হত্যাকাণ্ডের ৪২ বছর পর জানা গেল খুনি কে
২৭ মার্চ ২০২১ ২০:০৮
যুক্তরাষ্ট্রে হত্যাকাণ্ডের ৪২ বছর পর ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে শনাক্ত হলেন খুনি। ইতোমধ্যে অভিযুক্ত জেমস হেরম্যান ডাই’কে (৬৪) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ১৯৭৯ সালের নভেম্বরে দেশটির কলোরাডো রাজ্যে ইভলিন কে ডে নামের এক নারীকে হত্যা করেন তিনি। খবর সিএনএন।
ইভলিন হত্যার আগে তাকে শারীরিক ও যৌন নির্যাতন করা হয়। তার গ্রেফতারি পরোয়ানায় এসব তথ্য উল্লেখ করা হয়।
শুক্রবার (২৬ মার্চ) দেশটির ওয়েলড কাউন্টি রাজ্যের জেলা অ্যাটর্নি অফিস এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, জেমস হেরম্যান ডাই ক্যানসাস রাজ্যের উইচি শহরের বাসিন্দা। তিনি বর্তমানে সেডগউইক কাউন্টি কারাগারে বন্দি রয়েছেন। সেখান থেকে তাকে ওয়েল্ড কাউন্টিতে প্রেরণ করার বিষয়টি মুলতুবি রয়েছে।
এ বিষয়ে জেমস হেরম্যান ডাই’র কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে আদালতকে দেওয়া তার লিখিত জবানবন্দি থেকে জানা গেছে, এ বছরের ২২ মার্চ গোয়েন্দাদের কাছে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ডাই। তিনি বলেন, নিহত নারীকে চিনেন না এবং এই হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে তিনি আগে শুনেননি।
মামলার হলফনামায় আরও বলা হয়, এই হত্যাকাণ্ডের সময় ডাই’য়ের বয়স ২৯ বছর ছিল। গ্রিলির আইমস কমিউনিটি কলেজে বিজনেস ল্যাবের মনিটর হিসেবে কর্মরত ছিলেন। আর নিহত ইভলিন সে সময় ওই কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন। তাকে ৭৯ সালের ২৬ নভেম্বর শেষবার রাত ১০ গাড়ি পার্কিংয়ের স্থানে দেখিছিলেন অন্য এক শিক্ষার্থী।
পরের দিন সকালে যখন বুঝতে পারল যে, ইভলিন ওই দিন বাড়ি ফিরেনি, তখন তার স্বামী স্ট্যানলে চার্লস ডে পুলিশের কাছে নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ দায়ের করেন। এরপর ২৭ নভেম্বর বিকাল সাড়ে ৫টায় সহকর্মীরা ইভালিনের গাড়িটি খুঁজে পান এবং গাড়ির পেছনে তার মরদেহ দেখতে পান। মামলার হলফনামায় বলা হয়, ইভালিনের গায়ের ওভারকোর্টের বেল্ট দিয়ে তার শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়।
আরও বলা হয়, গত বছর ডিএনএ নমুনা পরীক্ষার মাধ্যমে মামলাটির তদন্ত করার জন্য কলোরাডো ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন’কে বলা হয়। এরপর তাদের ডিএনএ পরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠানো হয়। পরীক্ষায় ধর্ষণের আলামতের সঙ্গে অভিযুক্ত ডাই’এ ডিএনএ’র মিলে যায়। ডাই’এর কোর্টের হাতা থেকে এবং হাতের নখ থেকে ডিএনএ সংগ্রহ করা হয়েছিল।
সারাবাংলা/এনএস
৪২ বছর পর খুনি গ্রেফতার ইভলিন কে ডে জেমস হেরম্যান ডাই হত্যাকাণ্ড