।।বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক।।
ঢাকা : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) তিন শিক্ষার্থীকে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ান (র্যাব-৩) সদস্যরা মারধর করেন। তাদের উঠিয়ে নিয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা। পরে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ-ভাংচুর করেছেন তাদের সহপাঠীরা।
বৃহস্পতিবার (২২ মার্চ) রাত ১০ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের উপাচার্য ভবনের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে সেখান থেকে ওই শিক্ষার্থীদের উঠিয়ে নিয়ে যায় বলে দাবি করে ছাত্ররা। ভুক্তভোগী ছাত্ররা হলেন, ভাষাবিজ্ঞান বিভাগের ৩য় বর্ষের ছাত্র গাজী তানভীর, ইংরেজী বিভাগের ৪র্থ বর্ষের ছাত্র মুসলিম উদ্দিন হিমেল ও মোহাম্মদপুর কেন্দ্রীয় কলেজের এইচএসসির ২য় বর্ষের ছাত্র ইমরান হোসেন।
প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন ঢাবি ছাত্র জানান, ‘ একটি হাই-এস মডেলের গাড়ি মোটর সাইকেলকে ধাক্কা মেরে ছেড়ে গেলে মোটর সাইকেলে থাকা তিন ছাত্র হাই-এস মডেলের গাড়িটিকে আটকায়। ওই তিন ছাত্র গাড়ির চালককে বের হয়ে আসতে বলে। কিন্তু চালক না বেরিয়ে আসলে তারা গাড়ির লুকিং গ্লাস ভাঙচুর করে। পরে গাড়িতে ১০-১২ পোশাক পরিহিত সদস্য বের হয়ে তাদেরকে বন্দুক ঠেকিয়ে বেদম মারধর করে। মোটর সাইকেলের হেলমেট দিয়ে র্যাব সদস্যরা ছাত্রদের আহত করে।’
সরেজমিনে ঘটনাস্থলে একটি সাদা রঙের অ্যাপাচি মোটর-বাইক ( নং ২৮৯৫১৭) ও ছোপ ছোপ রক্ত পড়ে থাকতে দেখা যায়।
পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিমের কয়েকজন সদস্য ঘটনাস্থলে যান।
এসময় শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করতে শুরু করেন। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের পথের বিভিন্ন গাড়ি আটকাতে থাকেন। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করেন।
দোয়েল চত্বর হয়ে টিএসসি মুখে র্যাবের একটি গাড়ি ঢুকতে দেখে ধাওয়া করেন তারা।
পরে ঢাবি প্রক্টর এবং ছাত্রলীগের নেতারা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
এ বিষয়ে প্রক্টর জানান, ওই তিন ছাত্রকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। তারা এখন হলে আছে।
মারধরের শিকার ইমরান হোসেন বলেন, র্যাব আমাদের মারধর করে এবং তুলে নিয়ে চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দিলে জঙ্গি বলে চালান করে দেওয়ার হুমকি দেয়।
তবে ঢাবির এ ঘটনা নিয়ে ভিন্ন বক্তব্য এসেছে র্যাবের মুখপাত্র মুফতি মাহমুদ খানের কাছ থেকে। তিনি জানান, ঘটনাটি ঘটেছে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন কাঁটাবন এলাকায়।
সেখানে তিন তরুণ যানজটে পড়লে পাশে দাঁড়িয়ে থাকা র্যাবের একটি স্টিকারবিহীন গাড়ির গ্লাস ভেঙ্গে দেয়। কেন গ্লাস ভাঙ্গা হলো? জানতে চাইলে তারা বলেন, এটা যে র্যাবের গাড়ি তা আমরা জানতাম না। গ্লাস মেরামত করে দেওয়া হবে।
মুফতি মাহমুদ বলেন, বিষয়টি নিয়ে ওই তিন ছাত্রের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। তাদের আটক বা গ্রেফতার করা হয়নি।
সারাবাংলা/টিএম