ভ্যাকসিন গ্রহীতারা কম ঝুঁকিতে থাকলেও অন্যের বিপদের কারণ
২৭ মার্চ ২০২১ ২৩:০২
ঢাকা: রাজধানীর একটি কোভিড-১৯ ডেডিকেটেড হাসপাতাল। সেখানেই কাজ করেন নার্স শারমিন আক্তার (ছদ্মনাম)। দেশে জাতীয় পর্যায়ে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন প্রয়োগের শুরুর দিকেই ভ্যাকসিন নেন তিনি। তার স্বামীও ভ্যাকসিন নেন কয়েকদিন পরই। এর কিছুদিন পরই কোভিড পজিটিভ আসেন তার স্বামী। উপসর্গ না থাকলেও নমুনা পরীক্ষায় শারমিন নিজেও কোভিড পজিটিভ আসেন।
রাজধানীর উত্তরার একটি বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক আদীব খান (ছদ্মনাম)। ভ্যাকসিন নিয়ে হাসপাতালে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছিলেন। পরিবারের আরেকজন সদস্যের মাঝে কোভিড-১৯ উপসর্গ দেখা দিলে তার নমুনা পরীক্ষা করানো হয়। তার শরীরে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শনাক্ত হয়। উপসর্গ না থাকলেও দুই দিন পর নমুনা পরীক্ষা করেন আদীব। তার শরীরেও কোভিড-১৯ সংক্রমণ শনাক্ত হয়।
একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা রাজীব ইসলাম (ছদ্মনাম)। ভ্যাকসিন নেন ১৩ ফেব্রুয়ারি। ১৮ ফেব্রুয়ারি অফিসের অন্যদের সঙ্গে কক্সবাজারে পিকনিকে যান। সেখান থেকে ফিরে আসেন ২২ ফেব্রুয়ারি। বাসায় তার স্ত্রী সোমা ইসলাম (ছদ্মনাম) পিকনিকে যাননি, বাসাতেই ছিলেন। ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে সোমার গলা ব্যাথা শুরু হয়, ২৫ ফেব্রুয়ারি জ্বর আসে। চিকিৎসকের পরামর্শে নমুনা পরীক্ষা করানো হয়। ২৭ ফেব্রুয়ারি নমুনা পরীক্ষার ফলে দেখা যায়, সোমা কোভিড পজিটিভ স্ত্রী পজিটিভ আসায় নিজেও নমুনা পরীক্ষা করান রাজীব, তিনিও পজিটিভ আসেন।
রাজীব ইসলাম সারাবাংলাকে বলেন, আমি অফিসের সবার সঙ্গে পিকনিকে গিয়েও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণের বিষয়ে সচেতন থাকার চেষ্টা করেছি। পুরোটা সময়ই সন্তানকে নিয়ে স্ত্রী বাসায় ছিল, বাসায় কেউ আসেওনি। কিন্তু আমি কক্সবাজার থেকে ফিরে আসার দুই থেকে তিন দিন পরই সোমা অসুস্থ হয়ে পড়ে। সে করোনা পজিটিভ আসার পর উপসর্গ না থাকলে আমারও করোনা পরীক্ষা করাই। আমি নিজেও পজিটিভ এসেছি।
এমন একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে কথা হয় সারাবাংলার এই প্রতিবেদকের, ভ্যাকসিন নিয়েও যাদের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে পরিবারের সদস্যদের কেউ করোনা পজিটিভ হওয়ার পর নিজেরা কোভিড পজিটিভ হয়েছেন। তবে তাদের অনেকের মধ্যেই করোনার কোনো ধরনের উপসর্গ দেখাই দেয়নি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভ্যাকসিন নিলেই যে কেউ সম্পূর্ণ নিরাপদ হিসেবে বিবেচিত হবেন, বিষয়টি তেমন নয়। কারণ ভ্যাকসিন গ্রহীতারাও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ না করলে নিজের অজান্তেই করোনায় আক্রান্ত হতে পারেন। সেক্ষেত্রে ভ্যাকসিনের কারণে তার শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়ে গেলে তার মধ্যে উপসর্গ নাও দেখা দিতে পারে কিংবা উপসর্গ দেখা দিলেও তার শরীরে প্রভাব পড়বে কম। কিন্তু তার কাছ থেকে অন্য কারও শরীরে এই উপসর্গ ছড়িয়ে পড়তেই পারেন। সেক্ষেত্রে নিজে তুলনামূলকভাবে কম ঝুঁকিতে থাকলেও করোনার বাহক বা স্প্রেডার হিসেবে তিনি অন্যদের জন্য যথেষ্ট ঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়াবেন।
বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরু হওয়ার পর গত ৭ ফেব্রুয়ারি দেশে জাতীয় পর্যায়ে এই ভ্যাকসিনের প্রয়োগ শুরু হয়। তবে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ভ্যাকসিন নেওয়ার পরে গ্রহীতার শরীরে কোভিড-১৯ সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। ভ্যাকসিন নেওয়ার পরও করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। বিভিন্ন ঘটনা বিবেচনায় নিয়ে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভ্যাকসিন গ্রহীতাদের কেউ কেউ নিজে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত না হলেও তাদের মাধ্যমে অন্যদের শরীরে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার মতো ঘটনা রয়েছে।
যুক্তরাজ্যের শেফিল্ড ইউনিভার্সিটির সিনিয়র রিসার্চ অ্যাসোসিয়েট ড. খোন্দকার মেহেদী আকরাম সারাবাংলাকে বলেন, গবেষণায় দেখা গেছে— অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের একটি ডোজ সাব-ক্লিনিক্যাল ইনফেকশন কমাতে পারে প্রায় ৬৫ শতাংশ। সুতরাং এক্ষেত্রে ভ্যাকসিন গ্রহীতার মাধ্যমে সংক্রমণ ছড়ানোর হার ভ্যাকসিন না নেওয়া মানুষের মাধ্যমে সংক্রমণ ছড়ানোর হারের তুলনায় কম। ভ্যাকসিন সংক্রমণ কমাতে পারে, শতভাগ না হলেও আংশিক। কিন্তু কম হলেও ভ্যাকসিন গ্রহীতার মাধ্যমে সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে ভ্যাকসিন নিলেও মাস্ক পরতে হবে, অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধিও মানতে হবে।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও সিনিয়র পলিসি বিশ্লেষক ডা. শাহরিয়ার মোহাম্মদ রোজেন সারাবাংলাকে বলেন, সম্প্রতি বিশ্বের বিভিন্ন স্বাস্থ্য সংস্থার দাবি অনুযায়ী, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন নিরাপদ ও কার্যকর। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও ভ্যাকসিনটির কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার তাগিদ দিয়েছে। কারণ মহামারি থেকে মুক্ত হতে হলে আসলে এর কোনো বিকল্প নেই। বাংলাদেশ সরকারও এই ভ্যাকসিন ব্যবহার করছে। তবে এই ভ্যাকসিন ব্যবহার করে যদি কেউ নিজেকে শতভাগ সুরক্ষিত ভেবে থাকেন, সেটি ভুল হবে। আর এজন্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা জরুরি। বিশেষ করে মাস্ক পরার বিষয়টা তো খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
ডা. শাহরিয়ার রোজেন বলেন, সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিনের তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষা শেষে একটি ফলপ্রকাশ করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ভ্যাকসিন কোভিড-১৯ উপসর্গ প্রতিরোধে ৭৯ শতাংশ কার্যকর। এটি মানুষের মাঝে গুরুতর সংক্রমণ থেকে অসুস্থতা ও হাসপাতালে ভর্তির হার কমাবে। অর্থাৎ কম মানুষকে হাসপাতালে যেতে হবে। একইসঙ্গে এই ভ্যাকসিন প্রাপ্তবয়স্ক ৮০ শতাংশ মানুষের শরীরে করোনা প্রতিরোধে কার্যকর।
ডা. রোজেন আরও বলেন, এ কথাও আমাদের মনে রাখতে হবে— প্রথম ডোজ দেওয়ার পর ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা শুরু হতে কিন্তু তিন সপ্তাহ সময় লাগে। অসতর্ক হলে এ সময় যে কেউ করোনায় আক্রান্ত হতে পারেন। আর এই সময়ে যদি তিনি স্বাস্থ্যবিধি না মানেন, তবে নিজের অজান্তেই করোনাভাইরাসের বাহক হয়ে উঠতে পারেন। তাই মাস্ক পরা এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণের কোনো বিকল্প নেই।
জানতে চাইলে দেশে করোনাভাইরাসের নমুনার জিনোম সিকোয়েন্স নিয়ে কাজ করা গবেষক সৈয়দ মুক্তাদির আল সিয়াম সারাবাংলাকে বলেন, দেশে এবারের সংক্রমণ হচ্ছে এমন দুইটি ভ্যারিয়েন্ট দ্বারা, যেগুলা অতিমাত্রায় সংক্রমণশীল। দু’টি ভ্যারিয়েন্টের একটিতে এমন মিউটেশন আছে, যা ভ্যাকসিনের কার্যক্ষমতা অনেকাংশেই কমিয়ে দিতে পারে, দ্বিতীয়বার আক্রান্ত করার সম্ভাবনা বাড়িয়ে তুলতে পারে। তাই ভ্যাকসিন নিলেও আক্রান্ত হওয়া, অন্যকে সংক্রমিত করা এবং দ্বিতীয়বার আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা ঘটতে পারে।
তিনি বলেন, বিষয়টি বোঝার জন্য ভ্যাকসিন কিভাবে কাজ করে, সেটা আমাদের বুঝতে হবে। ভাইরাসে আক্রান্ত হলে আমাদের ইমিউন সিস্টেম ভাইরাসের কিছু অংশ চিনে রাখে এবং ওই অংশটুকুর বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডি তৈরি করে। ভ্যাকসিনগুলোও ভাইরাসেরই অংশবিশেষ, কিন্তু রোগাক্রান্ত করার ক্ষমতা থাকে না। এই চেনানোর মাধ্যমেই শরীরে প্রতিরোধ ব্যবস্থা তৈরির কাজটা করে থাকে। ভাইরাসটি যদি সেই অংশটুকুতেই উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন ঘটিয়ে ফেলে, তাহলে শরীরের প্রতিরোধ ব্যবস্থা ভাইরাসটিকে ঠিকমতো চিনতে পারবে না। ফলে ভাইরাসটি দ্বিতীয়বার সংক্রমণ ঘটাতে এবং ভ্যাকসিনকে ফাঁকি দিতে পারে কিংবা ভ্যাকসিনের কার্যক্ষমতা কমিয়ে দিতে পারে।
মুক্তাদির আরও বলেন, দক্ষিণ আফ্রিকায় কিন্তু কম কার্যকর হওয়ায় ভ্যাকসিন ফেরত দেওয়ার কথা শোনা গেছে। এক্ষেত্রে অক্সফোর্ডও নতুন করে ভ্যাকসিন ডিজাইন করছে। তাই ভ্যাকসিন নির্বাচন বা কেনার ক্ষেত্রেও সরকারের সবদিক বিবেচনা করা উচিত। খেয়াল রাখা উচিত নতুন মিউটেশনগুলোর বিরুদ্ধে কোন ভ্যাকসিন কতটুকু কার্যকর। এই ভাইরাসটি যত ছড়িয়ে পড়বে, সেটি তত নিজের রূপ বদলের সুযোগ পাবে। নতুন নতুন ভ্যারিয়েন্ট আসবে। হয়তো সে কারণেও ভ্যাকসিন নিয়েও আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা ঘটবে।
মুক্তাদির আল সিয়াম বলেন, নিকট ভবিষ্যতেই হয়তো এর বিরুদ্ধে স্থায়ী কোনো ব্যবস্থা চলে আসবে। তার আগ পর্যন্ত লাগামহীনতা রুখতে সম্মিলিত সচেতনতা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা নিশ্চিত করা খুব বেশি জরুরি এবং সেটা অবশ্যই সঠিক নিয়মে হতে হবে। নাক খোলা রেখে থুঁতনিতে মাস্ক ঝুলিয়ে রাখাটা অযথা কানের ওপর চাপ তৈরি করা ছাড়া আর কিছু না। মাস্ক মূলত আক্রান্ত ব্যক্তি থেকে সংক্রমণের সম্ভাবনা কমায় এবং আক্রান্ত হওয়া প্রতিরোধেও কিছুটা সহায়তা করে। তাই শুধু নিজে মাস্ক পরলেই নিরাপদ থাকা সম্ভব হবে না, সম্মিলিতভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানলে সবাই নিরাপদে থাকবে।
