Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

পরিত্যক্ত ভবনে পাওয়া ব্যাগে ৭-৮টি ককটেল ছিল: পুলিশ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
২৬ মার্চ ২০২১ ১৩:২৯

চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম নগরীর চান্দগাঁওয়ে পরিত্যক্ত ভবনে পাওয়া বিস্ফোরকভর্তি ব্যাগটি ধ্বংস করেছে সিএমপির বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট। এতে কমপক্ষে ৮টি দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ককটেল ছিল বলে ধারণা করছে পুলিশ। মশাল তৈরি ও বিস্ফোরক মজুতের ঘটনায় দুটি মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া শুরু করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (২৬ মার্চ) সকাল ১০টার দিকে সিএমপির বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটের একটি চৌকস টিম মুখবন্ধ থাকা ব্যাগটির বিস্ফোরণ ঘটায়। ব্যাগের ভেতর বিস্ফোরক মজুতের ধারণা থেকে বৃহস্পতিবার রাতে ভবনটি ঘিরে রেখেছিল পুলিশ।

বিজ্ঞাপন

এর আগে বৃহস্পতিবার (২৫ মার্চ) সন্ধ্যা সাতটার দিকে নগরীর চান্দগাঁও থানার ‘কালুরঘাট বেতারকেন্দ্রের সামনে’ একটি নির্মাণাধীন ১২ তলা ভবনের তৃতীয় তলায় অভিযান চালায় পুলিশ। নাশকতার জন্য মশাল তৈরি ও বিস্ফোরক মজুতের খবর পেয়ে সেখানে অভিযান চালানো হয়। সেখান থেকে মো. রাব্বি নামে একজনকে আটক করে পুলিশ, যাতে মশাল তৈরির জন্য মজুরির বিনিময়ে ‘দুষ্কৃতকারীরা’ এনেছিলেন বলে পুলিশের ভাষ্য।

সেখানে ১৪৫টি মশাল এবং একটি ব্যাগ পাওয়া যায়, যেটির মুখ বাঁধা ছিল। ব্যাগ থেকে পুলিশের ধারণা হয়েছিল, সেখানে ককটেল আছে।

খবর পেয়ে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট, বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটের সদস্যরা ঘটনাস্থলে যান। তবে রাত হয়ে যাওয়ায় তারা সন্ধিগ্ধ ব্যাগটি ধ্বংস না করে ওই স্থান ঘিরে রাখেন।

সিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের উপ-পরিদর্শক (এসআই) সঞ্জয় গুহ সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের ধারণা ছিল ব্যাগের ভেতরে ককটেল সদৃশ বিস্ফোরক আছে। এজন্য আমরা সন্ধিগ্ধ ব্যাগটি নাড়াচাড়া না করে কৌশলে ধ্বংস করেছি। ধ্বংসাবশেষ দেখে আমাদের ধারণা এতে ৭ থেকে ৮টি ককটেল ছিল। সেগুলো দেশীয় প্রযুক্তিতে হাতে তৈরি ককটেল ছিল। পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য আমরা আলামত থানায় হস্তান্তর করেছি। এছাড়া যে এলাকা আমরা ঘিরে রেখেছিলাম সেটিকে নিরাপদ ঘোষণা করা হয়েছে।’

বিজ্ঞাপন

চান্দগাঁও থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রাজেশ বড়ুয়া জানিয়েছিলেন, অভিযান ‍শুরুর পর অন্তঃত ৪-৫ জনকে তারা তিনতলা থেকে লাফ দিয়ে পালাতে দেখেন। আরও কমপক্ষে ২০ জন ভবনের বিভিন্নদিক দিয়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। তারা বিএনপির কর্মী বলে তিনি শুনেছেন।

নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (উত্তর) বিজয় কুমার বসাক জানিয়েছিলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশ সফর এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর উৎসবকে ঘিরে আতঙ্কজনক পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য মশাল এবং হাতবোমা তৈরি করা হচ্ছিল কি না তারা খতিয়ে দেখছেন।

পুলিশ পরিদর্শক রাজেশ বড়ুয়া বলেন, ঘটনাস্থল থেকে আমরা ১৪৫টি মশাল উদ্ধার করেছি। বোম্ব ডিসপোজাল কমপক্ষে ৮টি ককটেলের আলামত হস্তান্তর করেছে। বিশেষ ক্ষমতা আইন ও বিস্ফোরক আইনে পৃথক দু’টি মামলা দায়ের করা হচ্ছে। এসব মামলায় রাব্বিকে গ্রেফতার দেখানো হবে।’

আরও পড়ুন: বিস্ফোরক মজুত সন্দেহে ভবন ঘিরে রেখেছে পুলিশ, মশাল উদ্ধার 

সারাবাংলা/আরডি/এসএসএ

৭-৮টি ককটেল চট্টগ্রাম নগরী

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর