আসন পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রাম। এই আসনে মমতা নিজেই লড়ছেন। প্রতিপক্ষ বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী। একসময় শুভেন্দু মুখ্যমন্ত্রী মমতার সার্বক্ষণিক সঙ্গী ছিলেন। সম্প্রতি তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, এক দশক আগে নন্দীগ্রাম আন্দোলন মমতাকে জননেত্রী থেকে মুখ্যমন্ত্রী বানাতে ভূমিকা রেখেছিল। তিন দশকের বাম শাসনের অবসান ঘটিয়ে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন তিনি। এবার পরিস্থিতি বদলেছে। তাই নন্দীগ্রামে মমতা-শুভেন্দুর লড়াই দেখতে মুখিয়ে আছেন সবাই। আলোচিত এ আসনে মমতার বিরুদ্ধে শুভেন্দুকে এগিয়ে রাখতেই নির্বাচনি জনসভার জন্য পূর্ব মেদিনীপুরকে বেছে নিয়েছেন মোদি।
সারাবাংলা/একেএম