দেশে ভ্যাকসিন বিতরণ সংক্রান্ত কোর কমিটির সদস্য ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এ এস এম আলমগীর সারাবাংলাকে বলেন, ভ্যাকসিন নিলে কেউ কোভিড-১৯ আক্রান্ত হবেন না, এমন কোনো নিশ্চয়তা এখনো পর্যন্ত বিজ্ঞানীরা দেননি। ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ গ্রহণের ১৪ থেকে ২১ দিনের সময়সীমায় মানুষের শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হতে থাকে। ওই অ্যান্টিবডি তৈরি হলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। তখন আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমে আসে। আর তাই ভ্যাকসিন নেওয়ার পরে যদি কেউ আক্রান্ত হয়, তবে সংক্রমণ মাত্রা হবে মৃদু। একইসঙ্গে ভ্যাকসিন গ্রহীতা ব্যক্তির মাঝে কোভিড-১৯ সংক্রমণ হলেও মৃত্যুঝুঁকির পরিমাণ কমে আসে।
তিনি বলেন, ভ্যাকসিন নেওয়ার পরে কেউ যদি স্বাস্থ্যবিধি না মেনে ঘুরতে থাকেন, তবে অবশ্যই আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বাড়তে থাকে। এক্ষেত্রে দেখা গেল, তার মাঝে সংক্রমণ হয়েছে কিন্তু কোনো উপসর্গ নেই। আবার দেখা গেল একটি সময় পর উপসর্গ দেখা যাচ্ছে। দুই ক্ষেত্রেই তিনি ভাইরাস বাহক হিসেবে কাজ করতে পারেন, যদি স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চলেন। আর এজন্য ভ্যাকসিন নেওয়ার পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা খুবই জরুরি। কারণ এটি এমন একটি ভাইরাস, যা আসলে বলে কয়ে কিন্তু প্রবেশ করে না। আর আমাদের দেশে যেহেতু উপসর্গহীন কেস বেশি, তাই মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ সবার জন্য সমানভাবে পালন করা জরুরি।
জানতে চাইলে রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) উপদেষ্টা ও রোগতত্ত্ববিদ ড. মোশতাক হোসেন সারাবাংলা বলেন, দেখা গেল, একজন ভ্যাকসিন নিয়েছেন কিন্তু স্বাস্থ্যবিধি না মেনে রিল্যাক্স হয়ে ঘুরছেন। ভ্যাকসিনের কারণে তার মাঝে হয়তো দেরিতে সংক্রমণের প্রভাব দেখা দেবে বা সংক্রমণের প্রভাবও খুব কম হবে। কিন্তু এর মধ্যেই তিনি বাহক হয়ে ওঠার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। আর তাই মাস্ক পরতেই হবে সবাইকে। একইসঙ্গে অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
কোভিড-১৯ বিষয়ক ট্রিটমেন্ট প্রটোকল কমিটির সদস্য সচিব ও মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীরও বলেন একই কথা। তার বক্তব্য, যদি কেউ ভ্যাকসিন নিয়ে স্বাস্থ্যবিধি না মানেন, সংক্রমণ কিন্তু যে কারও মাঝেই হতে পারে। আর এক্ষেত্রে যিনি ভ্যাকসিন নিয়েছেন, তার মাঝেও সংক্রমণ হতে পারে। আবার তিনি বাহক হিসেবেও সংক্রমণ ছড়াতে পারেন। এক্ষেত্রে তাই আমাদের সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। মাস্ক পরতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই এখন পর্যন্ত।
ঢাকা মেডিকেল কলেজের ভাইরোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. নুসরাত সুলতানা লিমা এই করোনাভাইরাস ছড়ানোর বিষয়টি তুলে ধরে সারাবাংলাকে বলেন, ভ্যাকসিন গ্রহীতা মানেই করোনাভাইরাস তার শরীরে প্রবেশ করবে না, এমন নয়। এরকম কেউ মাস্ক পরে যদি বাইরে যান, তিনি হাঁচি-কাশি দিলেও কিন্তু মাস্ক তার কাছ থেকে ভাইরাস ছড়ানোর সম্ভাবনা কমিয়ে দেবে। একইসঙ্গে অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করলে তার কাছ থেকে যেকোনোভাবেই ভাইরাস ছড়ানোর সম্ভাবনা কমবে।
সারাবাংলা/এসবি/টিআর
অন্যের ঝুঁকি করোনা কারণ টপ নিউজ ভাইরাস ভ্যাকসিন গ্রহীতা মাস্ক স্বাস্থ্যবিধি