Thursday 21 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘স্বাধীনতা বিরোধীরা স্বাধীন বাংলাদেশকে মেনে নিতে পারেনি’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
২৭ মার্চ ২০২১ ১৪:৩৮

ঢাকা: স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা বলেছেন, কুচক্রী স্বাধীনতা বিরোধীমহল স্বাধীন বাংলাদেশকে কখনো মেনে নিতে পারেনি। সুদীর্ঘ ২৭ বছর তারা সুচিন্তিত উপায়ে স্বাধীনতার ইতিহাস এবং স্বাধীনতার ঘোষক নিয়ে বিকৃত অপপ্রচার চালিয়েছে।

শুক্রবার (২৬ মার্চ) স্বাস্থ্য অধিদফতরে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা। তিনি বর্তমানে স্বাস্থ্য অধিদফতরের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

বিজ্ঞাপন

অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর কণ্ঠে স্বাধীনতার ঘোষণা উচ্চারনের আজ ৫০ বছর পূর্তি। এই মাহেন্দ্রক্ষণে নিপীড়িত শোষিত মানুষের মুক্তির জন্য প্রকৃত ইতিহাস স্মরণে রেখে আমাদের দেশ গঠনের কাজ করে যেতে হবে। তিনি স্বাধীনতার আনুষ্ঠানিক ঘোষণার আংশিক ইতিহাস সভায় পাঠ করে শোনান যেখানে সেই সময়ের আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণার কথা প্রচারিত হয়েছিল এবং পাকিস্তানি সামরিক জান্তারাও যা স্বীকার করেছিল।

এ দিন সকাল ১০টায় বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা দিবস, জাতীয় দিবস ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে স্বাস্থ্য অধিদফতরের সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দের উপস্থিতিতে প্রতিষ্ঠানটির পুরাতন ভবনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এর পরে নতুন ভবনে একটি আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন লাইন ডিরেক্টর ডা. আজিজুর রহমান সিদ্দিকী। অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার লাইন ডিরেক্টর ও মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত মহাপরিচালকসহ পরিচালক ও লাইন ডিরেক্টররা।

বিজ্ঞাপন

বক্তারা তাদের বক্তব্যে বলেন, শোষণমুক্ত, দারিদ্র মুক্ত বাংলাদেশ গড়তে বঙ্গবন্ধু আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন। জাতির জনকের সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাঙ্গালী জাতি আজ মাথা উঁচু করে বাঁচতে শিখেছে। কিভাবে আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারি জাতির জনকের কন্যা সেই পথ আমাদের দেখাচ্ছেন। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের একটি অংশ হচ্ছে স্বাস্থ্য খাতের উন্নতি, স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার উন্নতি। শুধু ভৌগলিক স্বাধীনতা নয়, আমাদের চাই অর্থনৈতিক মুক্তি, চাই নৈতিকতা সমৃদ্ধ মানবিক মানুষ। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের এই শুভক্ষণে বক্তারা সকলেই মানুষের কল্যাণে নিবেদিতভাবে কাজ করে যাওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।

সভা শেষে সকল শহীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সভার সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।

সারাবাংলা/এসবি/একে

বাংলাদেম স্বাধীনতাবিরোধী স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর